বই পড়লেই শিক্ষিত হয় না
শিক্ষা হলো এমন এক আলো যা আমাদের অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে থেকে বাচায়। যা আমাদের জ্ঞান চক্ষু খুলে দেয়।প্রাচীন কাল থেকে শিক্ষার উদ্দেশ্য ছিল জ্ঞান অর্জন,নতুন কিছু জানা,নতুন রহস্য উন্মোচন করা,অজানা কে জানার চেষ্টা,ভাল মন্দের প্রভেদ করা। কিন্তু এসব এখন অতীত।
বর্তমানে আমরা শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য থেকে আমরা বহু দূরে সরে এসেছি। বর্তমানে আমাদের উদ্দেশ্য গাদা খানেক চাকুরির বই মুখস্ত করে কোন মতে একটা সরকারি চাকুরি নিয়ে জীবন কাটিয়ে দেওয়া। এর বাইরে আমরা না কোন কিছু পড়ি না কোন কিছু জানার চেষ্টা করে। এর ফলে আমরা হয়ে পড়ি কুপমন্ডুক। যার কারনে যাদের মাথায় একটু বুদ্ধি আছে তারা খুব সহজেই আমাদের ম্যানিপুলেট করতে পারে।
আপনারা আমার বিগত পোস্টে দেখেছেন আমি HPV টিকার স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যুক্ত আছি। কাল টিকা দিতে গিয়ে একটি জিনিস জানতে পারি,পরে ফেসবুকেও এ সম্পর্কে অনেক কিছু দেখলাম তাই সচেতনতার জন্য এই পোস্ট করা।
আমাদের গত দিনের কেন্দ্র ছিল একটি গার্লস স্কুল,কারনবশত স্কুলের নাম প্রকাশ করলাম না। HPV টিকার জন্য আগে থেকে রেজিষ্ট্রেশন করা লাগে,তারপর সেই রেজিষ্ট্রেশন চেক করে নিয়ে টিকা দিতে হয়।এতে টিকা গ্রহীতার তথ্য জাতীয় আর্কাইভে সংরক্ষিত হবে যাতে পরবর্তী ডোজ আসলে দেওয়া যায়।এই রেজিস্ট্রেশন সাধারণত স্কুল থেকেই করা হয়।
আমরা যে বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম সেখানে রেজিস্ট্রেশন করেছে প্রায় ২০০জন,কিন্তু টিকা দিতে আসছে মাত্র ১২০জন।আশি জন অনুপস্থিত। এর কারন হেড টিচার কে জিজ্ঞেস করতে উনি বলল এই মেয়েদের বাবা-মা টিকা দিতে আপত্তি জানিয়েছে।তারা নাকি শুনেছে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে যাতে জন্মহার কমানো যায়।
সব নাকি আমেরিকার ষড়যন্ত্র। হেড টিচার অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছিল,কিন্তু তারা তার কথায় কানই দেয় নি।তারা নাকি এটা ফেসবুকে দেখেছে। আমাদের উপর দায়িত্ব ছিল কেউ যাতে টিকা থেকে বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করা।তাই আমরা সেসব শিক্ষার্থীকে একজন অভিভাবক কে নিয়ে যেন চলে আসে।
OR
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
HPV টিকা সম্পর্কে যদিও কোন ধারণা নেই। তবে ফেসবুকে অনেক লেখালেখি দেখেছি। আমি তো ভেবেছিলাম সত্যি সত্যি হয়তো খারাপ হবে। এখন তো আপনার লেখা পড়ে বুঝলাম সবটাই সবার ভুল ধারণা। এই বিষয়গুলো নিয়ে সঠিক তথ্য প্রচার করা উচিত।
এখন সবেতেই ফেসবুক প্রফেসর আর গুগল প্রফেসর এসে গিয়ে মানুষ অতি শিক্ষিত হয়ে গেছে। আর ফেসবুকের নানান ধরনের স্প্যাম পোস্ট কে রেস্ট্রিক্ট করার মতো কেউ নেই উল্টে সেইগুলি বেশি করে ভাইরাল হয়ে যায়। মানুষের মধ্যে সঠিক সচেতনতা এখানে দেয়ার জন্য এই গুলি থেকে বিরত থাকাই ভালো। অত্যন্ত মূল্যবান একটি পোস্ট আপনি করেছেন। আজকের ফিচার হওয়ার জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাই। তবে পোস্টটি ফিচার এরই যোগ্য।
ধন্যবাদ দিদি। পোস্টের কিছু অংশ বাকি আছে,মানুষ কতটা স্টুপিড হতে পারে অবাক হয়ে যাবেন।ধন্যবাদ আপু।
পরে আবার লিখুন ব্যাপারটা নিয়ে তাহলে জানতে পারবো। মানুষই তো অজ্ঞ হয়।
আজ লিখেছি দিদি।
এই বিষয়টি গতদিন আমিও নিউজে দেখলাম। এই টিকা নিয়ে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এতে এই টিকার প্রতি জনগণের আগ্রহ আরো কমে যাবে। জানি না এই টিকার আদৌ কোনো উপকারিতা আছে কিনা। যাই হোক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
আপু কেন স্টুডেন্টরা অসুস্থ হচ্ছে সেটা নিয়ে আজকে পোস্ট দিব। পড়লেই আশা করি বুঝতে পারবেন। ধন্যবাদ আপু।
এটাই তো প্রধান সমস্যা ভাই। আমরা শিক্ষিত হয়েও এখনো সেই কুসংস্কারের অন্ধকার থেকে বেরোতে পারি না। বৈজ্ঞানিক উপায়ে টিকা নিতেও মানুষ কত কিছু ভাবে। আসলে আমাদের মত দেশগুলোতে পুরোপুরি শিক্ষিত হওয়া বড় বিরল। আর এই অর্ধশিক্ষায় আমরা সমাজের আরো ক্ষতি করছি।
আসলেই দাদা,আমরা শিক্ষিত হবার জন্য বা জ্ঞানের জন্য পড়ি না। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।