এশিয়া কাপে বাংলাদেশ বনাম হংকং: দুর্দান্ত জয়ে টাইগারদের শুভ সূচনা।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।
এশিয়া কাপ মানেই ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য বাড়তি উন্মাদনা। এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই দেখতে ক্রিকেট ভক্তরা মুখিয়ে থাকে সারা বছর। এবারের আসরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ইতিমধ্যে তিনটি ম্যাচ সম্পন্ন হয়েছে, আর গতকাল বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়েছিল হংকংয়ের। ম্যাচটি ছিল গ্রুপ পর্বের তৃতীয় খেলা এবং শুরু থেকেই দুই দলই জয়ের জন্য সমান তালে লড়াই করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত টাইগাররা ৭ উইকেটের বড় জয়ে মাঠ ছাড়ে। এই জয়ে বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাসীভাবে টুর্নামেন্টে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করেছে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে হংকং দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৪৩ রান। তাদের ব্যাটিংয়ের ভরসা ছিলেন ওপেনার Zeeshan Ali. তিনি ৩০ রান করেন ৩৪ বলে, যেখানে ছিল ৩টি চার ও ১টি ছক্কা। এছাড়া নিঝাকাত খান ছিলেন দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তিনি খেলেন ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস মাত্র ৪০ বলে, ২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে।
ক্যাপ্টেন ইয়াসিম মুর্তাজা দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন। তার ১৯ বলে ২৮ রানের ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ২টি ছক্কা, যা দলের রানকে সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছে দেয়। তবে বাংলাদেশের বোলাররা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিয়ে হংকংকে বড় রান করতে দেয়নি।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তানজিম হাসান সাকিব এবং রিশাদ হোসেন ছিলেন সবচেয়ে কার্যকর। সাকিব ২ উইকেট তুলে নেন, আর রিশাদও ২ উইকেট শিকার করেন। তাসকিন আহমেদও তার গতি আর নিখুঁত লাইন-লেন্থে ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের বোলাররা চাপে রেখেছিলেন প্রতিপক্ষকে।
১৪৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতে কিছুটা সতর্কভাবে এগোলেও পরে দাপট দেখায়। পারভেজ ইমন ১৯ রান করে আউট হন, আর তৌহিদ হাসান করেন ১৪ রান। তবে মূলত দলের জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক লিটন দাস।
লিটন খেলেন অসাধারণ এক ইনিংস ৩৯ বলে ৫৯ রান। তার ব্যাট থেকে আসে ৬টি চার ও ১টি ছক্কা। তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫১.২৮, যা ইনিংসটিকে করে তুলেছিল অত্যন্ত কার্যকর। লিটনের এই ইনিংস ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
তার সাথে যোগ দেন তরুণ ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। তিনি ৩৬ বলে অপরাজিত ৩৫ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। জাকের আলি ছিলেন অপরাজিত ০ রানে, তবে তার উপস্থিতিই যথেষ্ট ছিল জয়ের মুহূর্তে।
বাংলাদেশ মাত্র ১৭.৪ ওভারে লক্ষ্য পূরণ করে, হাতে থাকে ৭ উইকেট এবং ১৪ বল।
ম্যাচের মূল টার্নিং পয়েন্ট
হংকংয়ের ধীর সূচনা: যদিও নিঝাকাত খান ও ইয়াসিম মুর্তাজা কিছুটা ঝড় তুলেছিলেন, কিন্তু দল শুরুতেই দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়।
লিটন দাসের ব্যাটিং: তার ঝড়ো ব্যাটিং ছাড়া ম্যাচ এত সহজ হতো না।
বাংলাদেশি বোলারদের শৃঙ্খলিত আক্রমণ: হংকংকে ১৫০ রানের নিচে আটকে রাখা আসলে বাংলাদেশের জয়ের ভিত তৈরি করে দেয়।
এই জয়ের ফলে বাংলাদেশ শুধু পয়েন্ট টেবিলে সুবিধাজনক অবস্থানেই গেল না, বরং দলটি মানসিকভাবেও শক্তি সঞ্চয় করেছে। কারণ ছোট দল হলেও হংকংয়ের মতো প্রতিপক্ষকে অবহেলা করলে বিপদে পড়ার শঙ্কা থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত খেলেছে।
বিশেষ করে বোলারদের শৃঙ্খলা, লিটনের ব্যাটিং, এবং হৃদয়ের শান্ত ইনিংস এই ম্যাচের মূল আকর্ষণ। সামনের কঠিন ম্যাচগুলোতে এই পারফরম্যান্স বাংলাদেশকে আরও আত্মবিশ্বাস দেবে।
এশিয়া কাপের মতো আসরে প্রতিটি ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ জিতে প্রমাণ করল, তারা প্রস্তুত বড় দলগুলোর মোকাবিলা করতে। যদিও এখনো অনেক পথ বাকি, তবুও এই জয়ে বাংলাদেশের সমর্থকরা নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। টাইগাররা যদি এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে, তবে এবারের এশিয়া কাপে চমক দেখানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server