অনলাইন কেনাকাটা
|| আজ ৩১ মে, ২০২৪|| রোজ: শুক্রবার ||
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমি সত্যি বলতে খুব বেশি ভালো নেই। গতকাল থেকে হুট করে জ্বর, সাথে মাথা ব্যাথা। গতকাল হ্যাং আউট দারুণ ভাবে ইঞ্জয় করে বেশ ভালো লাগছিলো। তবে আজ সকাল থেকে আবারো জ্বর টা কাহিল করে দিয়েছে। যাই হোক, আজ আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করবো আজকের পোষ্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে।
শপিং মেয়েদের খুব পছন্দের একটি কাজ! অন্তত বেশিরভাগ মেয়েদের ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য। আমি যদিও চেষ্টা করি সবসময় বুঝে-শুনেই শপিং করার, মানে অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা থেকে নিজেকে দূরে রাখারই চেষ্টা করি। তবুও অনলাইন এর মাধ্যমে অনেক কিছুই চোখে পড়ে ভালো লেগে যায়, নিতেও মন চায়! যে জিনিসগুলো হয়তো অতটাও প্রয়োজনীয় ও না... তবে থাকলেও মন্দ হয় না টাইপ! 😛 আর অনলাইন এ এখন এত এত জিনিস পাওয়া যায়, দেখলে নিতেও ইচ্ছে করে। আজ তেমন ই কিছু জিনিসের শপিং অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
কিছুদিন আগেই যে গরম টা পড়েছে, যারা বাহিরে কাজ করেন বা যে কোন প্রয়োজন এই বের হয়েছেন, তারা বুঝেছেন বাহির থেকে ফেরার পর কেমন লাগে স্কিনে! আমার তো স্কিন যেন জ্বলতে থাকে রীতিমতো! তাই অনলাইনে আইস রোলার দেখে অর্ডার দিয়ে দিলাম এটা সিলিকন এর একটি মোল্ড, এর ভেতরে জল রেখে ডীপে রেখে বরফ করে নিলে সেটা মুখে, ত্বকে যে কোন স্থানে লাগাতে অনেক সুবিধা হয়।
আরেকটা বেশ কাজের জিনিস নিয়েছি, সেটা হচ্ছে হেড ম্যাসাজার। হাতের মতোন অংশটার কথা বলছি! আমার যেহেতু মাথাব্যাথার সমস্যা রয়েছে, এটি আমার জন্য ভীষণ উপকারী হবে আশা রাখি। মূলত এটি ন্যাচারাল এক ধরনের পাথরের সাহায্যে বানানো। মাথা ব্যাথার সময়ে কেউ মাথায় হাত বুলিয়ে দিলে যে কী আরাম লাগে, সেটা তো সকলেরই জানা! কিন্তু সেটা নিজে নিজে হাত দিয়ে দিলে আর তেমন আরাম লাগে না আমার! আজ হাতে পেয়েই ব্যবহার করেছি জিনিসটা! আমার তো বেশ আরাম লেগেছে। আবার ঘাড়ের দিকেও সুন্দর ম্যাসাজ করা যায় এটার সাহায্যে!
আমি এবং আমার হাজবেন্ড দুইজনই চশমা ব্যবহার করি। তাই অনলাইনে দেখে দুইজনের জন্য দুইটা গ্লাস ক্লিনিং কিট কিনেছি। আমার হাজবেন্ড যদিও সবসময়ই চশমার গ্লাস মোছার জন্য নির্দিষ্ট কাপড় ই ব্যবহার করে, তবে আমার ই করা হয় না। এখন আগামীকাল আবারো নতুন করে চোখের ডাক্তার দেখানোর কথা আছে, নতুন চশমার শুরু থেকে একটা নতুন ভালো অভ্যেস কন্টিনিউ করতে পারলে তো ভালোই হয়। আরো দুইটা জিনিস নিয়েছি ফেস স্ক্রাবার এবং বডি লোফা স্ক্রাবার। ফেস স্ক্রাবার টাও সিলিকন ম্যাটেরিয়ালের। সাধারণত আমাদের মুখে ঘাম এবং নানা ধরনের দূষিত জীবাণু আসলে থেকেই যায়, যেটা শুধুমাত্র হাত দিয়ে ফেসওয়াশ ব্যবহার করে দূর করা মুশকিল। বিশেষ করে নাকের এরিয়ায় ব্লাক হেডস এবং হোয়াইট হেডস ছেলে-মেয়ে উভয়েরই একটি কমন সমস্যা। এই স্ক্রাবার ব্যবহার করলে বেশ ভালো করে সেসকল ময়লা দূর হবে- এমনটাই দাবি করেছেন। এখন দেখা যাক ব্যবহার করে কী অবস্থা দাঁড়ায়। এই ই ছিলো আমার টুকটাক অনলাইন কেনাকাটার আপডেট! যত সিলি জিনিস ই হোক না কেন,, আসলে কেনার পর কনফিউশান কাজ করা আমার বেশ বাজে একটা স্বভাব। কিনে ঠিক করলাম নাকি ভুল করলাম এসব নিয়ে কনফিউজড থাকি। এখন আপনারা একটু আমার কনফিউশান কমায় দেন তো....
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি তো দেখছি আপু অনলাইন থেকে বেশ অনেক কিছু কেনাকাটা করেছেন। আমি আমার জীবনে কখনো অনলাইন থেকে কেনাকাটা করিনি। ভয় লাগে টাকা মেরে যাবে বলে। তবে আপনার আজকের এই অনলাইন থেকে কেনাকাটার অনুভূতিটা দেখে ভালো লাগলো।
তাই নাকি আপু! এক দিক থেকে ঠিক ও আছে! অনলাইনে কেনাকাটা একবার শুরু করলে তা অভ্যেস হয়ে যায় আপু! আর ব্যাঙের ছাতার মতোন অনেক অনেক অনলাইন পেইজ হওয়ায়, অনেক পেইজ ফ্রড ও হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অগ্রীম কোন টাকা দিতে হয় না। ডেলিভারি পাওয়ার পর প্রোডাক্ট চেক করে তারপর টাকা দিতে হয়, এমন জায়গা থেকেই আমি অনলাইন কেনাকাটা করে থাকি।
আশাকরি আপনার জ্বরটা দ্রুতই ঠিক হয়ে যাবে এবং আপনি পুরো সুস্থ্য হয়ে যাবেন। সত্যি বলতে আমি এমন কোন মেয়ে দেখিনি যে শপিং করতে পছন্দ করে না হা হা। কয়েকদিন আগে যে রোদ পড়েছে সত্যি বলতে বাইরে বেরই হওয়া যেত না। ত্বকে একেবারে পুড়ে যেত। আপনার শপিং ম্যাটেরিয়াল গুলো দেখলাম। বেশ ভালো লাগল।
শপিং সবাই ই করে ভাই, খালি দোষ হয় মেয়েদের।
আশা করছি যে জিনিস গুকো কিনেছি, সেগুলো যে উদ্দেশ্যে কিনেছি, সেগুলো সার্ভ করবে ঠিকঠাক ভাবেই। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
প্রচন্ড গরম থেকে হঠাৎ করে ঠান্ডা পড়ার কারণেই হয়তো আপনার জ্বর হয়েছে দিদি। তবে এটা যেহেতু সিজনাল জ্বর, তাই আশা করা যায় তেমন বিশেষ কোন সমস্যা হবে না। আসলে আমরা এখন অনলাইনে যে কেনাকাটা করি, সেগুলোর মধ্যে প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রয়োজনীয় জিনিসই বেশি থাকে। তবে আপনি যে জিনিসগুলো কিনেছেন, সেগুলো মোটামুটি সবই প্রয়োজনীয়। অনেক ভালো লাগলো দিদি, আপনার কেনাকাটার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পেরে।
হ্যা, অনলাইনে অনেক কিছুই চোখের সামনে দেখতে ভালো লাগে আর কেনা হয় যাগ অপ্রয়োজনীয় ভাবেও। আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভাই।