অনুভূতিমূলক পোস্ট ||| ‎ছানা পায়েস বানানোর প্রথম অভিজ্ঞতা |||original writing by @saymaakter.

in আমার বাংলা ব্লগ17 days ago

আসসালামু আলাইকুম আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই-বোনেরা আশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থ সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন আমি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।

Messenger_creation_208A83A6-A1D4-4BEB-92CE-387555DF5FC7.jpeg


বরাবরের মত আবারও হাজির হলাম আপনাদের মাঝে নতুন আরেকটি ব্লগ নিয়ে। আজকের ব্লগটা একটু ব্যতিক্রম।নতুন কোন রেসিপি শেখার আগ্রহটা আমার অনেক বেশি। তাইতো সবসময় চেষ্টা করি নতুন কোন রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হওয়ার জন্য। কিন্তু আজকের রেসিপি পোস্টটি একটু ব্যতিক্রম। অনেকদিন থেকেই ভাবছি ছানা পায়েস তৈরি করা শিখব।

Messenger_creation_A0868FB0-C970-40D6-A399-3FD88A11DA0A.jpeg

কিন্তু কেন জানি বারবার মনে হচ্ছিল আমি করতে পারবোনা এই জন্যই এতদিন করা হয়নি কিন্তু শেষে করেই ফেললাম সাহস নিয়ে।যদিও রেসিপিটি অপরিপূর্ণ হয়েছে। তারপরও আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম কারণ প্রথমে ভেবেছিলাম রেসিপিটি আমি তৈরি করতে পারব না এজন্য ছবিগুলো উঠাতে পারিনি।

Messenger_creation_1BA34543-BAF4-431D-A1E5-F41E4A49F22D.jpeg

এরপর যখন সাহস নিয়ে আস্তে আস্তে প্রত্যেকটি ধাপ করলাম তখন মনে হচ্ছিল এই তো আমি করতে পারলাম। গাভীর দুধ যখন জাল করছিলাম। তখন অনেকগুলো দুধ ফেটে গেল মনটা নষ্ট হয়ে গেল। একেবারে চার পাঁচ কেজির দুধ আর কি ফেলে দেওয়া যায়। তখন চিন্তা করলাম দেখি সানা পায়েস তৈরি করি। ইউটিউবে সার্চ দিলাম সাথে সাথে চেষ্টা করতে লাগলাম। কিন্তু বাসায় যে গাভীর দুধ গুলো ছিল সবগুলো শেষ এখন আমার আরো ঘন পায়েস বানানোর জন্য দুধ লাগবে।

Messenger_creation_536F7D22-B735-48F4-B766-52E715DE2621.jpeg

তাই দেরি না করে চলে গেলাম পাশের এক দোকানে সেখানে আবারও দুই কেজি দুধ নিয়ে এসে দীর্ঘ সময় ধরে সেই দুধগুলো অনেক ঘন করে পায়েস তৈরি করলাম। আবার এদিকে ছানাগুলো ছাকনা দিয়ে ছেকে পরিষ্কার করে ধুয়ে হাতের সাহায্যে সুন্দর করে মেখে চিনি দিয়ে ছোট ছোট বল আকৃতি তৈরি করলাম।

Messenger_creation_CBCABC6C-73F6-48BC-8E73-D9D2A452D4D4.jpeg

বলগুলো যখন তৈরি করছিলাম আর মনে মনে চিন্তা করছিলা আমি এটা বানাতে পারব তো। কারণ এই ছানার পায়েস তৈরি করতে অনেক খরচ হয়ে গেল তারপরও যদি সফল না হয় তাহলে একটু মনটা খারাপ হওয়ারই কথা। বালগুলো ছোট ছোট করে বানিয়ে সেই ঘন করা পায়েসের ভেতরে বলগুলো ছেড়ে দিয়ে হালকা আচে নাড়তে থাকলাম।

Messenger_creation_0B7BFFA9-0BCE-4BEB-845D-8548F526AF49.jpeg

ছানাগুলো যখন সেই পায়েসের ভিতরে বড় হয়ে গেল এবং দেখে বুঝতে পারলাম ছানাগুলো বেশ সুন্দর মিষ্টি আকৃতি হয়েছে এবং পায়েসটিও অনেক ঘন হয়েছে তখন আমি নামিয়ে নিলাম। আর প্রথম ছানা পায়ের তৈরি এত সুন্দর হবে কল্পনাও করতে পারেনি।এই ছানা পায়েস তৈরি করতে যতটা সময় এবং পরিশ্রম করেছি সত্যিই যদি সুন্দর না হত অনেক মনটা খারাপ হত। এতে বোঝা গেল সত্যিই পরিশ্রম কখনো বিফলে যায় না।

Messenger_creation_0FCAA070-5AED-4D53-9403-D26BC1520A0A.jpeg

এতটা পরিশ্রম করলাম সেটার সফলতা আমাকে দিল সৃষ্টিকর্তা। আর অপরিপূর্ণ রেসিপিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। কারণ ফাস্টের ছবিগুলো উঠানো হয়নি। এই রেসিপিটি তৈরি করে সবাই মিলে যখন খাচ্ছিলাম এতটা মজা হয়েছিল। আসলে কোন কাজ এতটা কঠিন নয় যদি সাহস করে আমরা সেটার উদ্যোগ নেই ।

Messenger_creation_B1DB95C5-6B30-472B-B556-47F4948061B4.jpeg

আজকের মত এখানে শেষ করছি আবারো নতুন কোন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হবো। সে পর্যন্ত সকলের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।

আমার পরিচয়।

আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।

🇧🇩আল্লাহ হাফেজ🇧🇩

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81NHHer5pttSkxUWcabJpof3M5s5UtqChgwwfFjqBVeuxLYQFRXsHBuU6ggNYrPqsERfTQUhztnk5GB2KS6acVRY.png

Messenger_creation_FF6D906D-749B-4E07-8320-B599EE0CFF0F.png

Messenger_creation_2F56E3F2-027F-4EEF-9A13-7105084B0F77.png

Messenger_creation_5ECC1BDD-EC8B-4D17-9935-6B81DE8F1765.png



Sort:  
 16 days ago 

এরকম জিনিসগুলো খেতে কিন্তু খুবই ভালো লাগে। বড় বিষয় হল এই জিনিসগুলোতে চমৎকার স্বাদ পাওয়া যায়। যদিও বা প্রথম বানিয়েছেন তবে আপনার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজাদার হয়েছিল। আপনার অনুভূতি জানতে পেরে আমার কাছেও ভালই লাগলো।

 14 days ago 

ছানা পায়েস প্রথম বানানোর পর যে এতটা সাকসেসফুল হব কল্পনা করতে পারিনি।সত্যিই অনেক মজা হয়েছিল কিন্তু তৈরি করা অনেক কষ্টের।

 12 days ago 

পায়েশ খেতে আমি অনেক পছন্দ করি৷ তবে এরকম ছানা পাস কখনোই দেখা হয়নি৷ আপনার কাছ থেকে এই প্রথম এরকম পায়েস দেখতে পেলাম৷ যেভাবে আপনি আজকের এই পায়েস তৈরি করেছেন এবং প্রথমবার তৈরি করার পরে আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা দেখে খুব ভালই লাগছে৷ প্রথমবারই মনে হচ্ছে যে আপনি খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করতে পেরেছেন৷ একই সাথে এটি দেখতেও অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে৷