চাহিদা, প্রয়োজন ও ত্যাগ — বাস্তব শিক্ষা
আমরা বেঁচে থাকতে গেলে আমাদের কিছু মৌলিক চাহিদা রয়েছে। যেই চাহিদাগুলো আমাদের সকলকেই পূরণ করতে হয়। এরপরে আছে প্রয়োজনীয়তা। আমাদের জীবন নির্বাহের জন্য আমাদের কোন কোন বিষয়গুলো প্রয়োজন, জীবনে ভালো কিছু করতে গেলে কোন কোন বিষয়গুলো প্রয়োজন সেগুলো আমরা নিজেরাও নেওয়ার চেষ্টা করি এবং সর্বোপরি আমরা চেষ্টা করি এই জীবনকে একটি সমৃদ্ধশালী জীবনে পরিণত করতে।
তখনই আসে ত্যাগের মুহূত্য। কারণ আপনি যদি নিজের ত্যাগ স্বীকার করতে না পারেন তাহলে অন্যরা আপনার জন্য কখনোই ত্যাগ স্বীকার করবে না। এই বিষয়গুলো আমরা মাঝেমধ্যেই ভুলে যাই। আমাদের যতটুকু চাহিদা কিংবা প্রয়োজন রয়েছে এর বাড়তি যেগুলো রয়েছে সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে অন্যদেরকে সাহায্য করা উচিত বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। এবং এই শিক্ষাগুলো আমাদের ছোটবেলা থেকেই দেওয়া উচিত বলে মনে করি ঠিক যেমনটা জাপানের স্কুলে হয়।
আমি যতটুকু শুনেছি এবং যতটুকু জানি সেই জানার মধ্যে থেকেই বলছি, জাপানের স্কুলে প্রথম কয়েক বছর কোন ধরনের পরীক্ষা থাকে না। বরঞ্চ তাদেরকে শেখানো হয় কিভাবে এই সমাজে বিচরণ করতে হবে কিভাবে মানুষের সাথে সদাচারণ করতে হবে কিভাবে এই সমাজে চলতে হয়। আপনি জানলে অবাক হবেন জাপানের স্কুলে কোন ধরনের স্টাফ নেই। বরঞ্চ বাথরুম থেকে শুরু করে ক্লাস রুম পর্যন্ত সবাই সবকিছুই স্কুলের শিক্ষার্থী টিচার এবং অন্যান্য কর্মকর্তা নিজেরাই পরিষ্কার করেন। কারণ তারা জানেন নিজের কাজে কোন লজ্জা নেই। এই বিষয়গুলো ছোটবেলা থেকেই যখন শিক্ষা দেওয়া হয় তখন সেই জাতীয় অবশ্যই উন্নত করে উঠবে।