রেসিপি পোস্ট ||| মজাদার টেংরা মাছের দোপেয়াজি ||| original recipe by @saymaakter.
আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? প্রত্যাশা করছি আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই-বোনেরা সুস্থ সুন্দর ভাবে দিন যাপন করছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
বরাবরের মতো আবারো হাজির হলাম আপনাদের মাঝে নতুন আরেকটি ব্লগ নিয়ে।বর্তমান সময়ের আবহাওয়া দেখে বোঝার উপায় নেই কখনরোদ হবে এবং কখন বৃষ্টি পড়বে।এই প্রচন্ড সূর্যের তাপ কিছুক্ষণ পরে মেঘ ঢেকে গেছে আকাশ শুরু হয়ে যায় বৃষ্টি। এ যেন হঠাৎ বৃষ্টি। প্রকৃতির এরকম অপরূপ দেখতে অনেক ভালো লাগে। যদিও বৃষ্টি দেখতে বেশ ভালো লাগে কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টির আমাদের কাজকর্মে ও কৃষিকাজে ক্ষতির কারণ হয়েও দাঁড়ায়। তবে প্রত্যেকটা জিনিসের একটি নির্দিষ্ট সময় আছে।জমিতে যখন মেশিন দিয়ে পানি দেওয়া হয় সেই সময়টা যদি এই বৃষ্টিটি হয় তখন কৃষক ভাইদের জন্য অনেক উপকার হয়। বেঁচে যায় তাদের অনেক পরিমাণ টাকা। এবং জমির জন্য অনেক ভালো। আবার অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে আসে পাশে পরিবেশ সবকিছু শেতশেতে হয়ে থাকে এ জন্য নানান রকমের অসুখে আক্রান্ত হতে পারে ছোট বড় সকলে।সবকিছু একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকাটা ভালো। তবে সৃষ্টিকর্তা যা করেন সবকিছু মঙ্গলের জন্য করেন এটা আমাদের মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতে হবে।
আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে।মুখরোচক খাবারগুলো সবাই পছন্দ করে। তাইতো টেংরা মাছের দো পেঁয়াজি নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের মাঝে।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে টেংরা মাছের দোপেয়াজি রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১।টেংরা মাছ।
২।পেঁয়াজ।
৩।কাঁচা মরিচ।
৪।হলুদের গুঁড়ো।
৫।মরিচের গুঁড়ো।
৬।জিরা গুঁড়ো।
৭।রসুন।
৮।লবণ।
৯।তৈল।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে টেংরা মাছগুলো পরিষ্কার করে কেটে ধুয়ে নিয়েছি।
এবার পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে পেঁয়াজ রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
কাঁচামরিচ পরিষ্কার করে ধুয়ে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
একটি ফ্রাই পেনে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ নিয়েছি।
এবার কাঁচা মরিচ ও পেয়াজে মসলার সমস্ত উপকরণগুলো দিয়ে দিয়েছি।
সমস্ত মসলার উপকরণগুলো হাত দিয়ে সুন্দর করে মেখে নিয়েছি।
এবার মেখে নাওয়া পেঁয়াজ মরিচের ভেতরে মাছগুলো দিয়ে আরেকটু আলতো ভাবে মেখে নিয়েছি ।
সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে রান্না বসিয়ে দিয়েছি এবং ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এবার পানি শুকানোর আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি যখন রেসিপির পানি শুকিয়ে গেছে তখন চুল থেকে নামিয়ে নিয়েছি।আর এভাবে হয়ে গেল আমার "মজাদার টেংরা মাছের দোপেয়াজি"। এবার "মজাদার টেংরা মাছের দোপেয়াজি" এর একটি ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম ।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
একেবারে লোভনীয় রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। টেংরা মাছ আমার ভীষণ পছন্দের একটি মাস। সেই সাথে আপনি যেভাবে রান্না করেছেন তাতে মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল। যাইহোক এরকম মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
খুবই সুস্বাদু এবং লোভনীয় একটি রেসিপি। টেংরা মাছের দোপেয়াজি দেখেই লোভ হচ্ছে। খুব সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে আজকে আপনি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ।
টেংরা মাছের দোপেয়াজি খুবই লোভনীয় লাগছে। এই খাবারগুলো খেতেও অনেক ভালো লাগে। চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
টেংরা মাছ খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আজকে আপনি মজার টেংরা মাছের দোপেয়াজি রেসিপি করেছেন। আর এই ধরনের রেসিপির মধ্যে পেঁয়াজ এবং মরিচ একটু বেশি দিলে খেতে বেশ মজাই লাগে। খুব সুন্দর করে রেসিপিটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
একেবারে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার কাছ থেকে আজকের এই সুস্বাদু রেসিপি দেখে খুব ভালোই লাগছে৷ যেভাবে আপনি এই রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা যেরকম সুন্দর হয়েছে৷ একই সাথে এখানে রেসিপি শেয়ার করার মধ্য দিয়ে আপনার কাছ থেকে একেবারে নতুন এবং সুস্বাদু রেসিপি দেখতে পেলাম৷ যেভাবে আপনি আজকের এই শেয়ার করেছেন তা আগে কখনো দেখা হয়নি এবং ডেকোরেশন একেবারে লোভনীয় মনে হচ্ছে৷
মাছের কালার দেখেই তো লোভ লেগে গেল। দেখেই তো বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই চমৎকার হয়েছিল। আর এই মাছগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। দারুণ হয়েছে এই রেসিপি।