প্রতিবাদ না হোক আঘাত
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
মাঝেমধ্যে কিছু ব্যাপার নিয়ে লেখালেখি করা অনেকটা প্রয়োজনীয়তা বলতে পারি আসলে। কারণ কিছু কিছু ব্যাপার এমন থাকে যে, ব্যাপারগুলো চোখের সামনে আমরা প্রতিনিয়ত ঘটতে দেখি। কিন্তু একটু গলা উঁচু করে যে কথা বলবো সেই সাহস কেনো যেনো আমরা পাই না। কিন্তু ওই জায়গাতে আমরা যদি একটু আমাদের ভয়কে দূর করে আমাদের সাহসকে আরো বেশি বাড়িয়ে তুলে যদি একটু কথা বলতাম, হতে পারে সেই জায়গায় কোনো মানুষ এর জীবন বেঁচে যেতো। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে, আমি কি নিয়ে কথা বলছি। তাই তো?
আমি আসলে কথা বলছি মব নিয়ে। এখানে আসলে মব মানে যদি অনেকেই না বুঝে থাকেন। তাহলে আমি একটু বুঝানোর চেষ্টা করি। সেটা হলো, কেউ ধরুন কোনো অপরাধ করলো। তো সকলে মিলে সেই অপরাধের শাস্তি দিয়ে দেওয়াটাকেই আমি আসলে মব হিসেবে ব্যবহার করতে দেখেছি। অর্থাৎ এই শব্দটিকে ব্যবহার করতে দেখেছি সেসব জায়গায়।
কিন্তু এই যে এই প্রতিবাদ করার যে ভাষা কিংবা প্রতিবাদ করার যে পদ্ধতি। এটা আমার কোনো কালে কোনোভাবেই পছন্দ ছিলো না। কারণ প্রতিবাদ যদি শুধুমাত্র আঘাতে পরিণত হয়। তাহলে সেটা আর মনুষত্বের কাজ বলে আর মনে হয় না। আর এই একইভাবে হঠাৎ করে কোনো মানুষের কোনো দোষ চোখে পরার সাথে সাথে তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা কিংবা তাকে পিটিয়ে এতোটাই জখম করে ফেলা যে, সে যেনো আর হাঁটাচলা করতে না পারে। এই ধরনের কাজ আসলে মানুষের পর্যায়ে পরে না বলেই আমার মনে হয়। আসলে এটা নিয়ে কথা এ কারণেই লিখলাম। কারণ আমাদের বর্তমানে অনেকটা অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে যে অনেকেই হুট করে একজনকে ধরে পিটাতে পিটাতে একেবারে মেরেই ফেলছে এবং আমাদের বাংলাদেশে এই নিয়ে এই ধরনের ঘটনা অনেকবার ঘটে গিয়েছে, আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।