পেছনের গল্প( পর্ব: ৩৪ )!!

in আমার বাংলা ব্লগ26 days ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ ই আগষ্ট ,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000585231.jpg


আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদ। ঈদের দিন আমাদের মন মানসিকতা ভালো থাকে। ঈদ উৎযাপন করতে সবাই বাড়িতে আসে। অন‍্যরকম একটা পরিবেশ থাকে। এটা ২০২২ সালের কথা। তখন জুলাই মাস চলছিল। ঈদুল আযহার দিনের কথা। খুব সকালে উঠার ইচ্ছা থাকলেও সেটা হয়নি। ছয়টার পরে আমি ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে হাঁটতে বের হয়। ঈদের দিন সকালে আমার উদ্দেশ্য শরীফ ভাইয়ের দোকানে গিয়ে লেবু চা খাওয়া এবং তারপর বাসায় ফেরা। কারণ সকাল সাড়ে সাতটায় ছিল ঈদের জামাত। অর্থাৎ দ্রুত বাসায় এসে আমাকে তৈরি হতে হবে। শরিফ ভাইয়ের দোকানে যাচ্ছি। এমন সময় সকারের রৌদ্দজ্জল পরিবেশ আমার নজরে আসে।



ঈদের দিন ঐরকম সকালেই সূর্য যেন তার সম্পূর্ণ আলো ভূপৃষ্ঠে প্রেরণ করছে অবস্থা এমন। সাথেই সুন্দর নীল আকাশ এবং চারপাশে চিরসবুজ গাছপালা। সবমিলিয়ে দেখে যেন অসাধারণ লাগছিল দৃশ্য টা। যাকে বলে একেবারে পারফেক্ট প্রাকৃতিক দৃশ্য। তখনই আমি ফোন বের করে বেশ কিছু ছবি তুলে নেয়। ঐরকম অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য খুব কমই হয়ে। শরীফ ভাইয়ের দোকানে সকালে বেশ ভীড় থাকে।‍ যাইহোক ভীড়ের মধ্যে গিয়েই চা খেয়ে নেয়। তারপর যথারীতি বাড়ি ফিরে এসে। গোসল শেষ করে তৈরি হয়ে ঈদের নামাজ পড়তে চলে যায়। আমাদের গ্রামটা খুব একটা বড় না। একটা জামাতেই সবাই নামাজ পড়তে পারে আমাদের ঈদগাহ তে।


1000585227.jpg

1000585233.jpg

1000585229.jpg


ঈদ উপলক্ষে অনেকেই বাইরে থেকে গ্রামে আসে। ঈদের মাঠে অনেক মানুষের দেখা পাওয়া যায়। যাদের সাথে দীর্ঘদিন দেখা নেই। নামাজের সময় সবাই সমাবেত হয়ে ইমাম সাহেবের খুতবাহ শোনে। আমি ঐসময় এই ফটোগ্রাফি গুলো ধারণ করেছিলাম। নামাজ শেষ করে যে যার কাজে চলে যায়। কেউ ব‍্যস্ত হয়ে পড়ে পশু কুরবানি নিয়ে। তবে আমাদের পরিবারের সবাই আমরা নামাজ শেষ করেই যায় কবরস্থানে। এবং সেটা কেন আশাকরি আপনারা সবাই জানেন। ঐদিন যেখানেই যাচ্ছিলাম এমন আলো ঝলমলে প্রকৃতি পুরোপুরিভাবে আমার নজরে আসছিল। সবমিলিয়ে বেশ অসাধারণ লাগছিল। ঐদিনের প্রকৃতি ছিল একেবারে নজরকাড়া অসাধারণ।

আজ বহুদিন পর যখন ফোনের গ‍্যালারিতে ঐ দিনের ছবিগুলো দেখছি। ঐদিনের সব অনূভুতি যেন ভেসে আসছে। সব কথা ক্রমান্বয়ে মনে পড়ছে। স্মৃতিগুলো ভেসে আসছে। এইরকম পেছনের গল্প স্মরণ করার সময় সবার থাকে না। এইসব ছবিগুলো সেই গল্পগুলো বাঁচিয়ে রাখে। এমন হতে পারে আজ থেকে দশ পনেরো বছর পরে আমি পুরোপুরি এই দিনগুলোর কথা ভুলে যাব। কিন্তু এই যে এখানে এগুলো লিখে রাখলাম। এগুলো যদি আমার ভবিষ্যতে প্রজন্ম দেখে তাহলে তারা আমাদের সময়ের একটা ধারণা পেয়ে যাবে। স্টিমিটের এই লেখালেখিকে আমি একদিক থেকে বিবেচনা করি এমন যে এটা যেন আমাদের কথাগুলো ধরে রাখছে। ধরে রাখছে একটা সময়ের ইতিহাস কথা অবস্থা। যেটা ভবিষ্যতের প্রজন্মের কাছে বিস্ময়কর মনে হবে।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png


Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.