হ্যালো বন্ধুরা,

মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে ভালো আছি।

বন্ধুরা,আমি @shimulakter"আমার বাংলা ব্লগ" এর একজন নিয়মিত ও অ্যাক্টিভ ইউজার।বাংলায় ব্লগিং করতে পেরে আমার অনেক বেশী ভালো লাগা কাজ করে মনের মাঝে।তাইতো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত মনের নানান অনুভূতি গুলো নিয়ে নানা রকমের পোস্ট শেয়ার করে থাকি।আজ ও আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিযে।আশাকরি সবাই সঙ্গেই থাকবেন।

আজ ছেলের স্কুলের ফুটবল টুর্নামেন্টের প্র্যাকটিসঃ

বন্ধুরা,আজ আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।আজকের ব্লগটি লাইফ স্টাইল ব্লগ।জীবনে ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা থেকে কিছু ঘটনা আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি।আজ ও এর ব্যতিক্রম হয়নি।আজ শেয়ার করবো ছেলের স্কুলের ফুটবল টুর্নামেন্টের প্র্যাকটিস বিষয়টি নিয়ে ব্লগ শেয়ার করতে।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন বিষয় নিয়ে ব্লগ শেয়ার করার।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন আমার ছেলে খেলার প্রতি ভীষন আগ্রহী।তাও আবার ফুটবল খেলার প্রতি।মূলত বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখার পর থেকেই ওর ফুটবল খেলার প্রতি বিশেষ ঝোঁক লক্ষ্য করা যায়।আর ওর প্রিয় দল আর্জেন্টিনা।ওর কথা আর কি বলবো বাসার সবাই আসলে আর্জেন্টিনার সাপোর্টার।একা আমি ব্রাজিলের সাপোর্টার ছিলাম।গত বিশ্বকাপ খেলা দেখে ই মূলত ফুটবল খেলার প্রতি ও ঝুঁকে পরে।যদিও স্কুলে শুক্রবার ও শনিবার স্পোর্টস ক্লাবে ফুটবল খেলার প্র্যাকটিস করান স্যার।কিন্তু পড়াশোনার দিকে মন না দেয়ায় আমি ওকে এই স্পোর্টস ক্লাবে ভর্তি করাইনি।আমার ছেলে এবার ক্লাস ফাইভে পড়ছে।তাই আমি বলেছিলাম তুমি লেখাপড়ার মন দাও আমি তোমাকে ক্লাস সিক্স থেকে স্পোর্টস ক্লাবে ভর্তি করিয়ে দিব।

ছেলেদের খেলার আগ্রহ দেখে স্যার ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছেন।ক্লাস ফাইভ থেকে টেন পর্যর্ন্ত ছাত্রদের নিয়ে এই টুর্নামেন্ট। আগে প্র্যাকটিস ও বাছাই পর্ব ছিল আজ।আর তাই সকাল ৭ টার সময় স্কুলে চলে গিয়েছিলাম ছেলেকে নিয়ে।স্যার বলেছিল বেশকিছু সময় লাগবে প্র্যাকটিস করতে।তাই কিছু সময় স্কুলে ছেলের খেলার প্র্যাকটিস দেখে বাসায় চলে এসেছিলাম।আর তখন ফটোগ্রাফি গুলো করে নিয়েছিলাম।এরপর স্যার ফোন করলে ১০ টার দিকে ওকে আনতে যাই।

স্কুলে গিয়ে শুনতে পাই যে ছেলেটি গোলকিপার হয়েছিল সেই ছেলেটি দূর থেকে ছুটে আসা বল ধরতে গিয়ে প্রচন্ড চাপে হাত ভেঙে ফেলে।এরপর ছেলেটির বাবা ছেলেটিকে নাকি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়।আসলে এ ধরনের খবর শুনলে মনটা খারাপ হয়ে যায়।ছেলেকে খেলতে দিতে ও ইচ্ছে করে না।সবকিছু ভালোর মধ্যে এই ঘটনাটি শুনে মনটাই খারাপ হয়ে গেলো।বাচ্চাদের নিয়ে ভয়ের শেষ নেই।দুর্ঘটনা না হলে বাচ্চারা খেলাধুলা আনন্দ নিয়ে উপভোগ করতে পারে।এসব দুর্ঘটনার জন্য ই মায়েরা ভয়ে থাকে বাচ্চাদেরকে নিয়ে।যাই হোক সামনে খেলা হলে সেই অনুভূতি গুলো ও আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নেবো।

আজ আর নয়।সবাই সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন।আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে।

ধন্যবাদ সবাইকে

@shimulakter

পোস্ট বিবরন

শ্রেনি	লাইফ স্টাইল
প্রয়োজনীয় ডিভাইস	Samsung A 20
ফটোগ্রাফার	@shimulakter
স্থান	ঢাকা

আমার পরিচয়

আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।