আখিরা নদীতে মাছ ধরা দেখার মুহূর্ত
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
★আসসালামুয়ালাইকুম এবং হিন্দু ভাই ও বোনদের প্রতি আমার আদাব★। আমার বাংলা ব্লগের আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আখিরা নদীতে মাছ ধরা দেখার মুহূর্ত শেয়ার করবো।তাহলে চলুন এবার শুরু করা যাক।
আমি নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে আছি। ধীরে ধীরে জেলেরা জাল হাতে নদীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ নৌকায় উঠে পড়ছে, আবার কেউ নদীর পাড় থেকেই জাল ফেলছে। তাদের চোখে মুখে এক ধরনের প্রত্যাশা – আজকের সকালটা কেমন যাবে, কেমন মাছ ধরা পড়বে? আখিরা নদীর মাছ ধরা শুধু জীবিকা নয়, এটি একটি ঐতিহ্য। এখানকার মানুষ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মাছ ধরার কৌশল শিখেছে – কারও কাছ থেকে শেখা, আবার কারও নিজের অভিজ্ঞতা থেকে।বাঁশের তৈরি এই ফাঁদ নদীতে বসিয়ে রেখে কিছু সময় পর তুলে দেখা হয়। এটা সাধারণত ছোট মাছ ধরতে ব্যবহার হয়।
নদীর মাঝ বরাবর বড় জাল ফেলে দলবদ্ধভাবে টেনে আনা হয়। এতে একসাথে অনেক রকম মাছ ধরা পড়ে।বঁড়শি দিয়ে ধরা ধৈর্য এবং কৌশল দুইটাই দরকার হয় এখানে। অনেকে নিঃসঙ্গভাবেই নদীর ধারে বসে, অপেক্ষা করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।নৌকা দিয়ে গভীর জলে অভিযান বড় নৌকা নিয়ে মাঝ নদীতে গিয়ে জাল ফেলা হয়। এতে বড় মাছ ধরার সম্ভাবনা বেশি।জেলের জালে উঠছে নানা ধরনের মাছ – রুই, কাতলা, টেংরা, শোল, বোয়াল, পাবদা, আর মাঝে মাঝে চিতলও। নদীর তাজা জলে বেড়ে ওঠা এসব মাছ দেখতে যেমন টগবগে, খেতেও তেমনি সুস্বাদু।
মাছ ধরার সময় কখনো পুরো গ্রাম যেন উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। বিশেষ করে বর্ষাকালে নদীর পানি বাড়লে মাছের পরিমাণও বেড়ে যায়। তখন গ্রামের ছোট-বড় সবাই নদী ঘেঁষে ভিড় করে – কেউ দেখছে, কেউ সাহায্য করছে, কেউবা আগেই মাছ কেনার জন্য দাঁড়িয়ে আছে।আখিরা নদীর সাথে এখানকার মানুষের সম্পর্কটা আত্মার মতো। নদী তাদের দেয় জীবিকা, আনন্দ, আর স্বপ্ন। মাছ ধরার এই মুহূর্তগুলো শুধু একটা দৃশ্য নয় – এটি সংস্কৃতি, সংযোগ, স্মৃতি আর ভবিষ্যতের গল্প।
মাছ ধরার মাঝেই অনেকে গান গায়, কেউ আবার হাসি-ঠাট্টা করে। মাঝে মাঝে কেউ পুরনো গল্প বলতে শুরু করে – কীভাবে একদিন সে বিশাল বোয়াল ধরেছিল। নদীর কূল ঘেঁষে শিশুদের কৌতূহলী চোখ, বৃদ্ধদের উদাস দৃষ্টি, আর তরুণদের কর্মচাঞ্চল্য – সব মিলিয়ে যেন সময় থমকে দাঁড়িয়ে থাকে।আখিরা নদীতে মাছ ধরা দেখা শুধুই একটি দৃশ্য নয় – এটি অনুভব করার বিষয়। এখানে প্রকৃতি আর মানুষের মাঝে গড়ে ওঠে এক গভীর সম্পর্ক, যা কেবল চোখে দেখে নয়, হৃদয়ে ধারণ করেই বুঝা যায়। এ অভিজ্ঞতা যাঁরা একবার পেয়েছেন, তাঁরা জানেন এর গভীরতা কতখানি।
আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।
আল্লাহ্ হাফেজ
Device | Motorola g34 5g |
---|---|
Camera | 52 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
X-promotion
Daily task👇
Comment Link👇
1.https://x.com/Moto5g638776/status/1927221555987145027?t=nqTydRIkIH3gbBSTRLtEPQ&s=19
2.https://x.com/Moto5g638776/status/1927222368084099569?t=PhPtgV_J4WQU4S49I6xnHA&s=19
3.https://x.com/Moto5g638776/status/1927222943718715846?t=Z6JOeKtZpSdHXHMKIgeAtQ&s=19
4.https://x.com/Moto5g638776/status/1927223584088330661?t=noCk8E__SPC7fbxTIwmW-A&s=19
আপনি ঠিকই বলেছেন মাছ ধরা প্রকৃতি এবং মানুষের মাঝে গড়ে ওঠা গভীর সম্পর্ক। আর এই সম্পর্কটা ভীষণ সুন্দর। মাছ ধরা একটি সুন্দর কৌশলের খেলা। সবাই আবার এই মাছ ধরতে পারে না আবার সবার কাছে মাছ ধরা দেয় না। আমিও এমন অনেক মাছ ধরা দেখেছি বা নিজেও বহুবার মাছ ধরেছি। ভীষণ সুন্দর একটা অনুভূতি। আপনার এই পোস্টটি পড়ে এবং এমন সুন্দর মাছ ধরার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার মাছ ধরার স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য।