পেছনের গল্প( পর্ব-২১ )।।

in আমার বাংলা ব্লগyesterday


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ বৃহস্পতিবার, ৩ রা জুলাই,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000580928.jpg


করোনার দীর্ঘ বিরতির পর কলেজ ততদিনে ভালোভাবে শুরু হয়েছে। বলছি ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের কথা। আমরা তখন তৃতীয় সেমিষ্টারের শিক্ষার্থী। বুধবার ছিল দিনটা। হঠাৎ আমার বন্ধু শাকিল বলে সিভিল ডিপার্টমেন্ট থেকে নাকী একটা ফুটবল ম‍্যাচ এর প্রস্তাব এসেছে। শাকিল আমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমাদের কী করা উচিত। আমি বললাম ঠিক আছে আমরা রাজি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১১ টাই ম‍্যাচ খেলব। ওদের সাথে কথা ফাইনাল হলো। কিন্তু একাদশ তৈরি করতে হবে। দায়িত্ব টা না চাইতেও আমার উপরে এসে পড়ে। ঠিক জানি না তবে ফুটবল হলে আমি কোনভাবেই নিজেকে থামিয়ে রাখতে পারি না। মোটামুটি ১৮ জনের প্রাথমিক তালিকা আমি করেছিলাম। এরমধ্যে থেকে বেশ কয়েকজন জানিয়ে দেয় তারা খেলবে না।

তবে বিশেষ কয়েকজন কে আমি নিজে ফোন করে ঐদিন কলেজে আসতে বলি এবং খেলতে বলি। ওরা নিয়মিত কলেজে আসতো তবে ভালো ফুটবল খেলতো। এবং ওরা আমার কথা রাখে। পরের দিন বৃহস্পতিবার মোটামুটি সবাই খেলার প্রস্তুতি নিয়ে আসি। স‍্যারকে অনুরোধ করলাম যেন দ্রুতই ক্লাস শেষ করেন উনি। আমাদের ১১ টাই ম‍্যাচ। তবে স‍্যার ক্লাস শেষ করলেন ১২ টার সময়। কী আর করার। খেলা শুরু করতে করতে বাজলো সাড়ে বারোটা। একাদশে গোলকিপার হিসেবে ছিল জিতু, ডিফেন্স ছিল রুহুল, শাকিল, রায়হান এবং আসিফ মিডফিল্ডার হিসেবে ছিলাম আমি, মাহফুজ এবং সাগর। এবং অ‍্যাটাকিং এ ছিল সাগর, রাকিবুল এবং তূর্য। মাঠে বেশ রোদ ছিল। তবে তখন সেটা আমাদের কাছে যেন কিছুই ছল না।


1000580927.jpg

1000580929.jpg

1000580926.jpg


সিভিল ডিপার্টমেন্ট শুরু থেকেই বেশ ভালো খেলছিল। কারণ ওদের ঐ টিম টা বেশ ভালো ছিল। এবং ওরা ঐ টিম কম্বিনেশনে নিয়মিত খেলতো। তবে আমাদের খেলোয়ারদের মধ্যে আলাদা একটা ব‍্যাপার ছিল। সিভিল বেশ ভালো আক্রমণ করলেও আমাদের গোলকিপার জিতু বেশ ভালো সেভ দেয়। ম‍্যাচের প্রথমার্ধে আমরা ১-০ তে এগিয়ে যায়। রাকিবুল আমাদের হয়ে প্রথম গোল করে। দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে আমাদের আক্রমণ আরও বেড়ে যায়। আমরা আরও সুন্দর এবং গুছিয়ে খেলতে থাকি। এরপর সম্ভবত জিহাদ একটা গোল করে। এবং ম‍্যাচের শেষের দিকে গোল করে মাহফুজ। আমরা ৩-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ি।

সিভিল ডিপার্টমেন্ট আমাদের কাছে ৩ গোল খেয়েছে এটা যেন ওরা নিজেও বিশ্বাস করতে পারছিল না। ম‍্যাচের পরে এই সেলফি গুলো আমি নিয়েছিলাম। যেখানে একটা সেলফিতে আমি এবং ইকরা ছিলাম। এবং অন্য টাতে ছিল রুহুল, অন্তর এবং তপু। ম‍্যাচ শেষে আমাদের জন্য নাস্তা নিয়ে আসা হয়। মজার ব‍্যাপার ঐ নাস্তার টাকা তোলা হয়েছিল আমাদের ক্লাসের অন্য শিক্ষার্থীদের থেকে। ম‍্যাচ শেষে মাঠের মধ্যে বসে বেশ মজা করেছিলাম আমরা। বেশ আড্ডা দিয়েছিলাম। সবমিলিয়ে দারুণ সময় কেটেছিল আমাদের। এই দিনগুলো এখন শুধুই অতীত। শেষ তিন বছরে অসংখ্য ফুটবল ম‍্যাচ খেলেছি এই মাঠে। ম‍্যাচের আগে কয়েকদিন থেকেই বেশ একটা উওেজনা কাজ করতো। সময়ের সাথে সবকিছুই যেন বদলে গিয়েছে।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png