পেছনের গল্প( পর্ব: ১৭ )।।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
২০২১ সালের এইরকম একটা দিনের কথা। বেশ বর্ষামূখর দিন। তবে বাড়িতে থাকতে থাকতে বেশ বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। পরিকল্পনা করে আমি এবং আমার বন্ধু লিখন বেরিয়ে পড়লাম বাইক নিয়ে ঘুরতে। পরিবেশটা মেঘলা। দেখে মনে হচ্ছিল এই যেন বৃষ্টি টা নেমে আসলো। কোথায় যাওয়া যায় এমনটাই ভাবছিলাম আমরা। তখন লিখন হঠাৎ বলে উঠলো চল ইউটিউব ভিলেজে যায়। বলে রাখি তখন ইউটিউব ভিলেজ মোটেই এখনকার মতো একেবারেই ছিল না। তখন এইরকম পরিকল্পিতভাবে কিছুই করা হয়নি। ইউটিউব ভিলেজে যাব তো কিন্তু আমরা দুজনরে কেউ চিনি না। তবে অনিক চেনে। অনিক হলো লিখনের বন্ধু। তবে ওর সাথে পরিচয় হওয়ার পরে আমার সাথেও বেশ ভালো সম্পর্ক অনিকের।
অনিক কে ফোন করে ডেকে নিয়ে আমরা তিনজন চলে গেলাম ইউটিউব ভিলেজে। প্রত্যন্ত এক গ্রামের মধ্যে এই জায়গাটা। বৃষ্টি হওয়ার জন্য পরিবেশ টা একটু অন্যরকম। তার আগে নামটা শুনলেও ঐ আমাদের প্রথম যাওয়া ছিল ওখানে। তবে তখন ইউটিউব ভিলেজের পার্কটা দুইটা জায়গাই বিভক্ত ছিল। জায়গাটা দুইটার মধ্যে খুব বেশি দূরত্ব নেই। প্রথমে আমরা যেখানে গিয়েছিলাম ওখানে বাঁশের তৈরি একটা কেল্লা টাইপের কিছু একটা ছিল। এবং তার সামনে ছিল লাভ শেপের একটা ছবি তোলা এবং বসার জায়গা। ওখানে বেশ কিছুক্ষণ ছিলাম আমরা। ওখানে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করি। তখন আমি স্টিমিট উপলক্ষে ফটোগ্রাফি টা একটু বেশিই করতাম।
এরপর আমরা চলে যায় ইউটিউব ভিলেজের পরের আরকটা স্থানে। তবে দেখার জিনিস ছিল আরও বেশি। কাঠের তৈরি ঘর বাঁশ এবং খরের তৈরি গরুর গাড়ি সহ আরও বেশ কিছু দর্শনের জিনিস। তবে এখন যেরকম আপনারা দেখেন তখন ঐরকম মোটেই ছিল। একটা পুকুরের পাশে অবস্থিত ছিল। ওখানে বেশ কিছুক্ষণ ছিলাম আমরা। এরপর যখন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয় আমরা চলে আসি। পরবর্তীতে ঐ ছবিটা আমি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম। আমার এক বন্ধু রুহুল আমার ক্লাসমেট। ছবিটা দেখে বলেছিল ঐটা নাকী ওর নিজের এলাকা। আমরা কেন ওকে বলিনি। বললে ও আমাদের সাথে দেখা করত এমন অনেক কথায় বলে। সেই সময়ের চার বছর অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। সেই ঘটনার অনেক গুলো দিন অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখনও সবকিছু আমার মনে আছে।
দিনগুলো হারিয়ে যায়। রেখে আসা স্মৃতি মনে চলে আসে কারণে অকারণে। সময়ের এক অদ্ভূত বেড়াজালে আমরা গভীরভাবে জড়িয়ে গিয়েছি। সময়ের যে ধারা আমাদের শুধু সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। পেছনে ফিরে দেখা গেলেও বাস্তবে মোটেও ফেরা যায় না।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
https://x.com/Emon423/status/1933081880741716409?t=Ryko0f-mieNZwxktU7a8iQ&s=19
https://x.com/Emon423/status/1933082202323251686?t=c10M5dwfJMXePM5yYazGIg&s=19
https://x.com/Emon423/status/1933082416677356028?t=i9nBwbSwtrd1Sv6smxKaCQ&s=19
https://x.com/Emon423/status/1933082640707727475?t=EnQqUZm8egixWies4uKjIA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.