৫টি সহজ ধাপে টাকার সঠিক ব্যবহার (এক যুবকের অভিজ্ঞতা থেকে শেখা)
সামী একজন তরুণ, নতুন চাকরিতে যোগ দিয়েছে সবে মাত্র। বেতনের অঙ্কটা খারাপ না, তবুও মাসের মাঝামাঝি এসে টাকার টান পড়তে থাকে। কোথায় যে সব টাকা চলে যায়, তার কোনো হিসাবই থাকে না!
একদিন এক বড় ভাই পরামর্শ দিলেন—টাকার সঠিক ব্যবহার করতে শিখো। সামী প্রথমে বিশ্বাস করেনি, কিন্তু চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত নিল…
১. দৈনিক খরচের হিসাব রাখা
প্রতিদিন কোথায় কত খরচ হচ্ছে, সামী সেটা একটা ছোট নোটবুকে লিখতে শুরু করল। তখন বুঝতে পারল, অপ্রয়োজনীয় অনেক খরচ হচ্ছে—প্রতিদিনের কফি, বাইরে থেকে অর্ডার করা খাবার ইত্যাদি।
💡 পাঠ: কোথায় টাকা যাচ্ছে সেটা না জানলে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।
২. বেতনকে আলাদা আলাদা ভাগে ভাগ করা
বুঝতে পারার পর সামী বেতনকে তিন ভাগে ভাগ করল:
৫০% প্রয়োজনীয় খরচ (ভাড়া, খাবার, যাতায়াত)
৩০% সঞ্চয় ও বিনিয়োগ
২০% বিনোদন ও অপ্রত্যাশিত খরচ
এভাবে টাকা ব্যয়ের শৃঙ্খলা আসল।
৩. জরুরি তহবিল তৈরি করা
প্রতি মাসে সামান্য হলেও সঞ্চয় করতে শুরু করল। কয়েক মাস পর হঠাৎ এক অসুস্থতায় ধার নিতে হয়নি—জরুরি তহবিল কাজে লেগেছিল।
৪. অপ্রয়োজনীয় ঋণ এড়িয়ে চলা
ক্রেডিট কার্ড ও কিস্তিতে কেনাকাটা বন্ধ করল সামী। এতে সুদের বোঝা থেকে মুক্তি পেল।
৫. নিজের ওপর বিনিয়োগ করা
সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হলো নিজের দক্ষতা বাড়ানো। অনলাইনে একটি কোর্স করল, যার ফলে কিছুদিন পর পদোন্নতিও পেল।
মাত্র এক বছরের মধ্যেই সামী আর টাকার টানাপোড়েনে নেই। সঞ্চয় আছে, জরুরি তহবিল আছে এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক বেশি নিশ্চিন্ত।
💬 প্রশ্ন:
আপনি কি কখনও এই ধাপগুলো অনুসরণ করেছেন? আপনার কাছে টাকার সঠিক ব্যবহার শেখার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী?