মেয়ে নাকি বাজারের পণ্য!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমি আজকে আমার এক আত্মীয়ের গল্প শোনাবো আপনাদের। হ্যাঁ, ঠিক শুনছেন। আমি সত্যি আমাদের এক আত্মীয়ের গল্প শোনাবো এবং সেটাও আবার নেগেটিভ কারণ আমরা আসলে সব সময় একটা নেরেটিভ সেট করি যে, ওই মানুষটি আমার আত্মীয় বলে ওর খারাপ সম্পর্কে আলোচনা করা যাবে না। ওর খারাপ দেখলেও সে সম্পর্কে তাকে জানানো যাবে না। কিন্তু আমি একেবারে ব্যতিক্রম ভাবে ভাবি এবং আমি এটাই ভাবি যে আমার চোখের সামনে কোনো কিছু যদি খারাপ ঘটে। তাহলে এটা আমার নৈতিক দায়িত্ব এবং একজন মানুষ হিসেবে দায়িত্ব যে আমি সেই ভুলটি শুধরে দিবো।
যাইহোক, এই ব্যাপারটি নিয়ে আমি যে শুধু এখানে লেখালেখি করছি তা নয়। আমি একেবারে উনাদের সামনাসামনি বলেছি আমি বিস্তারিত বললে আপনারা আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। আসলে ব্যাপারটি হলো, আমার এক কাজিন এর জন্য বউ দেখা হচ্ছে। যাইহোক তো বউ দেখার কাজে বেশ অনেকটা দূর উনারা এগিয়ে গিয়েছিলেন এবং মেয়েকেও উনারা পছন্দ করেছেন। অর্থাৎ মোটামুটি সব কিছু ঠিকঠাক রয়েছে। শুধুমাত্র মেয়ের বাড়ি দেখতে আমার ওই কাজিন এর বাবা-মা গিয়েছিলেন। এখন গিয়ে দেখেন যে সবকিছুই ঠিক আছে শুধুমাত্র মেয়ের বাড়ি কিছুটা ছোট এবং শুধুমাত্র এই একটি কারণে ওই মেয়েটিকে রিজেক্ট করে দেয়! এবং তার চেয়েও খারাপ ব্যাপার হলো। মেয়ে পক্ষ ভেবেছিলো, যেহেতু একেবারে প্রায় সবকিছুই অনেকটা পাকাপাকি হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে উনাদের ওই দিনের খাবারের আয়োজন করেছিলো একেবারে এলাহী। অর্থাৎ যাকে বলে জামাই আদর।
তাহলে আপনি চিন্তা করুন ওই মেয়েটি কি কোনো পণ্য যে আপনি তাকে দেখলেন, পছন্দ করলেন শুধু পাকা কথা দেওয়ার বেলায় আপনার মন অন্যদিকে হয়ে গেল। অর্থাৎ সে কি কোনো মানুষ নয়। তার কোনো অনুভূতি থাকতে পারে না। আসলে এই ধরনের মানুষদের আমি একেবারেই পছন্দ করি না। যারা মানুষ এর চেয়ে বস্তুগত জিনিস কে বেশি মূল্য দেয়।
@raintears, আপনার আজকের লেখাটি খুবই প্রাসঙ্গিক এবং হৃদয়গ্রাহী! একটি বিয়ে সম্বন্ধের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আপনি মানুষের মূল্যবোধ ও বস্তুগত জিনিসের প্রতি অন্ধত্বের যে চিত্র তুলে ধরেছেন, তা সত্যি ভাববার মতো। আপনার আত্মীয়ের গল্পের মাধ্যমে সমাজের এই দিকটি তুলে ধরায় আপনার সাহস এবং সংবেদনশীলতার পরিচয় পাওয়া যায়।
আমি বিশেষভাবে আপনার ব্যতিক্রমী চিন্তাভাবনার প্রশংসা করি, যেখানে আপনি খারাপ কিছু দেখলে তা শুধরে দেওয়ার নৈতিক দায়িত্ব অনুভব করেন। এই ধরনের গঠনমূলক আলোচনা আমাদের সমাজে খুবই প্রয়োজন।
আপনার লেখার ভাষা সহজ ও সাবলীল, যা পাঠকের মন জয় করে নেয়। মন্তব্যের মাধ্যমে আপনার লেখার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পাঠকদের আমন্ত্রণ জানানোয়, আলোচনা আরও প্রাণবন্ত হবে আশা করি।
এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সকলের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার লেখাটি নিঃসন্দেহে আরও অনেক পাঠককে উৎসাহিত করবে এবং নতুন চিন্তার খোরাক যোগাবে। চালিয়ে যান!
সমাজে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা বিবাহের ক্ষেত্রে মেয়ের তুলনায় তাঁর বাবার কতটুকু সম্পদ আছে সেটাকেই গুরুত্ব দিয়ে থাকে। হ্যাঁ!এটারও প্রয়োজন আছে। কিন্তু, আমার চিন্তা ভাবনা ভিন্ন রকমের।আমি মনে করি মেয়েটি যদি ভালো মানসিকতার হয়,তাহলে যে ছেলের সাথে তাঁর বিবাহ হচ্ছে সে যে কোন খারাপ সময়েও নিজেকে সঠিকভাবে পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।
কাজেই সম্পদ নয় বরং মেয়েকে মূল্যায়ন করতে শিখুন।