রেসিপি পোস্ট ||| মজাদার বাইম মাছের ভুনা ||| original recipe by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুমার। বাংলা ব্লগের সকল ভাই-বোনেরা আশা করছি সবাই সুস্থ ও সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
বরাবরের মতো আবারো হাজির হলাম আপনাদের মাঝে নতুন আরেকটি ব্লগ নিয়ে। আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি রেসিপি পোষ্ট নিয়ে।কোনো ইউনিক রেসিপি নিয়ে সকলের মাঝে হাজির হতে পারলে অনেক ভালো লাগে। তাইতো চেষ্টা থাকে আমার সব সময় একটু ব্যতিক্রম ধরনের রেসিপি নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য। মাছে ভাতে বাঙালি। যত কিছুই আমরা খাই না কেন মাছ না খেলে যেন কেমন লাগে। আমাদের সবারই মাছটা অনেক বেশি পছন্দ। মাছ দিয়ে ভাত খেলে মনে হয় পেট ভরে একটু ভাত খাওয়া যায়।
মাছে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ।মাছ আমাদের শরীরের জন্য অনেক ভালো। একটু বেশি পরিমাণে খেলেও ক্ষতি নেই বরং তা শরীরের জন্য ভালো। মাছের চর্বিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। মাছ আমাদের চোখের জ্যোতি বাড়ায়। শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যা দূর করে। তাই সবার মাছ খাওয়া উচিত। আমি আজ আপনাদের মাঝে বাইম মাছের ভুনা নিয়ে হাজির হয়েছি।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে বাইম মাছের ভুনা রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি দেখে নেয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১।বাইম মাছ।
২।কাঁচা মরিচ।
৩।পেঁয়াজ।
৪।হলুদের গুঁড়া ।
৫।মরিচের গুড়ো।
৬।জিরাগুড়ো।
৭।ধনিয়া গুড়ো।
৮।রসুন।
৯।লবণ।
১০।আলু।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে মাছগুলো সুন্দর করে কেটে পরিষ্কার করে নিয়েছি ।
এবার সেই মাছগুলোর উপরের গায়ের চামড়াটা ছিঁলে নিয়েছিএবং পরিষ্কার পানি ও লবণ পানি দিয়ে আবারো সুন্দর করে ধুয়ে নিয়েছি।
কাঁচামরিচ পরিষ্কার করে রান্না উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
পেঁয়াজ কেটে রান্নার উপযোগী করে নিয়েছি।
রসুনের খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
একটি ফ্রাই পেনে মরিচ কুচি পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিয়েছি।
এবার মরিচ কুচির সঙ্গে অন্যান্য মশলার উপকরণ দিয়ে সুন্দর করে ভেজে নিয়েছি।
এবার ভেজে নেওয়া মসলার ভিতরে মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি ।
সেই মাছের ভিতর কেটে নেওয়া ছোট ছোট আলুগুলো দিয়ে একটু কষিয়ে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছি পানি যখন শুকিয়ে গিয়েছে তখন আমার রেসিপিটি হয়ে গিয়েছে। আর এভাবে হয়ে গেল আমার "মজাদার বাইম মাছের ভুনা"।এবার "মজাদার বাইম মাছের ভুনা"র একটি ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম ।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
আপনার তৈরি করা আজকের রেসিপি টা দেখে তো আমার খেতে ইচ্ছে করছে অনেক বেশি। এরকম রেসিপি গুলো খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি আজকের রেসিপিটা খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করলেন। দেখেই বুঝতে পারছি কতটা সুস্বাদু হয়েছিল রেসিপিটি। নিশ্চয়ই অনেক মজা করে খেয়েছিলেন এটা। অন্যরাও তৈরি করতে পারবে এটা দেখলে।
অনেক মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন তো আপনি। দেখেইতো জিভে জল চলে আসলো। মজার মজার খাবার গুলো খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। এই ধরনের খাবার গুলো দুপুরবেলায় বেশি মজা করে খাওয়া যায়। আপনার তৈরি করা আজকের রেসিপি টা আমার খাওয়া হয়েছে অনেকবার। এটা কিন্তু আমার মজা লাগে খেতে।
বাইম মাছ ভুনা আমার খুব পছন্দ। গরম গরম ভাতের সাথে বাইম মাছ ভুনা খাওয়ার মজাই আলাদা। রেসিপির কালারটাও চমৎকার এসেছে। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাইম মাছ খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আজকে আপনি বাইম মাছের মজার ভুনা রেসিপি করেছেন। তবে এই মাছগুলো খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো হয়। খুব সুন্দর করে বাইম মাছের ভুনা রেসিপি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
যেকোনো মজাদার রেসিপি দেখলে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আর আপনি কিন্তু সব সময় ভালো রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করেন। আজকের বাইম মাছের রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে ভীষণ মজাদার হয়েছে। তাছাড়া আমি নিজেও বাইম মাছ খেতে ভীষণ পছন্দ করি। বাইম মাছের ঝাল ঝোল খেতে আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে। এত সুন্দর রেসিপিটি মজাদার করে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।