শ্রীলংকার বিপক্ষে দারুণ জয় বাংলার!
15-09-25
০৬ আশ্বিন , ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই সবচেয়ে গুুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি যদি সুস্থ্য না থাকেন তাহলে কোনো কিছুই করতে আপনার কাছে ভালো লাগবে না। তো আপনারা যারা খেলাধুলার খবর রাখেন তারা নিশ্চয় জানেন এশিয়া কাপ টুর্নামেন্ট চলছে। ইতোমধ্যে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছে। তো অনেক নাটকীয়তার পর বাংলাদেশ সুপার ফোরে কোয়ালিফাই করতে পেরেছে। আগের ম্যাচে শ্রীলংকা দারুণভাবে খেলে আফগানিস্তানকে হারিয়েছিল। আর আফগানিস্তানকে হারানোর মাধ্যমেই বাংলাদেশ কোয়ালিফাই করার সুযোগ পায় সুপার ফোরে! তো সুপারফোরের প্রথম ম্যাচটা ছিল শ্রীলংকার সাথে। যেই শ্রীলংকার কারণে বাংলাদেশ সুপার ফোরে উঠতে পারলো তাদের সাথেই প্রথম ম্যাচ। শ্রীলংকা আগের ম্যাচটাতে দারুণভাবে ব্যাটিং করে হারিয়েছিল আফগানিস্তানকে। তো সেই শ্রীলংকার সাথে জেতাটা কিছুটা কঠিন ছিল বাংলাদেশের জন্য।
তো ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। এটা আমার কাছে ভালো লেগেছিল। কারণ আগের ম্যাচে ১৭০ রান করেও জিততে পারেনি আফগানিস্তান। সে হিসেবে পিচ অনেকটা ব্যাটিং সহায়ক ছিল। বাংলাদেশ টিমে বেশ কয়েকজন প্লেয়ারকে পরিবর্তন করা হয়। দলে নেয়া হয় শেখ মেহেদীকে। শেখ মেহেদী রাইট হ্যান্ডেড স্পিন ভালো করে। সে হিসেবে শ্রীলংকার রাইট হ্যান্ডেড ব্যাটারদের তুরুফের তাস হতে পারে শেখ মেহেদী। শুরুতেই ব্যাটিং করতে নামে কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিসাঙ্কা। দুজন ব্যাটারই দারুণ ব্যাট করে থাকে। এ দুজন ব্যাটারের শুরুটা দারুণভাবে করে যায়। যত তাড়াতাড়ি আউট করা যাবে তত ভালো হবে বাংলাদেশের জন্য। তো ওভারের শুরুটা করে বাংলাদেশ শরিফুল ইসলামকে দিয়ে। প্রথম ওভারটা ভালো হয়নি। শুরুতেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে।
তবে পঞ্চম ওভারে যখন তাসকিন আসে তখন একটি উইকেট নিতে পারে। শ্রীলংকার দলীয় সংগ্রহ যখন ৪৪ রান তখন পাথুম নিসাঙ্কা আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে কামিল মিশরা। কামিল মিশরা নামার পরে কিছুটা স্ট্রাগল করতে থাকে। এদিকে মেন্ডিস তো একের পর এক বাউন্ডারি মেরে চাপে রাখার চেষ্টা করে বাংলাদেশের বোলারদের। তে দলীয় সংগ্রহ যখন ৫৮ রান তখন শেখ মেহেদীর বলে সুইপ শট খেলতে গিয়ে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় কুশল মেন্ডিসকে। তখন কিছুটা শঙ্কামুক্ত বড় স্কোর হওয়ার পর থেকে। তবে কুশল মেন্ডিস আউট হওয়ার পর মাঠে আসে পেরেরা। পেরেরাও দারুণ ব্যাটিং করে। তবে দলীয় সংগ্রহ যখন ৬৫ রান তখন কামিল মিশরা আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে শানাকা। শানাকা সাধারণত পাচঁ নাম্বার পজিশনে খেলানো হয় কিন্তু গতকালকের ম্যাচে চার নম্বর পজিশনে নামানো হয়। আর সে সুযোগটাও ভালোভাবে কাজে লাগায়
শানাকার ব্যক্তিগত ৬৪ রানের সুবাধে শ্রীলংকা শেষ অবধি ১৬৮ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়। তবে স্কোরটা আরও বড় হতো যদি মোস্তাফিজ ব্যাকআপ না দিতো। মোস্তাফিজ দারুণ বল করেছিল। শেষের ওভারগুলো একদম কম রান দিয়েছিল সে। তো ১৬৮ রান চেইস করা ইজি আবার কঠিন। কারণ বাংলাদেশ যদি উইকেট ধরে খেলতে পারে তাহলে জেতা একদম সহজ। আর যদি উইকেট ধরে না খেলতে পারে তাহলে কঠিন ম্যাচটা জেতা। ব্যাটিং করতে নামে তানজিদ তামিম ও সাইফ হাসান। আগের ম্যাচে তানজিদ তামিম দারুণ ব্যাটিং করেছিল। সে হিসেবে দর্শকদের প্রত্যাশা ছিল তানজিদ তামিমের উপর। কিন্তু স্বপ্নটা ভঙ্গ হয়ে যায় যখন তানজিদ তামিম থুসারার বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর ব্যাটিং করতে আসে লিটন দাস।
তারপর লিটন দাস ও সাইফ হাসান মিলে একটা পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করে। তার দুজন মিলে ৬০ রানের একটা পার্টনারশিপ গড়ে তুলে। তবে আবারো একই শটে লিটন দাস সুইপ শটে হাসারাঙ্গার বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর সাইফ ও তৌহিদ হৃদয় মিলে একটা পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করে। রান রেইট ঠিক রেখে দুজনে তখন ব্যাটিং করতে থাকে। সাইফ হাসান ব্যক্তিগত পঞ্চাষোর্ধ রান করতে পারে এবং টি-টোয়েন্টি তে এশিয়া কাপে এটা তার প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ যখন ১১৪ রান তখন সাইফ হাসান হাসারাঙ্গার বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। শেষের দিকে তৌহিদ হৃদয়ের হাফ সেঞ্চুরির সুবাধে জয়ের কাছাকাছি চলে যায় বাংলাদেশ। তবে শেষ ফিনিশিং টা হৃদয় দিতে পারেনি। বাংলাদেশ শেষের দিকে এসে স্লো ব্যাটিং শুরু করে দেয়। ১ রান দরকার সেখানে দুজন প্লেয়ার আউট হয়ে সাজঘরে চলে যায়। অবশেষে চার উইকেটে জয়লাভ করে বাংলাদেশ! প্লেয়ার অফ দা ম্যাচ সিলেক্ট হয় সাইফ হাসান! এরই মাধ্যমে ফাইনালে উঠার সম্ভাবনা থাকলো বাংলাদেশের!
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
Congratulations!
Your post has been manually upvoted by the SteemPro team! 🚀
This is an automated message.
If you wish to stop receiving these replies, simply reply to this comment with turn-off
Visit here.
https://www.steempro.com
SteemPro Official Discord Server
https://discord.gg/Bsf98vMg6U
💪 Let's strengthen the Steem ecosystem together!
🟩 Vote for witness faisalamin
https://steemitwallet.com/~witnesses
https://www.steempro.com/witnesses#faisalamin
বাংলাদেশ যে ভাবে খেলছে এই খেলাটি চালিয়ে রাখলে বাংলাদেশ ভালো কিছু করতে পারবে এই এশিয়া কাপ।যাইহোক বাংলাদেশের খেলা পুরোটাই উপভোগ করছি। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
এটা ঠিক বলেছেন ভাই।