জেনারেল রাইটিং পোস্ট ||| বিপদে মানুষ চেনা যায় ||| original writing by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা করি সকলেই সুস্থ আছেন এবং ভালো সময় পার করছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ও মহান আল্লাহতালার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আজকে আমি আবারও আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হতে চলেছি। আশা করি আমার ব্লগ গুলো পড়তে আপনাদের ভালো লাগে কারণ আপনাদের সুন্দর সুন্দর কমেন্ট পড়ে লেখালেখির আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি জেনারেল রাইটিং নিয়ে হাজির হতে চলেছি।আশা করি আজকের এই ব্লগটি পড়তেও আপনাদের ভালো লাগবে।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের ব্লগে কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
ছোটবেলা থেকে একটি কথার সঙ্গে আমরা অনেকেই অনেক পরিচিত।দাদা ও নাানারা বলতো সুসময়ে অনেকে বন্ধু বটে,অসময়ে হায় হায় কেউ কারো নয়।কথাটি মানতাম আবার অনেক সময় মানতাম না কারণ আমার কাছে মনে হতো সুসময় আর অসময় কোন সময়ই বন্ধু নিকট আত্মীয় দূরে চলে যাবে না বা যায়না কিন্তু যতই বড় হচ্ছি দায়িত্ববোধ বাড়ছে ততই এই কথাটির সঙ্গে বেশি ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে যাচ্ছি।এখন দেখছি বিভিন্ন সময় যখন অর্থনৈতিক সংকট বা কোন কাজের সমস্যা দেখা দেই তখন বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সেই সমস্যাটি শেয়ার করা হয়। তখন দেখা যায় তাদের অনেক ব্যস্ততা অর্থনৈতিক সংকট যে ব্যস্ততা বা সংকট হয়তোবা আমার কখনোই হয়নি।তাদের ব্যস্ততা এবং সংকট দেখে মনে হয় আমার যদি আরও সময় থাকতো তাহলে আমি তাদের কোন একটা কাজে হেল্প করতাম বা আমার যদি মহান সৃষ্টিকর্তা আরো বেশি টাকা পয়সা দিত আমি তাদেরকে অর্থনৈতিক সাপোর্ট করতাম।
আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব সবার সাথে সম্পর্কটা মানে এটি যে আমি বা আমার কোন বন্ধু বা আত্মীয় সমস্যায় পড়বে সবাই মিলে তার সেই সমস্যাটি সমাধান করব।মনে হয় বন্ধুত্ব এবং আত্মীয়-স্বজনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় এটি হওয়া উচিত। তবে একটি জিনিস দেখছি যে যদি কারও ভালো সময় যায় তখন তার বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতা এবং সহমর্মিতার অভাব হয় না।আবার পরক্ষণেই যখন ঐ ব্যক্তিটা কোন সমস্যায় পড়ে সেই সময় সহযোগিতা এবং সহমর্মিতার লোকগুলো আর আশেপাশে খুঁজে পাওয়া যায় না এটি হলো আমাদের বাঙালির জন্য সবচেয়ে বড় অধঃপতনের কারণ।
আমরা কখনোই স্বার্থ ছাড়া কারো সাথে মিশি না নিজের স্বার্থ পূন্য হলে আর চিনি না, এটি হলো আমাদের মূল আদর্শ।তবে এই আদর্শের কারণেই বাঙালি আজকে বেশি দূর এগিয়ে যেতে পারেনি, এই এগিয়ে না যাওয়ার মূল কারণ আমাদের এই স্বার্থ।তবে কেন যেন আমার এই জিনিসটা কাজ করে না। আমি সবসময় চেষ্টা করি সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকার এবং যতটুকু সম্ভব নিজের যতটুকু আছে ততটুকু দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করার। আমি সবার সব অপূর্ণতা পূর্ণতায় রূপ দিতে পারি না,তবে আমার যতটুকু আছে ততটুকু দিয়ে চেষ্টা করি।তবে মহান আল্লাহ তা'আলা যদি আমাকে আরো বেশি সহযোগিতা করার সুযোগ করে দেয় অবশ্যই আমি সেই সহযোগিতা সব সময় করে যাব।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
আপু আপনি অনেক সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করছেন।আপনি ঠিকই বলছেন স্বার্থ ছাড়া কেউ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায় না।স্বার্থ যখন ফুরিয়ে যাবে তখন সাথে সাথে মানুষটিও চলে যাবে।তখনই বোঝা যায় মানুষ বিপদে কতটুক এগিয়ে আসে।বিপদে পড়লেই মানুষকে চেনা যায়।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু বিপদে পড়লে মানুষ চেনা যায়। কারণ মানুষ যখন বিপদে পড়ে আশেপাশের লোকগুলো তখন সাপোর্ট করে না বরং আরো উল্টো কথা বলে। আবার অনেক মানুষ আছে স্বার্থের কারণে পাশে থাকে। আর আপনি ঠিক বলেছেন স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে ওই লোকগুলো চিনেও না ঠিকমতো। বাস্তবিক কথা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।