প্রতি সপ্তাহের ন্যায় আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন ভিডিওগ্ৰাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত অনেকের ভিডিওগ্রাফি পোস্ট দেখে ভীষণ অনুপ্রাণিত হই । আমরা কমবেশি সবাই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই বা কোনো সুন্দর কিছু চোখে পড়লে ফটোগ্রাফি করি সচরাচর। তবে আমাদের অনেক সময় ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু তুলে ধরা সম্ভব হয় না। তাই মাঝে মধ্যে ভিডিওগ্রাফি করার প্রয়োজন হয়।বাংলা লোকজ সংস্কৃতি ও আধুনিক হাস্যরস যখন একসাথে মিশে যায়, তখন তৈরি হয় এমন কিছু কাজ যা জনতার হৃদয়ে রসে ভরপুর চিরস্থায়ী ছাপ ফেলে। ঠিক তেমনি এক ব্যতিক্রমী সৃষ্টি হল — “পূর্ব পাড়ার আবুল মিয়া, মরছি আমি তারে”। এটি শুধুই একটি গান নয়, বরং একটি সামাজিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু, একটি ভাইরাল ট্রেন্ড, এবং সবচেয়ে বড় কথা — একটি সৃজনশীল প্রচেষ্টা যা স্থানীয় সাংস্কৃতিক ধারাকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে।নৃত্যটি পুরোপুরি লোকজ স্টাইলে কোরিওগ্রাফ করা হয়েছে। যদিও এতে পেশাদার কৌশলের অভাব থাকতে পারে, কিন্তু প্রত্যেকটি মুভমেন্টে ফুটে উঠেছে একটি প্রাণবন্ত স্পিরিট। পায়ের ছন্দ, হাতের ভঙ্গি, আর চোখের চাহনি — সবকিছু মিলিয়ে একটি সম্পূর্ণ বিনোদনমূলক পরিবেশনা।বিশেষভাবে নাচের মধ্যে "আবুল মিয়া"-র প্রতিক্রিয়া এবং মেয়ের অভিব্যক্তিগুলো এমনভাবে দেখানো হয়েছে, যেন এটি একটি হাস্যকর নাট্যাংশ — যা গানটির মজার কথার সাথে মিল রেখে পুরো দৃশ্যপটকে প্রাণবন্ত করে তোলে।“পূর্ব পাড়ার আবুল মিয়া, মরছি আমি তারে” গানটি আমাদের দেখিয়ে দিলো — প্রতিভা ও সৃজনশীলতার জন্য বড় বাজেট, বিলাসবহুল সেট কিংবা পেশাদার ক্যামেরার প্রয়োজন নেই। দরকার শুধু একটি মজার ভাবনা, একটুখানি সাহস, আর কিছু প্রাণবন্ত বন্ধু — তাহলেই তৈরি করা যায় ভাইরাল কন্টেন্ট, যা মানুষকে আনন্দ দেয়।এই গানটি শুধু হাসির উৎস নয়, বরং প্রমাণ যে, বাংলা সংস্কৃতি ও হাস্যরসের মিশ্রণ মানুষকে একত্র করতে পারে, হোক তা শহর বা গ্রাম। পূর্ব পাড়ার এই সৃজনশীল দলকে অভিনন্দন — তাঁরা আমাদের মনে করিয়ে দিলেন, আসল বিনোদন হৃদয় থেকেই আসে। তাহলে চলুন এখন ভিডিওগ্ৰাফিটি দেখে নেয়া যাক।

_{🔗"ভিডিও লিংক":🔗}