গ্ৰাম্য মেলা। || by @kazi-raihan

in আমার বাংলা ব্লগ2 days ago

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ - ২৭শে আশ্বিন | ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | রবিবার | শরৎ-কাল|


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



1000016454.png

Canva দিয়ে তৈরি



আজকে আমাদের এলাকার গ্রাম্য মেলার কিছু দৃশ্য আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। কয়েকদিন আগে আমাদের এলাকায় নৌকা বাইচের মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিকেল বেলায় নদীর মধ্যে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় আর তারপর থেকেই পাশের একটি বাগানের মধ্যে বেশ জাকজমক দোকানপাট সহ নাগরদোলা এবং মেলায় বিনোদনের বেশ কয়েকটি আকর্ষণ এসেছিল। মূলত মেলায় খুব একটা যাওয়া হয় না তবে এলাকায় যেহেতু নৌকা বাইচের মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাই সবার সাথে স্বল্প সময়ের জন্য গিয়েছিলাম।

প্রতিদিনের মতো সেদিনেও স্টেশনে চা খাওয়াসহ আড্ডা দেওয়ার জন্য বিকেল বেলায় সবাই একসাথে বের হলাম। যদিও সেদিন খোকসাতে আমাদের একটু কাজ ছিল তবে খোকসা থেকে আসার সময় আমার চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে দেখা মূলত মারুফ ভাইয়ের অফিস শেষ করে যখন বাসার দিকে রওনা হবে তখন আমাদের সঙ্গে দেখা হলো। পরবর্তীতে মারুফ ভাই ও আমাদের সঙ্গে স্টেশনে চায়ের আড্ডায় যুক্ত হয়।



1000015645.jpg

1000015644.jpg



মারুফ ভাইয়ের ব্যাংকের ম্যানেজার সেদিন স্টেশনে চা খেতে এসেছিল। সেই সুবাদে সেদিন আবার মারুফ ভাইয়ের পক্ষ থেকে আমাদের কয়েকজনকে দুধ চা আর ওরা পাউরুটি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। মোটামুটি সময়টা বেশ ভালোই কাটলো পরবর্তীতে মারুফ ভাই যখন তার ম্যানেজারকে বিদায় জানিয়ে আমাদের সঙ্গে চলে আসবে তখন হঠাৎ করেই বন্ধু রিপন এবং সুমন ভাই বলে উঠলো মেলায় গিয়ে গরম জিলাপি খেলে মন্দ হয় না।



মূলত মেলায় গেলে সর্বপ্রথম আমরা গরম জিলাপি খাই তবে বড় আকারে যদি মেলা হয় সেক্ষেত্রে এক প্যাঁচের ফুল জিলাপি পাওয়া যায় যার টেস্ট অন্যরকম। পরবর্তীতে খোকসা স্টেশন থেকে আমরা সবাই একসাথে মেলার দিকে যাত্রা শুরু করলাম। প্রথমে দোকানে গিয়ে একদম মচমচে জিলাপি অর্ডার করলাম। যার সম্পর্কে না বললেই নয় মনে হচ্ছে বলতে গিয়ে আবার একবার জিলাপির টেষ্ট নিই।



1000015643.jpg



হালকা পাতলা জিলাপি খাওয়া শেষ করে আমরা আবার মেরার মধ্যে গেলাম গিয়েই প্রথমে চোখে পড়ল সেই নাগরদোলা। এক কথায় নাগরদোলা দেখার সঙ্গে সঙ্গেই আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। একসময় গ্রাম্য পর্যায়ে বিশেষ দিনগুলোতে মেলার আয়োজন হতো আর মেলার আয়োজন হলেই নাগরদোলা সহ আকর্ষণীয় সব বিনোদন মূলক আয়োজন হবে যেটা এখন অতীত মাত্র। যাই হোক ছোটবেলায় এই নাগরদোলা কে কেন্দ্র করে অনেক স্মৃতি আছে যেগুলো শৈশবের দিনগুলো মনে করিয়ে দেয়।



পরবর্তীতে সামনে যাওয়ার পরে দেখলাম কৃত্রিম নৌকা দিয়ে বিনোদন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে যেটাতে চড়ে সবাই বিনোদন নিচ্ছে। মূলত মেলায় এগুলো দেখার পর আর খুব বেশি সময় অপেক্ষা করিনি। ছোটবেলায় মেলায় আসলে যেমন আলাদা একটা আগ্রহ তৈরি হতো এই বয়সে আর মেলায় যাওয়ার পরে সেরকম কোন আগ্রহ তৈরি হয় না যাই হোক পরবর্তীতে সবাই একসঙ্গে বাসায় ফিরে এসেছিলাম। এবারের গ্রাম্য মেলার ছোট্ট একটি গল্প মূলত মেলায় যাওয়ার পরে সামান্য কয়েকটি ছবি তোলা হয়েছিল যেগুলো শেয়ার করেছি।



⬇️📥⬇️📥
ডিভাইসSamsung galaxy A52
ফটোগ্রাফার@kazi-raihan
লোকেশন
সময়সেপ্টেম্বর,২০২৫



🔚সমাপ্তি🔚




এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


20231103_120723-01.jpeg

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png