দোল উৎসব পালনের কিছু মুহূর্ত|| DOL UTSAV || BOC || 20/ 03/2022 || 10% BENEFICIAL TO @ beautycreativity
হ্যালো বন্ধুরা ,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশাকরি সবাই সুস্থ , ভালো এবং সুন্দরভাবে দিন কাটাচ্ছো । আজ আমি তোমাদের সাথে আমার কালারফুল দোল উৎসব পালনের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব। গত 18 তারিখে আমি ,আমার পরিবার ,আমার বন্ধুরা ,দাদারা সবাই মিলে দোল উৎসব পালন করি। বসন্তে এই উৎসব পালিত হয় তাই একে বসন্ত উৎসবও বলা হয়।
আমাকে আবির মাখানো শুরু হয়ে গেছে।
আবির মাখানোর পর নিজের একটি সেলফি।
এক বান্ধবী অন্য বান্ধবীকে আবির মাখিয়ে দিচ্ছে।
ছোট দাদাকে টিনটিন বাবু আবির মেখে দিচ্ছে সেই কাজে টিনটিনকে সাহায্য করছে মেজ বৌদি।
আমাদের কালারফুল টিনটিন বাবু , পিছনে ঠাকুর দাদা ,ঠাকুর মা এবং মেজ বৌদি দাঁড়িয়ে।
রাস্তায় মানুষ রং খেলায় ব্যস্ত।
বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, দোল পূর্ণিমার দিন শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাধিকা এবং গোপীগণ এর সঙ্গে আবির খেলায় মেতে উঠেছিলেন ।সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়।দিনটিতে সকাল থেকেই মানুষ আবির ,রং, গুলাল এইসব নিয়ে রং খেলায় মেতে ওঠে। নারী-পুরুষ-শিশু বৃদ্ধা সকল বয়সের মানুষ এই উৎসবে অংশগ্রহণ করে ।এটি একটি ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব কারণ সকল ধর্মের মানুষই এই উৎসব আনন্দের সাথে উদযাপিত করে। এইদিন মানুষ বিভিন্ন রঙে রঙিন হয়ে ওঠে তাই একে রঙের উৎসব বলা হয় ।
যাই হোক সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আমি কি করেছিলাম সেই ঘটনায় আসি। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আবির নিয়ে বন্ধুবান্ধবরা আমাদের বাড়ির সামনে চলে এসেছে।
আমি তাদেরকে কিছু সময় বসতে বলি এবং খেয়ে একেবারে আবির খেলা শুরু করব তাই তাদের বলি।খাওয়া-দাওয়া শেষে কিছু সময় আড্ডা দিয়ে আমরা আবির নিয়ে বেরিয়ে পড়ি আবির খেলার জন্য।
আমরা রাস্তায় গিয়ে একে অন্যকে আবির মেখে দিই এবং আবির খেলা মুহূর্তের কিছু ছবি তুলি।রাস্তায় বেরিয়ে দেখি অনেক মানুষই আবির ,রং নিয়ে খেলছিল আমরা তাদের সাথে অংশগ্রহণ করি এবং তাদেরকেও কমবেশি আবির মেখে দিই।
তারপর আমরা আমাদের একটা দাদার বাড়িতে যাই সেখানে গিয়ে সবাই মিলে আবির খেলব তাই। গিয়ে দেখি তারাও তখন প্রস্তুত না আবির খেলার জন্য তাই কিছু সময়ে ছাদে গিয়ে বসে থাকি। তারপর দাদারা আসলে আমরা সবাই মিলে আবির খেলি। আমরা যখন ছাদে আবির নিয়ে খেলি তখন আমাদের সাথে উপস্থিত ছিল মেজদাদা ,মেজ বৌদি ,মেজদাদার ছেলে ছোট টিনটিন বাবু , ছোটদাদা ,ঠাকুরমা, ঠাকুরদা এবং আমার তিনজন বন্ধু ।
আমাদের সাথে আবীর খেলায় সব থেকে বেশি মজা করেছিল মেজ দাদার ছেলে ছোট্ট টিনটিন বাবু।সে সবাইকে আবির মেখে দেওয়ার পর জলে আবির গুলে খেলনা জল বন্দুক এর সাহায্যে সেই জল সবার গায়ে ছুড়ে ছুড়ে দেয় এবং অনেক আনন্দ করে।
এখানে আমরা এক ঘণ্টার মত আবির খেলায় মেতে উঠে ছিলাম, আর সবাই বিভিন্ন রঙে রঙিন হয়ে গেছিলাম।
অতঃপর বাড়িতে এসে মাকে আবির মেখে দিই।
বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় বাড়িতে মা না থাকায় তখন আবির মাখাতে পারিনি তাই বাড়িতে আসার পর মাকে আবির মেখে দিই এবং মা আমাকে আবির মাখিয়ে দেয়।
এই ভাবেই সেই দিনের মত আবির খেলার সমাপ্তি ঘটে।
আজ এখানেই আমার ব্লগ শেষ করছি পরে অন্য কোন ব্লগে তোমাদের সবার সাথে আবার কথা হবে।
বন্ধুরা সবাই ভাল থাকো সুস্থ থাকো , সবার দিন বসন্তের মতো রঙিন হয়ে উঠুক এই শুভ কামনা করি ।
@ronggin
ক্যামেরা পরিচিতি :SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল:SM-M317F
দেখে খুবই ভালো লাগলো, বিশেষ করে টিনটিন বাবুর রঙ খেলা দেখে
দেখে খুব ভালো লাগতিছে, ❤️
Thank you so much brother
Amazinh...!
Thanks a lot.