স্পোর্টস : রিয়াল মাদ্রিদের বড় হার //by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon বাংলাদেশের নাগরিক
- রিয়াল মাদ্রিদের বড় হার
- ২৯, সেপ্টেম্বর ,২০২৫
- সোমবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে ফুটবল ম্যাচ দেখার অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ছবিঃ Kirar tv থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
ম্যাচের পরিসংখ্যান:
রিয়াল মাদ্রিদ | অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ |
---|---|
মোট শট-০৬ | মোট শট-১৩। |
টার্গেটের শট-০৩ | টার্গেটের শট-০৭। |
দৈর্ঘ্য | ৯০ মিনিট । |
বল পজিশন -৬৩% | বল পজিশন -৩৭% |
পাস করে -১৮৪ | পাস করে -৫১৪ |
পাস নির্ভুলতা-৬০% | পাস নির্ভুলতা-৯০% |
ফাউল-২২ | ফাউল-১০ |
---|---|
হলুদ কার্ড- ০৩ | হলুদ কার্ড - ০৪ |
রেড কার্ড- ০০ | রেড কার্ড-০০ |
অফসাইডস-০১ | অফসাইডস-০২ |
কোণ-৩ | কোণ- ০৫ |
সময়কাল রাত ১১.০০ টায় | ২১.০৫.২০২৫ইং |
ফলাফল : | রিয়াল মাদ্রিদ -০২ অ্যাথলেটিকো -০৫ |
ম্যাচের সারসংক্ষেপ
আমার কাছে খেলাধুলা খুবই ভালো লাগে ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি আলাদাভাবে নেশাটা রয়েই গেছে। এখনো সময় পেলে ছোট ভাই ব্রাদারের সাথে এলাকায় খেলাধুলার মেতে ওঠা। যেটা অনেক বড় একটি নেশা খেলাধুলা শরীরের পক্ষে যেমন ভালো তেমনি মানসিক সকল ধরনের অবসাদ দূর করে দেয়। ছোট্টবেলার সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে এখনো ফিরে যেতে মন চায়। আসলে সেই স্বাধীন মুহূর্ত চাইলে যখন তখন খেলাধুলা নিয়ে মেতে উঠতাম এখন আর পারি নাহ। মাঝে মাঝে ছোট্ট বাচ্চাদের খেলাধুলা গুলো দেখে সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করি আর খেলাধুলা এখন নিয়মিত না করা হলেও রাত জেগে খেলা দেখার অভ্যাসটা এখনো রয়েই গেছে।
আটলেটিকো মাদ্রিদ বনাম রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচের স্কোরলাইন (৫-২) নিঃসন্দেহে অনেককে অবাক করেছে। মাদ্রিদের এই ডার্বি ম্যাচে সাধারণত প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে তীব্র, কিন্তু এবার আটলেটিকো অসাধারণ আধিপত্য দেখিয়েছে। স্কোরবোর্ডে যেমনটা পরিষ্কার—আটলেটিকো তাদের আক্রমণাত্মক ফুটবল দিয়ে রিয়ালকে চাপে রেখেছিল এবং সুযোগ কাজে লাগাতে দারুণ সক্ষমতা দেখিয়েছে। ম্যাচের গোলে অবদান রাখা লে নরম্যান্ড, সর্লথ, আলভারেজ ও গ্রিজম্যান প্রমাণ করেছেন যে সঠিক সময়ে গোল করতে পারলেই খেলার ধারা পাল্টে দেওয়া সম্ভব।
প্রথমার্ধ থেকেই খেলা ছিল রোমাঞ্চকর। ১৪ মিনিটে লে নরম্যান্ডের গোল আটলেটিকোকে এগিয়ে নেয়, যদিও মাত্র ১১ মিনিট পর এমবাপ্পে সমতা ফেরান। এরপরই বোঝা যায়, ম্যাচটা হবে উন্মুক্ত। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে সর্লথের গোল আটলেটিকোকে মানসিকভাবে এগিয়ে দেয়। এই গোলটা ছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বিরতিতে যাওয়ার আগে লিড পাওয়া খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস দ্বিগুণ করে তোলে।
দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল মাদ্রিদ বলের দখল রেখেছিল বেশি (৬৩% পজিশন) এবং পাস অ্যাকিউরেসি (৮৭%) নিয়েও তারা এগিয়ে ছিল। কিন্তু ফুটবলে শুধু পাস বা দখল দিয়ে জেতা যায় না। এখানে আটলেটিকো প্রমাণ করেছে যে কার্যকর আক্রমণই আসল। আলভারেজের দুটি গোল (৫১’ মিনিটে পেনাল্টি ও ৬৩’ মিনিটে) ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেয়। রিয়ালকে তখন প্রায় অসহায় দেখা যাচ্ছিল।
রিয়ালের হয়ে একমাত্র উজ্জ্বল মুহূর্ত ছিল এমবাপ্পে ও আর্দা গুলের গোল। ২৫ মিনিটে এমবাপ্পের গোলটি দেখিয়েছিল তার স্বাভাবিক ক্ষিপ্রতা আর গুলের ৩৬ মিনিটের গোল তরুণ প্রতিভার দক্ষতার প্রমাণ। কিন্তু এরপর আর তারা ম্যাচে ফিরতে পারেনি। রিয়াল আক্রমণ করলেও শট অন টার্গেটে মাত্র ২ বার বল আনতে পেরেছে, যা তাদের দুর্বল আক্রমণভাগের প্রতিফলন।
ডিফেন্সিভ দিক থেকে রিয়াল ছিল ভঙ্গুর। ৫ গোল হজম করা মানে তাদের রক্ষণভাগ ছিল অনিশ্চিত আর কৌশলগত দিক থেকে ব্যর্থ। অন্যদিকে, আটলেটিকো যদিও ৫টি হলুদ কার্ড খেয়েছে, তবুও তারা লড়াইয়ে কঠোরতা দেখিয়েছে এবং ডিফেন্স-আক্রমণ দুই দিকেই ব্যালান্স রাখতে পেরেছে। রিয়ালকে শটের সুযোগই বেশি দেয়নি।
আটলেটিকো কোচ ডিয়েগো সিমিওনে দীর্ঘদিন ধরেই তার টিমকে ‘যুদ্ধের মেশিন’ বানানোর চেষ্টা করেন। এই ম্যাচে তার পরিকল্পনা একেবারে সঠিকভাবে কাজে লেগেছে। রিয়ালের দখলকে গুরুত্ব না দিয়ে সরাসরি আক্রমণে যাওয়ার কৌশলই ছিল মূল অস্ত্র। বিশেষ করে কাউন্টার অ্যাটাকে আটলেটিকো ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছিল। সবশেষে বলা যায়, এই ফলাফলে রিয়াল মাদ্রিদকে বড় শিক্ষা নিতে হবে। শুধু বলের নিয়ন্ত্রণ আর নামী খেলোয়াড় দিয়েই ম্যাচ জেতা যায় না। গোল করার সুযোগ তৈরি করে তা কাজে লাগানোই হলো আসল ফুটবল। আটলেটিকো এই ম্যাচে কার্যকর ফুটবলের সেরা উদাহরণ দেখিয়েছে। রিয়াল যদি শিরোপার দৌড়ে থাকতে চায়, তবে তাদের রক্ষণভাগ মজবুত করতে হবে এবং আক্রমণে কার্যকারিতা বাড়াতে হবে। অন্যদিকে, এই জয়ের ফলে আটলেটিকোর আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যাবে এবং লিগে তারা শক্তিশালী চ্যালেঞ্জার হিসেবে জায়গা পাকাপোক্ত করবে।

ম্যাচের সংক্ষিপ্ত ভিডিওর লিংক সমূহ
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
https://x.com/mahmudrr_r/status/1972605776608080041?t=4usxc9Usp7ezW6h3zOs4wQ&s=19
https://x.com/mahmudrr_r/status/1972606160403579368?t=FSubeMeH5ywfmhtL2V4oEg&s=19