মন চায় কি?
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
একটা ব্যাপার খুব ভালো করে খেয়াল করে দেখবেন যে, যখন একজন নারী-পুরুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তখন দুই পরিবার কিন্তু বেশিরভাগ সময় সেই ছেলে এবং মেয়েকে সিলেক্ট করে। অর্থাৎ প্রেমের বিয়ের কথা আমি বলছি না। আমি এখানে এরেঞ্জ ম্যারেজের কথা বলছি। তো আসলে এরেঞ্জ ম্যারেজ এর ক্ষেত্রে পরিবার কিন্তু প্রথমে ছেলে মেয়ে সিলেক্ট করে। এরপরে অনেক কিছু দেখে। তো এই ক্ষেত্রে একটা ব্যাপার খুব ভালো করে খেয়াল করবেন যে কোনো পরিবার অর্থাৎ মেয়ের পরিবার যখন কোনো ছেলেকে সিলেক্ট করে। প্রথমে কিন্তু তার সহায়, সম্পত্তি, নাম,খ্যাতি এবং সবকিছু দেখে। অর্থাৎ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তবেই তারা কিন্তু ওই বিয়ের ব্যাপারে আগায়।
আর এরপরে ঠিক একইভাবে মেয়ে সিলেক্ট করার সময় ছেলের পরিবার এ আমি বেশিরভাগ সময় যেটা দেখতে দেখেছি। সেটা হলো মেয়ে শিক্ষিত কিনা কিংবা মেয়ে সুন্দরী কিনা,মেয়ে কাজ পারে কিনা। অর্থাৎ এই বেশিরভাগ ব্যাপারগুলো ই কিন্তু দেখে। এখন আমি আসি মূল ব্যাপার। বিয়ের সময় যখন এইগুলোকেই সবচেয়ে মুখ্য কারণ হিসেবে দেখানো হয়। তখন আসলে আমি বুঝি না কেনো বিয়ের পরে ছেলে পক্ষ এবং মেয়ে পক্ষ উভয়ই এটা চায় যে, ওই ছেলে মনের দিক দিয়ে অনেক ভালো হবে কিংবা ওই মেয়ের মন মানসিকতা অনেক ভালো হবে। কারণ আমি যেটা অনেক বেশি দেখেছি। সেটা হলো মন-মানসিকতা আসলে শুধুমাত্র পড়াশোনা করলে কিংবা সুন্দরী হলেই ভালো হয়ে যায় না।
মন মানসিকতা একেবারে আলাদা একটি ব্যাপার। আর মন-মানসিকতা ভালো করতে হলে সেই মানুষটিকে ভালো হতে হয়। তাই আমার কাছে মনে হয় বিয়ের মতোন গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপারে মানুষের ধন-সম্পদ, শিক্ষা, সৌন্দর্য এসব দেখার সাথে সাথে মানুষের মন মানসিকতা কেমন সেটা সম্পর্কেও একটু খোঁজখবর নেওয়া উচিত।