নদী পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রা
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এ দেশের মধ্যে ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য নদী। আমরা শুধু নদীর সৌন্দর্য দেখি-যখন নদী ভ্রমণে যাই। কখনো চিন্তা করি না যে, নদী পাড়ের মানুষের দিনকাল কি রকম ভাবে অতিবাহিত হয়। চিন্তা করি না তাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে। নদী পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রা এবং নদীর সৌন্দর্য পরস্পরের ব্যস্তানুপাতিক।
নদী বাংলার প্রাণ। নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে সকল প্রকার সভ্যতা। বলা হয়ে থাকে-মাছে ভাতে বাঙালি। প্রধানত মাছের উপর নির্ভর করে চলে নদী পাড়ের মানুষের জীবন-জীবিকা। নদীর পারে ছোট ছোট কুটরির মত করে টিনের অথবা চালের ঘর গড়ে তোলে এসব মানুষ। তাদের ছোট ঘরে স্থান হয় বউ, সন্তান ও তাদের বাবা-মার। গরু ছাগল ভেড়া অথবা হাঁস মুরগি ইত্যাদি পালন করা তাদের বাড়িতে। পুরুষরা নৌকা চালিয়ে কিংবা মাছ ধরে সারা দিন অতিবাহিত করে। নদীর আশেপাশের মানুষদের এপার থেকে ওপারে নিয়ে যাওয়া কিংবা মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করার মাধ্যমে তাদের আয় রোজগার হয়। আর মহিলারা রান্না-বান্না সহ দেখাশোনা করে এসব গৃহপালিত পশু পাখি। তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার দাবার এর জন্য বাজারে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। নদীর মাছ ও সঙ্গে নদীর আশেপাশে চাষাবাদ করে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ও ধান। খুব কম খরচে তাদের সংসার চলে সারা বছর। অনেক সময় নদী ভাঙ্গনের ফলে তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে নদীতে ভেসে চলে যায়। সঙ্গে তাদের সারা জীবনের সঞ্চয় ও নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। তখন তাদের দুঃখের সীমা থাকে না।
নদীর সৌন্দর্য যতটা বেশি ঠিক ততটাই কঠিন নদী পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রা। এসব মানুষ পারে না তাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা দিতে, পারে না তাদের সন্তানদের উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যবস্থা। এত কষ্টের মাঝে দিনকাল অতিবাহিত করলেও,তাদের জীবনে নেই কোন হতাশা, নেই কোনো উচ্চাকাঙ্ক্ষা।
নদী পাড়ের মানুষের জীবন যাপনের চিত্র অনেক সুন্দর ভাবে ফুটে তুলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
নদীর পাড়ে মানুষের জীবনযাপন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়।আবার নিরিবিলি শান্তিও পাওয়া যায়।ভালো লিখেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে দিদি।