কাজের প্রতি ভালোবাসা বাড়ানো উচিত। || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ২০শে আষাঢ় | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বৃহস্পতিবার | বর্ষা-কাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
মানুষের জীবনে কাজের কোনো বিকল্প নেই। কাজ ছাড়া জীবন থেমে যায় উন্নতি থেমে যায় স্বপ্নও অপূর্ণ থেকে যায়। তবে শুধু কাজ করলেই হয় না সেই কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকা জরুরি। যখন আমরা কাজকে ভালোবেসে করি তখন সেটা আর বোঝা মনে হয় না। বরং মনে হয় আনন্দের একটি অংশ। যেমন একজন শিল্পী ছবি আঁকেন একজন লেখক গল্প লেখেন বা একজন শিক্ষক পড়ান তাদের কাছে এই কাজগুলো শুধুই কর্তব্য নয় বরং আনন্দ ও ভালোবাসার প্রকাশ। তাই কাজের প্রতি ভালোবাসা শুধু জীবনের সাফল্য আনে না তা মনকেও শান্তি ও তৃপ্তি দেয়।
যে কাজের প্রতি ভালোবাসা নেই সেই কাজ মানুষ কখনো মন থেকে করতে পারে না। উদাহরণ হিসেবে দেখা যায় কেউ যদি শুধু বেতনের জন্য চাকরি করে কিন্তু তার কাজে কোনো আগ্রহ না থাকে তবে সে কাজের মান বজায় রাখতে পারবে না। এতে শুধু প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয় না তার নিজেরও মন ভরে না। সে ক্লান্ত বিরক্ত আর হতাশ হয়ে পড়ে। অন্যদিকে একই কাজ যদি ভালোবাসা দিয়ে করা হয় তবে তা নিখুঁত হয় এবং কর্মীও আনন্দ পায়। তাই কাজের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে সেটি শুধু যান্ত্রিক দায়িত্বে পরিণত হয় যা জীবনে অসন্তোষ ও অশান্তি নিয়ে আসে।
কাজকে ভালোবাসতে হলে আগে সেটিকে নিজের জীবনের অংশ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। কাজকে কখনো বোঝা ভেবে শুরু করা যাবে না। বরং ভাবতে হবে এই কাজ আমাকে নতুন কিছু শিখতে সাহায্য করছে আমার পরিবারকে স্বচ্ছল করছে সমাজের উপকার করছে। ছোট ছোট সাফল্যকে উপভোগ করতে জানতে হবে। নিজের অর্জনকে স্বীকৃতি দিতে হবে। কাজের মাঝে সৃজনশীলতা যোগ করলে সেটি আরও উপভোগ্য হয়। যেমন শিক্ষক যদি পড়ানোর সময় উদাহরণ বা গল্প ব্যবহার করেন তবে তার নিজেরও আনন্দ বাড়ে শিক্ষার্থীদেরও শেখা সহজ হয়। তাই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আত্মতৃপ্তি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে কাজের প্রতি ভালোবাসা বাড়ানো যায়।
যখন কেউ তার কাজকে ভালোবেসে করে তখন সেই কাজের মান অনেক গুণ বেড়ে যায়। ভালোবাসা থাকলে মানুষ কাজের প্রতি মনোযোগী হয় পরিশ্রমে আনন্দ খুঁজে পায় সমস্যার সমাধান করতে উৎসাহী হয়। এতে শুধু কর্মীর ব্যক্তিগত উন্নতি হয় না বরং পুরো প্রতিষ্ঠান এবং সমাজও উপকৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ একজন কৃষক যদি তার জমিকে ভালোবেসে কাজ করে তবে তার ফসলও বেশি হয়। একজন চিকিৎসক যদি রোগীকে ভালোবাসা দিয়ে সেবা দেন তবে রোগীর আরোগ্যও দ্রুত হয়। কাজের প্রতি ভালোবাসা তাই শুধু ব্যক্তির নয় সামগ্রিকভাবে সমাজ ও জাতির উন্নতির জন্য অপরিহার্য।
কাজ মানুষের জীবনের অঙ্গ আর কাজের প্রতি ভালোবাসা জীবনের সার্থকতা আনে। কাজকে বোঝা ভেবে নয় বরং আনন্দ ভেবে করলে জীবন সহজ ও সুন্দর হয়। ভালোবাসা দিয়ে করা কাজ ক্লান্তি দূর করে ব্যর্থতাকে শক্তিতে পরিণত করে সাফল্যকে সহজ করে তোলে। তাই প্রত্যেক মানুষের উচিত নিজের কাজকে ভালোবাসা সম্মান এবং আন্তরিকতার সঙ্গে করা। যে মানুষ তার কাজকে ভালোবাসে সে জীবনে কখনো পিছিয়ে থাকে না। তাই বলা যায় কাজের প্রতি ভালোবাসা বাড়ানোই জীবনের আসল সাফল্যের চাবিকাঠি।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।


VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
