বাংলাদেশর প্রযুক্তি এবং স্টার্টআপ সেক্টর

in #bangladesh2 years ago (edited)

বাংলাদেশে প্রযুক্তি এবং স্টার্টআপ সেক্টর গত কয়েক বছরে অনেক এগিয়েছে এবং এটি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই সেক্টরে সাফল্য প্রায় সবসময়ই আমাদের সামনে থাকে। দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগের সুবিধা, রপ্তানি মুক্ত স্যুটগুলির ঘন ঘন উপস্থিতি এবং প্রযুক্তির অগ্রগতি এই সেক্টরে ব্যবসায়ীদের আকর্ষণ বাড়িয়েছে। নীচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হল:

  স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম বাংলাদেশে এখন বিভিন্ন স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গঠিত হয়েছে, যা নতুন প্রযুক্তিগত এবং পরিবেশ বান্ধব উদ্ভাবন এবং ব্যবসায় নগদীকরণে সহায়তা করে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেটের মতো শহরে স্টার্টআপ হাব ও কোয়ার্টার গড়ে উঠেছে, যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

  সরকারি সহায়তা  বাংলাদেশ সরকার প্রযুক্তি ও স্টার্টআপ খাতে বিভিন্ন নীতি ও উদ্যোগ নিয়েছে এবং এর সুফল সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। ব্যবসায়ীদের জন্য নিয়মিত বাণিজ্যিক সুবিধা, ট্যাক্স বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা এবং স্টার্টআপ তহবিল পরিষেবা উল্লেখযোগ্য ছাড়াও আরও অনেক কাজ খুব সহজেই করা যায়।

  সৃজনশীল প্রযুক্তি  বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে সৃজনশীল ও উচ্চমানের প্রযুক্তি উপাদানের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। উদাহরণগুলির মধ্যে এক্সপোর্ট স্যুট, সাইবার নিরাপত্তা, ACI/ML, ফিনটেক, ই-কমার্স এবং অনলাইন পেমেন্ট এবং বিভিন্ন সম্পর্কিত প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত।

  সেক্টরে উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা  বাংলাদেশে বেশ কিছু কারিগরি প্রতিষ্ঠান, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং স্টার্টআপ হাব রয়েছে, যা এই খাতে উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে। এই প্রতিষ্ঠানগুলি নতুন উদ্যোক্তাদের উচ্চমানের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ প্রদান করে এবং তাদের ব্যবসায়িক দক্ষতা উন্নত করতে এবং তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানে সহায়তা করে।

  সাম্প্রতিক উদাহরণ  বাংলাদেশে বেশ কিছু প্রযুক্তি স্টার্টআপ সফলভাবে আবির্ভূত হয়েছে, যেমন Reeds, GreenTech, Gigagram, SharingEarn এবং Preo Institute। এগুলো বিভিন্ন প্রযুক্তিগত খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করেছে, যার ফলে দেশে বেকারত্বের হার হ্রাস পেয়েছে।

বাংলাদেশের প্রযুক্তি ও স্টার্টআপ সেক্টরের উন্নয়ন ও বিপুল সম্ভাবনার জন্য সকলের সহযোগিতা করা উচিত এবং উদ্যোক্তাদের প্রাসঙ্গিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা উচিত এবং সরকার যদি এই প্রযুক্তি ও স্টার্টআপ সেক্টরে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাহলে বাংলাদেশ শীঘ্রই তাদের সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে।