একটি ব্যস্তময় দিন! A busy day!
![]() |
---|
সাধারণত দৈনন্দিন কাজের বিষয় আমার লেখায় বহুদিন আলাদা করে উল্লেখ করিনা!
কারণ সবার দিনলিপি পড়তে পড়তে আমি নিজের ব্যস্ততার কথা এক্ প্রকার ভুলেই যাই!
মজা করলাম! একটা সময় প্রায় প্রতিদিন ডায়েরি গেম লিখতাম, এরপর বড্ডো এক্ ঘেয়েমি লাগতে শুরু করায় দিক পরিবর্তন করে নিয়েছি!

ব্যস্ততার মাঝে দৃষ্টিনন্দন প্রকৃতির নির্ভেজাল সৃষ্টি! |
---|
যাইহোক, আজ বৃহস্পতিবার এমনিতেই ব্যস্ততা থাকে, এর উপরে মরার উপরে খাঁড়ার ঘা!
কেনো উদাহরণটা দিলাম জানেন?
এখন ভারতীয় সময় সকাল এগারোটা বেজে সাত মিনিট যখন শুধু ঘর ঝাড় দিয়ে আর কিছু কাজ সারতে সারতে মোবাইলে টুং টাং নোটিফিকেশন এর শব্দ পেয়েই চলেছি!
খানিক বিরক্ত হয়ে, হাতে ফোন নিয়েই কপালে হাত!
ফ্ল্যাট কমিউনিটির থেকে জানানো হয়েছে ছাদের উপর রাখা জলের ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করা হবে তাই, সকাল এগারোটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত জল থাকবে না!
বোঝো ঠ্যালা! গতকাল রাত্রে যদি জানতে পারতাম, তাহলে আরো সকালে উঠে এগারোটার আগে চেষ্টা করতাম কাজ সেরে ফেলার!
দুই, জল ছাড়া কোনো কাজ সম্ভব নয়, কাজেই অগত্যা অপেক্ষা করতেই হবে!
যেহেতু, উদ্যোগ ভালো এবং সার্বিক উন্নয়নমূলক, তাই বলার কিছুই নেই।
এই বিষয়টি একটা শিক্ষা দেয়, সেটা হলো সার্বিক উন্নয়নমূলক কাজের জন্য কিছু সময় আত্মস্বার্থ বিসর্জন দিতে হয়, অথবা সহযোগিতার জন্য হাত বাড়িয়ে দিতে হয়।
তবে, আমি তো আমিই! সময় কিছুতেই অপচয় করা যাবে না, তাই আজকের লেখা লিখতে বসে গেলাম, কারণ আমি জানি আজকে আমার ঘরের কাজ আর পুজো সেরে উঠতে বিকেল চারটে বাজবেই।
আচ্ছা এই দিনলিপির মাঝে কিছু স্বাস্থ্যকর টিপস ভাগ করে নেওয়া যাক! |
---|
যদিও বর্ষাকাল, কিন্তু সত্যি কথা বলতে গরম এক্ ফোঁটাও কমেছে বলে আমার ব্যাক্তিগত ভাবে মনে হচ্ছে না!
তাই চেষ্টা করবেন এই সময় ঘরের কাজ করতে করতে হাপিয়ে গেলে হয় কাঞ্জি আর নয় ছাস খেতে!
![]() |
---|
কাঞ্জি বহুভাবে তৈরি করা যায়, যার একটি পদ্ধতি পূর্বে লেখায় ভাগ করে নিয়েছি, এছাড়াও বিভিন্ন প্রকারের কাঞ্জি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রচলিত।
আমি আপনাদের সাথে মহারাষ্ট্রের কাঞ্জি ভাগ করে নিয়েছিলাম, আসামে আবার অন্য পদ্ধতিতে কাঞ্জি তৈরি করা হয়!
এছাড়াও, ছাস কিন্তু শরীরের ডিটোক্সিফিকেশন এর উৎকৃষ্ট উপায়।
এটি তৈরি খুবই সহজ:-এক কাপ টক দই নেবেন
এরপর তারমধ্যে দ্বিগুণ জল দেবেন।
এবার একটা ডালের কাঁটা দিয়ে খুব ভালো করে জলের সাথে টক দই মিশিয়ে নেবেন।
এই মিশ্রণে বিট লবণ, গোল মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে নিয়ে, উপর থেকে ভাজা জিরের গুড়ো সংযোগ করে পান করুন।
সপ্তাহে একদিন হলেও এটি পান করা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
সময়ের সাথে শরীরের ঘাটতি ক্যালসিয়াম এর পাশাপশি পূর্বে উল্লেখিত ডিটোক্সিফাই করে আমাদের শরীরকে ভিতর থেকে।
এবার পুনরায় ঘরের কাজের বিষয়ে ফেরা যাক, তবে বাঙালি তাই খাওয়ার বিষয় ছাড়া দিনলিপি অসম্পূর্ণ!

ঘরে ছিল কাকরোল! সেখান থেকে কচি দেখে তিনটি কাকরোল নিয়ে, তাকে ভালোভাবে ধুয়ে, গ্রেটার দিয়ে ঘষে নিয়েছিলাম।

কড়াইতে সর্ষের তেল দিয়ে সেটা গরম হবার পরে কালোজিরে, আর কাঁচালঙ্কা দিয়ে করানো কাকরোল দিয়ে দিয়েছিলাম।

এরপর লবণ, হলুদ আর সামান্য চিনি দিয়ে মিশিয়ে নিয়ে, আঁচ একদম কমিয়ে কড়াই ঢাকা দিয়ে দিয়েছিলাম।
সেই ফাঁকে discord এ উত্তর, এরপর ডাস্টিং চলছিল!
মাঝে হাত হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে রান্নাটা শেষ করে নেবার সিদ্ধান্ত নিলাম, কারণ এটি স্বল্প সময়ে হয়ে যাবে সাথে বাসনগুলো ধুয়ে রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো।

যেহেতু কাকরোল কোরানো ছিল, কাজেই সেদ্ধ হতে সময় লাগেনি।
এরপর মাঝারি আঁচে ভালো করে ভেজে নামাবার আগে কুচিয়ে রাখা ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে নিয়েছিলাম।

এরপর, জলের কারণে বিশেষ কাজ এগোতে পারিনি, তাই বসে বসে এখনও পর্যন্ত সম্পাদিত কাজের তালিকা আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।
সময় সবচাইতে মূল্যবান, তাই সেটার সঠিক প্রয়োগ জীবনের অনেক আফসোস থেকে আমাদের মুক্তি দেয়! আমার ব্যাক্তিগত ভাবে কখনো কখনো মনে হয়, বাকিরাও কি এমনটাই ভাবেন?
কিভাবে দৈনন্দিন সময় অতিবাহিত করছেন আপনারা?
দিনশেষে পিছন ফিরে তাকিয়ে ভাবেন কি সময়ের সঠিক প্রয়োগ করতে পারলেন কিনা? উত্তরের প্রতীক্ষায় রইলাম।


@fombae thank you for your support 😊