খুন অত:পর ফোন!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
মাঝেমধ্যে কিছুটা সময় পাওয়া গেলে আমি সব সময় চেষ্টা করি কিছুক্ষণ ফোন ঘাটাঘাটি করতে। অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়া। কারণ সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিদিনকার বিভিন্ন তথ্যবহুল ব্যাপার জানা যায়। সে সাথে অনেক অপ্রয়োজনীয় ব্যাপার ও জানা যায়। যাই হোক,আসলে আমাদের জেনারেশন এর এটাই সমস্যা। অর্থাৎ আমরা আমাদের সময়ের অনেকটা বেশি মোবাইল কিংবা ইন্টারনেট জগতের সাথে কাটিয়ে থাকি। যাই হোক, সেটা অন্য ব্যাপার। তবে গতকাল আসলে আমি সোশ্যাল মিডিয়া চেক করতে করতে একটা ব্যাপার অর্থাৎ একটা লেখাতে এসে একেবারে থমকে গেলাম এবং লেখাটি পড়ার পরে আসলে আমি ভালো ও নাকি খারাপ রিঅ্যাকশন দিবো। সেটা আমি নিজেই কনফিউজড হয়ে গিয়েছিলাম।
তার কারণ হলো ঘটনাটি আমি একটু সংক্ষিপ্তভাবে বলছি। তারপরে আমার এই রিয়েকশন এর কনফিউশন নিয়ে লিখছি। ঘটনাটি হলো একজন স্বামী তার স্ত্রীকে খুন করে এরপরে ৯৯৯ এর ফোন দিয়ে বলেছে যে তিনি তার স্ত্রীকে খুন করে ফেলেছেন। তাকে যেনো এসে নিয়ে যায় এবং স্বামী কিন্তু পালিয়ে যায়নি। যাইহোক, এর পরে স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো যে কেনো তিনি তার স্ত্রীকে খুন করলেন। তো পরবর্তীতে স্বামী এটাই বললেন। অর্থাৎ অনেক কিছু বলেছে আমি সংক্ষিপ্ত করে বলছি। সেটা হলো উনার স্ত্রী পরকীয়াতে আসক্ত ছিলো এবং অনেকবার অনেকভাবে বোঝানোর পরেও বোঝেনি এবং শেষ পর্যায়ে একটা সময়ে হুট করে এই ঘটনাটি উনার হাত দিয়ে হয়ে গিয়েছিলো।অর্থাৎ তিনি চায়নি মারতে। কিন্তু রাগারাগির একপর্যায়ে ব্যাপারটি ঘটে গিয়েছে।
তারপরে ওনাকে সাংবাদিক জিজ্ঞেস করলেন যে, কেনো তাহলে তিনি পালিয়ে গেলেন না। তার উত্তর শুনে আমি সত্যিই খুব অবাক হয়েছি এবং বেশ খারাপ লেগেছিলো লোকটার জন্য এবং ওই মহিলাটির জন্যও। কারণ লোকটি এটাই বললেন যে, তিনি তার স্ত্রীকে অনেক বেশি ভালোবাসেন। তো তার স্ত্রী যখন মারা গিয়েছেন তখন আসলে তিনি আর বেঁচে থেকে কি করবেন। তাই তিনি নিজেই ধরা দিয়েছেন।
ভালোবাসা আসলে খুব অদ্ভুত। আর উনার এই ব্যাপারটি দেখে অর্থাৎ নিজে খুন করে নিজেকে নিজেই ধরিয়ে দিলেন এবং পরবর্তীতে উনি আসলে অনেক কান্নাকাটি করলেন। যাই হোক, সব মিলিয়ে আমি ব্যাপারটি ভালো না খারাপ সে দিকে যাচ্ছি না। কিন্তু সত্যি কথা বলতে আমার ব্যক্তিগতভাবে খারাপ লেগেছে। কারণ দুজন মানুষ চাইলেই হয়তো পারতো তাদের দুজন মিলে একসঙ্গে খুব ভালো হাসিখুশি থাকতে। কিন্তু নিয়তিতে অন্য কিছু লেখা ছিলো।
এটা সত্যিই দেখায় যে দুনিয়াটা কতটা এলোমেলো হয়ে গেছে। আমি কীভাবে 'Puss' ব্যানার পেতে পারি বা আমার আর্টিকেলে 'Puss' প্রচার করতে পারি?
ki xd- ,