খোলস
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
মাঝেমধ্যে আমাদের প্রিয়জনেরা হুট করেই বদলে যায়। এমন ভাবে বদলায় যেনো মনে হয় যে, রাত যেভাবে হুট করে ভোর হয়ে যায়। অর্থাৎ রাত ভোর হওয়াটা যতোটা তফাৎ। তাদের বদলে যাওয়াটাও আমার কাছে ততোটাই তফাৎ মনে হয়। কিন্তু আমি জানিনা যে, কেমন মানুষ কিভাবে বদলে যেতে পারে। যেমন আজকে একটা লেখা পড়লাম। যেটা পড়ার পরে সত্যিই আমার বেশ খারাপ লেগেছে।
লেখাটি হলো একজন হাজবেন্ড এবং ওয়াইফ খুব সুন্দর সুখী জীবনযাপন করতেন এবং উনার হাজবেন্ড উনার মতে। অর্থাৎ উনি যে বর্ণনা দিয়েছেন সে হিসেবে উনার হাজবেন্ড অসম্ভব অমায়িক ভদ্র এবং চরিত্রবান একজন পুরুষ মানুষ এবং যখন ওই মহিলার বাচ্চা হয়। তখন একজন মেয়েকে তার ঘরে এনে রাখে কাজকর্ম করার জন্য এবং পরবর্তীতে যেটা দেখা যায় সেটা হল যে মেয়েটিকে কাজ করার জন্য আনা হয়েছে অর্থাৎ সে যে একেবারে কাজের মেয়ে, তা নয়। অর্থাৎ শিক্ষিত তবে হেল্প করার জন্য এসেছিলো। তো ওর সাথেই পরবর্তীতে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়।
আচ্ছা, এখানে আপনি বলুন তো তাহলে কি ওই মানুষটিকে কখনোই ভালো মানুষ বলা চলে? আমার মতে বলা চলে না। কারণ আমার মতে সে একটা খোলস পরে এতোদিন ছিলো। যেই খোলস খুলে ফেলেছে, সেই ওই মানুষের আসল চরিত্র বের হয়ে এসেছে। এতোদিন হয়তো সে তার খোলস বদলানোর সময় পাচ্ছিলো না। তাই ভালো মানুষ সেজেছিলো।আসলে এই ধরনের মানুষকে আমি খুব বেশি অপছন্দ করি। কারণ যারা খারাপ, তারা খারাপ। যারা ভালো, তারা ভালো। কিন্তু এই যে যারা খোলস পরে থাকে, তারা অসম্ভব ভয়ংকর। আর যারা এই খোলস পরে থাকে, তাদেরকে আসলে চেনা ও মুশকিল। কারণ তারা যতক্ষণ পর্যন্ত নিজের রূপ সামনে না আনছে। ততক্ষণ পর্যন্ত কিন্তু তাদেরকে ধরাটাও অসম্ভব।