ছোট গল্প পোস্ট ||| আনন্দ যখন শোকে পরিনত হয় ||| original writing by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করছি পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুস্থ সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি ছোট গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের গল্পটি একটু ব্যতিক্রম।আমার গল্পটির "আনন্দ যখন শোকে পরিনত হয়"।
ঈদের আনন্দ প্রতিটি পরিবারেই লেগে থাকে। তাই সেই আনন্দের জন্য ঈদের আগে থেকেই সবাই প্রিপারেশন নেয় কি করবে কি করে দিনটি পাড়ি দিবে।শপিং বাজার ঘাট বলবে সব কিছুই প্রত্যেকটি পরিবারের প্রাণমাফিক হয়। কোথায় ঘুরতে যাবে কোথায় গেলে আনন্দ বেশি হবে এটা যেমন বড়রা প্ল্যান করে ছোটরা ও মনের ভেতরে একটা স্বপ্ন আকে।কার জীবনে কখন কি আসবে কি হতে যাচ্ছে কি হবে এটা আমরা কেউ বলতে পারি না। একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কেউ বলতে পারবে না কার কখন কি হবে।সুখ দুঃখ নিয়েই মানুষের জীবন কিন্তু আনন্দের পাশে যদি সহ্য না করার মতো কষ্ট কারো জীবনে তবে সেটা মেনে নেওয়ার মতো না।
এইতো সেদিন বাসা থেকে বের হতেই দেখি দুটো ছোট বাচ্চা খেলছে আমার বাসার সামনে। একটি বয়স পাঁচ বছর আরেকটির তিন বছর। বাচ্চাগুলো এত সুন্দর ভাবে খেলছিল আমি বাচ্চাগুলোকে দেখছিলাম। তাদের বাসা আমার বাসার একটু সামনে। তাদের সঙ্গে কথাও বলছিলাম। আমি আসলে ছোট বাচ্চা দেখলে তাদের সঙ্গে কথা না বলে থাকতে পারিনা ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাইতো সব সময় আগ্রহ দেখিয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলি এবং তাদের আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করি।
একটু পরে তাদের সঙ্গে কথা বলতে বাচ্চাগুলো চলে গেল। ঈদের একদিন আগেও তাদের সঙ্গে দেখা তারা খেলছিল তার মা দাঁড়িয়েছিল ওখানে। দিন তারা সবাই ঈদ করলো। কিন্তু ঈদের পরের দিন তারা পুরো পরিবার তার নানুর বাসায় গিয়েছে। নানুর বাসায় সারাদিন ছিল। পরের দিন সবাই মিলে ঘুরতে যাবে। বাচ্চা দুটোকে বাবা মার রেডি করে বাইরে দাঁড়িয়ে রেখেছে। আর বাবা-মা রেডি হচ্ছিল। এই মুহূর্তে বড় ছেলেটি ভিতরে চলে এসেছে। আর ছোট তিন বছরের বাচ্চাটি বাইরে একটি লাঠি দিয়ে খেলছিল। আশেপাশের বাচ্চাগুলো সবাই চলে গেছে ওই জায়গায় বাচ্চাটি একাই ছিল এবং তার পাশে একটি পুকুর ছিল।
খেলতে খেলতে বাচ্চাটি পুকুরের সামনে যায়। এবং তার হাতের লাঠিটি পুকুরের ভেতর পড়ে যায়। তারপর থেকেই ছোট বাচ্চাটিকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । বাচ্চাটির বাবা-মা বাইরে বের হয়ে দেখে বড় ছেলেটি আছে ছোট ছেলেকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছে না। বেশি সময়ের ব্যাপার না মাত্র ৩০ মিনিট সময়ের ব্যাপার এর ভিতরে ঘটনাটি ঘটে গেছে। বাবা দৌড়ে এসে আগে পুকুরের ভেতরে দেখলো।
পুকুরের ভেতরে দেখে ছোট বাচ্চাটি ভেসে আছে। এ দেখে সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাটিকে কোলে নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হলো কিন্তু ডাক্তার শেষ মুহূর্তে একটি কথাই বলো আপনার বাচ্চা মারা গেছে। আসলে এমন একটি সংবাদ তার বাবা আশা করেনি। তার বাবা সহ্য করছিল না। বারবার বলছিল আমার এই আনন্দ যেন কাল হয়ে রবে সারা জীবন । কেন আমি ঈদের আনন্দ করতে চলে এলাম এখানে। আমি বাসায় থাকলে আর এই দুর্ঘটনা ঘটতো না আমার ছেলে কেউ হারাতে হতো না। সত্যি কথা বলতে যখন সংবাদটি পেলাম আমার মনে হচ্ছিল গায়ের লোম দাঁড়িয়ে গেছে এবং এতটা কষ্ট লাগছিল।
তাই ছোট বাচ্চা থাকলে সবাই সাবধানে থাকবেন আজ যদি বিশেষ করে আশেপাশে পুকুর থাকে সবাইকে খুব সাবধানে থাকতে হবে। সত্যিই কিছু আনন্দের সময় কষ্টদায়ক । আমার এই ছোট্ট জীবনের গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো। যদি ভালো লাগে আবারো হাজির হবো নতুন কোন জীবনের গল্প নিয়ে।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
https://x.com/mst_akter31610/status/1934569732667245024?t=gZTM2a8JKGzn79LRJ5iu_w&s=19
https://x.com/mst_akter31610/status/1934570844908556586?t=RjVHFjiMpZuPr4m_ohynUw&s=19