থ্রেট নাটকের রিভিউ।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
|Threat | থ্রেট নাটকের রিভিউ।|
|-|
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | Threat / থ্রেট |
---|---|
পরিচালক | সাইফুল হাফিজ খান |
অভিনয় | আরোশ খান, তানিয়া বৃষ্টি সহ আরো অনেকে |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ |
আজকে আমি একেবারে অসাধারণ একটি নাটকের রিভিউ আপনাদের জন্য নিয়ে চলে আসলাম৷ প্রথমেই নাটকটি শুরু হয়৷ এখানে নাটকের মধ্যে নায়ককে দেখানো হয়৷ সে তার বন্ধুদেরকে নিয়ে ইউনিভার্সিটিতে বসেছিল৷ সেখানে ইউনিভার্সিটি'র মধ্যে যে সকল নতুন জুনিয়ররা আসছিল তাদেরকে তারা বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করছিল৷ তখনই সেখানে নায়িকা চলে আসে৷ সেখানে নায়িকা নায়কের এই অবস্থা যখন দেখতে পায় তখন তাকে অনেক বকাবকি করতে থাকে৷ অনেক কথা বলতে থাকে৷ তবে নায়ক কোনভাবেই তাকে ভয় পায় না৷ নায়ক শুধুমাত্র একটা কথাকে ভয় পেত যে নায়িকা শুধুমাত্র তাকে থ্রেট দিত। সব সময় বলতো সে যে কোন সময় আত্মহত্যা করবে৷ সব সময় সে এই ভয় নিয়ে পড়ে থাকতো। এরকম করেই নায়িকা নায়ককে দিয়ে অনেক ধরনের কাজ করাতো৷ প্রতিনিয়তই এসকল কাজগুলো যখন সে করতো তখন নায়ক সবসময়ই তার এই থ্রেট এর ভয়ে কাজগুলো করে নিত৷
তবে নায়িকা শুধুমাত্র নায়কের সাথে এই ব্যবহার করতে পারত৷ সে কোনভাবেই তার মায়ের সাথে এরকম ব্যবহার করতে পারত না৷ উল্টো তার মা তাকে অনেক বকাবকি করতো৷ অনেক মারামারি করতো৷ কারণ সে কোন ধরনের কথা শুনতো না এবং সে একেবারে বোকা ছিল৷ পড়াশোনা সে তেমন একটা করত না৷ তার পাশাপাশি এখানে নায়িকার বাবা দেশে আসবে আসবে বলে অনেকদিন যাবত দেশে আসছে না৷ যার ফলে তিনি আরো অনেকে রাগান্বিত হয়ে যান৷ তার মেয়ের সাথে অনেক ধরনের খারাপ ব্যবহার করতে থাকেন৷ এর পরবর্তীতে এখানে যখন নায়কের সাথে নায়িকার ছোটখাটো ঝামেলা সৃষ্টি হয় তখন এখানে নায়িকা অন্য একজন ছেলের সাথে কথাবার্তা বলে৷ বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে তার সাথে চলাফেরা করতে থাকে৷ যার ফলে নায়কের এই বিষয়টি কোনভাবেই পছন্দ হয় না একদিন সে ওই ছেলেটিকে থেট দেয়৷ যাতে করে সে যেন আর নায়িকার আশেপাশে না আসে৷
তবে নায়িকা কোনোভাবে এই বিষয়টি শুনতে রাজি ছিল না৷ সে নিজের মতো করে সবকিছু করে যেতে থাকে। সে নিজের মতো করে যখন সবকিছু করে তখন নায়ক তাকে বলে যে সে যেন তার সাথে কোনভাবেই দেখা না করে এবং কথাবার্তা না বলে। কারণ সে যখন একজনকে ভালোবাসে সে আর কোন ভাবেই অন্য কোন ছেলেকে তার পাশে দেখতে পারবেনা। নায়িকা তাকে চান্স দেওয়ার কারণেই ওই ছেলেটি নায়িকার পাশে আসতে পেরেছে। যার ফলে নায়ক এর বিরুদ্ধে কথাবার্তা বলতে থাকে। নায়িকাকে বলে যে সে যেন আর কোনোভাবেই তার সাথে কোন ধরনের কথাবার্তা না বলে৷ সে এতদিন যাবত যে থ্রেট দিয়ে এসেছে সেই থ্রেট অনুযায়ী যেন সে কাজ করে৷ সে যদি তা করতে না পারে তাহলে কখনোই নায়ক আর তাকে ভালোবাসবে না৷ এরকম অনেক ধরনের কথাবার্তা বলার পরে নায়ক সেখান থেকে চলে যায়৷ নায়কের এই কথাবার্তাগুলো শুনে নায়িকা অনেক কষ্ট পায়৷ পরে সে একটি অভিনয় করে৷ সেই অভিনয়ে নায়ক তার কাছে চলে আসে৷ সেখানে যখন সে আসে তখন দেখতে পায় যে নায়িকা অভিনয় করেছে৷ তখন তাকে অনেক ধরনের কথাবার্তা বলে৷ নায়িকা তখন বলে সে একবার অভিনয় করেছে তবে পরবর্তীতে আর সে কোন ধরনের অভিনয় করবে না৷ সে সত্যিকারেই মারা যাবে৷ এরপর তাদের দুজনের সম্পর্কে আবার ভালোভাবে ঠিক হয়ে যায়। এভাবে নাটকটি শেষ হয়।
আমার ব্যক্তিগত মতামত।
একেবারে অসাধারণ ছিল নাটকটি৷ প্রথমে নাটকের নাম দেখে আমি কিছুটা বুঝতে পেরেছিলাম যে এরকমই কিছু হবে৷ ঠিক সেরকমই হয়েছে৷ নায়িকা সবসময় এর থ্রেট অনুযায়ী নায়ক তার কাজগুলো করতে থাকে। কোনোভাবেই সে নায়িকার অবাধ্য হত না৷ সব সময় সে কাজগুলো করতে বাধ্য ছিল৷ এর পরবর্তীতে যখন ধীরে ধীরে তাদের এই সম্পর্কে আরও অনেকটা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে তখন এখানে সেই সম্পর্কের মধ্যে অনেক ধরনের সমস্যাও সৃষ্টি হয়ে যায়৷ তবে এই সমস্যা বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না৷ কারণ সেখানে নায়ক নায়িকাকে ভালোবাসতো৷ সেই জায়গায় নায়িকার পাশে যখন নায়ক অন্য কোন ছেলেকে দেখে তখন সে কোনভাবে তাকে সহ্য করতে পারে না৷ এই বিষয়টি বলার পরে নায়িকা সেটি আর কোন ভাবে মানতে রাজি ছিল না৷ যখন নায়ক তাকে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলে এবং তাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলে তখনই নায়িকা তার যে আসল ভালবাসার বিষয়টি ছিল সেটি প্রকাশ করতে সক্ষম হয়৷ নায়ক এই বিষয়টি দেখে অনেকটাই অনুতপ্ত হয়। সেই নায়িকাকে বলে যে সে যেন আর কখনোই তাকে মৃত্যুর ভয় না দেখায় কারণ এর ফলে নায়ক অনেকটাই ভয়ে থাকে৷ সব সময় এই কষ্ট নিয়ে সে এগোতে থাকে ঠিক আমাদের বাস্তব জীবনে আমরা এমন অনেক কিছুই দেখতে পাই৷ আমরা যাদেরকে অনেক বেশি ভালোবাসি তাদেরকে আমরা অন্য কারো পাশেই দেখতে চাই না৷ যার ফলে যখন তার পাশে অন্য কেউ চলে আসে তখন আমাদের মাথা ঠিক থাকে না৷ তখন আমরা কি করি আমরা নিজেও বুঝতে পারি না।
আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুসারে নাটকের রেটিংঃ |
---|
৯.৭/১০
সমাপ্ত
ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।আগামিতে অন্য কোন নাটকের রিভিউ নিয়ে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন সবাই।আর কষ্ট করে রিভিউটি যারা পড়ছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক।
VOTE @bangla.witness as witness
OR


ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | নাটক রিভিউ । |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
থ্রেট নাটকের রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো। নাটকটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর করে আপনি রিভিউ শেয়ার করেছেন। অনেক ভালো লাগলো।
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।আরশ খানের অভিনয় আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।যদিও নাটকটি দেখা হয়নি তবে খুব শীঘ্রই নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করবো।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।