সুপারফোরের আশা বাচিঁয়ে রাখলো বাংলাদেশ!
17-09-25
০২ আশ্বিন , ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সুস্থ্য না থাকলে কোনো কিছুই আপনার কাছে ভালো লাগবে না। তো আপনারা যারা খেলাপ্রেমী মানুষ আছেন তারা নিশ্চয় খেলাধুলার খবর রাখেন নিয়মিত। বর্তমানে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হচ্ছে। ইতোমধ্যে খেলা জমে গিয়েছে। বাংলাদেশে দুটি ম্যাচ খেলেছে। প্রথমটিতে হংকং, চায়নার সাথে জিতেছিল কিন্তু পরের ম্যাচে বাজেভাবে হেরেছিল বাংলাদেশ! সেজন্য সেমিফাইনালে যেতে পারবে কি না সেটা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছিল। তবে আফগানিস্তান এর বিপক্ষে জিততে পারলে সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা বাচিয়ে রাখতে পারবে বাংলাদেশ। সেজন্য আফগানিস্তান এর সাথে ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য ডু ওর ডাই ম্যাচ।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ! বাংলাদেশ একাদশে বেশ পরিবর্তন ছিল। ইমনকে বসিয়ে সাইফকে দলে নেয়া হয় এবং তানজিম সাকিবকে বসিয়ে নাসুম আহমেদকে দলে নেয়া হয়। নাসুম আহমেদের লেফট হ্যান্ড স্পিন বোলিং দারুণ হয়! টিমের পরিবর্তন দেখে ভালোই লাগছিল। কারণ আগের ম্যাচটাতে শ্রীলংকার সাথে একদম বাজে পারফর্ম করেছিল বাংলাদেশ! তো সেদিক থেকে বাংলাদেশ টিমটাকে যথেষ্ট ব্যালেন্স মনে হয়েছিল। শুরুতেই ওপেনিং এ নামে সাইফ ও তানজিদ তামিম। দুজনই দেখেশুনে খেলতে থাকে। তবে সাইফ শুরুতে কিছুটা স্ট্রাগল করতেছিল। ব্যাট বলে ঠিকভাবে মেলাতে পারছিল না। তবে তানজিদ তামিম ঠিকই ঝড়ো ইনিংস শুরু করে দেয়। একের পর এক বাউন্ডারি, ছক্কা মেরে বোলারদের চাপে রাখার চেষ্টা করে। পাওয়ারপ্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৯ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়! এটা বাংলাদেশ টিমের জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট ছিল।
তবে সাইফ হাসান ব্যক্তিগত ত্রিশ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয়। তারপর মাঠে আসে ক্যাপ্টেন লিটন। সাম্প্রতিক সময়ে ভালো পারফর্ম করছে লিটন দাস। লিটন দাসের উপর দর্শকদের আশা সবসময় বেশি থাকবেই। কিন্তু সেটা আর করতে পারেনি। ১১ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয় লিটন দাসকে। তারপর মাঠে আসে তৌহিদ হৃদয়। হৃদয়কে নিয়ে দারুণ ছন্দে ব্যাটিং করতে থাকে তামিম। ব্যক্তিগত অর্ধশত সংগ্রহ করে কিন্তু করার পরে ইনিংসটা আর বড় করতে পারেনি। ব্যক্তিগত ৫২ রান করে মাঠ ছাড়তে হয় তামিমকে। তারপর তেমন লম্বা ইনিংস দেখা যায় নি। শেষের দিকে জাকের আলী ও নুরুল হাসান সোহান চেষ্টা করেছিল ১৬০+ রান করার। কিন্তু শেষ অবধি বাংলাদেশ ১৫৪ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়। তো আফগানিস্তান এশিয়া কাপে এখন অবধি ১৫০ রান চেইস করে জিততে পারেনি কোনো টিমের বিপক্ষে। সেদিক দিয়ে বাংলাদেশ কিছুটা আশায় থাকবে।
যেহেতু বাংলাদেশ টিমের জন্য ম্যাচটা বাচাঁ মরার লড়াই ছিল! হারলেই টুর্নামেন্ট থেকে বাদ বাংলাদেশ। আর যদি জিতেও তাহলে পরের ম্যাচে তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। ব্যাটিং করতে নামে গুরবাজ ও আতাল! ওভারের প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ এর শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় আতালকে। তারপর মাঠে আসে ইবারাহীম জাদরান। দলীয় সংগ্রহ যখন ১৮ রান তখন নাসুমের বলে আবারও এলবিডব্লিউ এর শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যেতে হয়। কিছুটা চাপে পরে যায় আফগানিস্তান। তারপর মাঠে আসে গুলবাদ্দিন। গুরবাজ ও গুলবাদ্দিন দুজনই হার্ড হিটার ব্যাটার। মাঠে যতক্ষণ থাকতে ততক্ষণ ই রান আসতে থাকবে। তবে গুলবাদ্দিনের ইনিংসটা বড় করতে দেয়নি রিশাদ হোসেন। চমৎকার বল করে তাকে আউট করে ঠিক পরেই আবারও রিশাদের বলে সুইফ শট খেলতে গিয়ে কট আউট হয়ে সাজঘরে ফিরত হয় ডেঞ্জারাস গুরবাজকে।
দলীয় সংগ্রহ যখন ৬২ রান, তখনই চার উইকেট হারায় আফগানিস্তান। তারপর মাঠে ওমরজাই ও নাবী! তারা দুজনও চমৎকার ব্যাটিং করে। তুরুফের তাস হতে পারে যেকোন একজন দাঁড়ালে। কিন্তু মোস্তাফিজের চমৎকার ডেলিভারিতে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে নাবী। তারপর অবশ্য ভয়ের কারণ হয়ে দাড়ায় ওমরজাই! একের পর একে চার ছক্কা মেরে বোলারদের চাপে রাখার চেষ্টা করে। বিশেষ করে সাইফ হাসানের এক ওভারেই ২০ রান আসে। মনে হচ্ছিল খেলা অনেক আগেই জিতে যাবে। কিন্তু তাসকিনের স্লোয়ার ডেলিভারিতে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। শেষের দিকে রশিদ খান এসে আবার ঝড়ো ব্যাটিং চালানো শুরু করে দেয়। কিন্তু ইনিংসটা বেশি লম্বা হয়নি। মোস্তাফিজের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে। শেষঅবধি ৯ রানের ব্যবধানে জয়লাভ করে এশিয়া কাপে সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশ।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
সুপার ফোরে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ আশা রাখছে কিন্তু এখানে আফগানিস্তান জিতে গেলে সুপার ফোরে যাওয়ার সম্ভাবনা নাই।যাইহোক তারপরেও বাংলাদেশ টিমের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।