পেছনের গল্প( পর্ব: ৩৫ )!!

in আমার বাংলা ব্লগ10 days ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ রবিবার, ৩১ ই আগষ্ট ,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000585237.jpg


আমরা জীবনের সুন্দর সময়ের জন্য যে সময় টা পেছনে ফেলি আসি পরবর্তীতে বুঝতে পারি সেটাই আসলে আমাদের জীবনের ভালো সময় ছিল। আমারও এখন এমনটাই মনে হয়। দিন যায় ভালো আসে খারাপ। যখন গ্রামে থাকতাম তখন শুধু মনে হতো কবে এই গ্রাম থেকে বাইরে যাব। কবে এই জায়গা থেকে মুক্তি পাব। কিন্তু এখন এইটা নিয়ে আমি আফসোস করি। এখন আমার ঐ দিনগুলো আমি প্রচণ্ড মিস করি। মিস করার অনেক গুলো কারণ আছে। সবচাইতে বড় কথা প্রশান্তি। হ‍্যা যে প্রশান্তি টা আমি গ্রামে পেতাম সেটা শহরে কখনোই পাই না। বলছি আজ থেকে তিন বছর আগের কথা। তখন জুলাই মাস চলছিল। সে বছর আমাদের ঐদিকে সেরকম পানি হয়নি। পানি বলতে বর্ষার পানির কথা বলছি।

অন‍্যান‍্য বছর যেখানে মাঠগুলো পানিতে থৈ থৈ করে। ঐবছর ছিল পুরোপুরি শুকনো। একটা ফাঁকা জমি এবং তার চারপাশে শুধু পাটের ক্ষেত। এবং সেটা তখন মাঝামাঝি পুরোপুরি বড় হয়নি। আমরা বন্ধুরা মিলে প্রায়ই বিকেলটা ওখানে বসে আড্ডা দিয়ে কাটাতাম। বেশ লাগত আমাদের। বিকেলে মাঠের সেই উন্মুক্ত বাতাস এবং আড্ডা। সবমিলিয়ে একেবারে অসাধারণ কাটতো সময় গুলো। তো একদিন আমি শিমুল মেহেদী এবং তোহা ঠিক করি ওখানেই মুড়ি পার্টি করব। আমাদের সাথে যোগ দেয় আমাদের এলাকার ছোট ভাই সান। যাইহোক আমরা সদস‍্য পাঁচজন হয়ে যায়। মুড়ি পার্টিতে মুড়ি মাখানোর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন মুড়ি, ছোলা, চানাচুর, আলুর চপ, পিয়াজি, পিয়াজ মরিচ তেল এসব। আর সবার শেষে ছিল কোমল পানীয়। সবমিলিয়ে ব‍্যবস্থা একেবারে ঠিকঠাক।


1000585236.jpg

1000585239.jpg

1000585240.jpg


ঐদিন বিকেলে আমরা সব উপাদান কিনে নিয়ে মাঠে চলে যায়। আহ মাঠে কী দারুণ বাতাস। এরপর সবাই ঘাসের উপর বসে পড়ি। মেহেদী এবং শিমুল কাজ শুরু করে দেয়। ঐ মুড়ি মাখানোর কাজ আর কী। মুড়ি মাখানো শেষ হলে সবাই একসঙ্গে সেটা শেষ করি। তবে সেই খাওয়ার মধ্যেও মজা ছিল। গ্রামে থাকতে আগে আমরা বন্ধুরা প্রায়ই এমন বিভিন্ন প্রোগ্রাম করতাম। কখনও পিকনিক কখনও এইরকম ছোট পার্টি। খাওয়া শেষ হলো দ্রুতই। খুব বেশি এক্ষেত্রে আমাদের কখনোই লাগত না। তারপর আমরা মাঠেই অবস্থান করি। সবাই সবার সাথে কথা বলি আড্ডা দেয়। এমনটা চলতে থাকত সন্ধ‍্যা পযর্ন্ত। সবশেষে আমরা বাড়ি ফিরতাম তখন যখন চারপাশে আর কিছু পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে না।

আমরা চারজন সমবয়সী হলেও সান ছিল আমাদের থেকে ছোট। কিন্তু তারপরও আমাদের সাথে ওর মিল ছিল। কারণ ও ওর বয়সের আর চার পাঁচটা ছেলের থেকে একেবারেই আলাদা ছিল। ও আমাদের বেশ এন্টারটেইন করত। এটার কারণ ওর বাচনভঙ্গি এবং সরলতা ছিল বেশ আলাদা। ওকে আমরা ইচরে পাকাও বলতাম হা হা। ছবিগুলো দেখে দিনগুলোর কথা বেশ মনে পড়ছে। মেহেদী শিমুল তোহা এখনও গ্রামেই থাকে। তবে এখন আর আগের মতো ঐভাবে কেউ একজায়গা বসে আড্ডা খুব একটা দেয় না। সবাই এখন কিছুর্ট নিজের মতো করে ব‍্যস্ত। এখন বুঝতে পারি দিনশেষে নিজের মেন্টাল প্রেশার নিজের ডিপ্রেশন কে দূর করতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই দিনগুলো হারিয়ে গেছে। এখন মনে হয় কী সহজেই না সেগুলো পেয়েছিলাম। কিন্তু এখন শতচেষ্টা করেও সেগুলো ফিরিয়ে আনা সম্ভব না।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png