রেসিপি পোষ্ট: মিষ্টি কুমড়ার বীজের ভর্তা রেসিপি

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
সোমবার, ২০ ই মে ২০২৪ ইং

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে মিষ্টি কুমড়ার বীজের ভর্তা রেসিপি তৈরি করার কার্যক্রম শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।


IMG-20240516-WA0024~2.jpg

অনেকেই টাইটেল দেখে হয়তো অবাক হয়ে গিয়েছেন যে, মিষ্টি কুমড়ার বীজের আবার হয় নাকি। কিন্তু আমাদের গ্ৰাম এলাকার মানুষেরা মিষ্টি কুমড়ার বীজের ভর্তা খেতে অনেক পছন্দ করে।তারা মিষ্টি কুমড়ার সাথে মিষ্টি কুমড়ার বীজের ভর্তা খেয়ে থাকে। আমার কাছে ব্যক্তিগত ভাবে মিষ্টি কুমড়ার বীজের ভর্তা খেতে অনেক মজা লাগে। আমরা অনেকেই আছি মিষ্টি কুমড়ার বীজের ভর্তা তৈরি করা যায়, এই বিষয় টি জানি না। সেজন্য তারা মিষ্টি কুমড়ার বীজ গুলো ফেলে দেয়। কিন্তু এই মিষ্টি কুমড়ার বীজ গুলো দিয়ে খুবই সুন্দর ভর্তা রেসিপি তৈরি করা যায়। আমি আজকে আপনাদের মাঝে মিষ্টি কুমড়ার বীজের ভর্তা রেসিপি তৈরি করে দেখাবো। আপনারা চাইলে আপনাদের নিজ বাড়িতে এটি তৈরি করার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। তবে মিষ্টি কুমড়ার বীজের ভর্তার মধ্যে একটু আলাদা রকম স্বাদ রয়েছে, কিন্তু সেটি অন্য কোন ভর্তায় নেই।

প্রয়োজনীয় উপকরণ

  • মরিচ
  • পেয়াজ
  • রশুন
  • তেল
  • মিষ্টি কুমড়ার বীজ

কার্যপ্রনালী

ধাপ-১:

প্রথমে আমরা পরিমাণ মতো পেঁয়াজ, রশুন, মরিচ ও সাথে কয়েকটি শুট মরিচ নিয়ে নিলাম। ভর্তা রেসিপি তৈরি করার জন্য এই উপকরণ গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এই উপকরণ গুলো ছাড়া যে কোন ধরনের ভর্তা রেসিপি তৈরি করা সম্ভব নয়।

IMG-20240516-WA0020.jpg

ধাপ-২:

এরপর আমরা মিষ্টি কুমড়ার বীজ গুলো বের করে একটি পাতিলের মধ্যে নিলাম। এরপর বীজ গুলো পানির মধ্যে ভালো ভাবে ধুয়ে নিলাম। কেননা মিষ্টি কুমড়ার বীজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ময়লা লেগে থাকে। সেজন্য আমাদের উচিত বীজ গুলো আগে ভালো ভাবে পরিস্কার করে নেয়া।

IMG-20240516-WA0041.jpg

ধাপ-৩:

এখন আমি একটি পাত্র নিয়ে নিলাম। এই পাত্রের মধ্যে পরিমাণ মতো কিছু তেল ঢেলে দিলাম। এরপর হালকা কিছুক্ষণ সময় তেল গুলো গরম করে নিলাম। এরপর গরম তেলের মধ্যে বীজ গুলো ঢেলে দিলাম। এখন বেশ কিছুক্ষণ সময় বীজ গুলো তেলের মধ্যে ভেজে নিলাম।

IMG-20240516-WA0040.jpg

ধাপ-৪:

বেশ কিছুক্ষণ সময় বীজ গুলো ভাজার পর একটি পাতিলের মধ্যে ঢেলে নিয়ে নিলাম বীজ গুলো। এখন বীজ গুলো আপনারা দেখতে পারছেন অনেকটা ভাজা হয়ে গিয়েছে।বীজ গুলো এরকম চিবিয়ে খেতে অনেক মজা লাগে।আমি এরকম অবস্থায় বেশ কয়েকটি বীজ খেয়েছিলাম।

IMG-20240516-WA0039.jpg

ধাপ-৫:

এখন আবার একটি পাতিলের মধ্যে বেশ কিছু তেল ঢেলে নিলাম। বেশ কিছুক্ষণ সময় তেল গুলো গরম করে নিলাম। এরপর এই তেলের মধ্যে পেঁয়াজ, রশুন, মরিচ দিয়ে ভেজে নিলাম। কেননা এই উপকরণ গুলো তেলের মধ্যে ভাজি করে ভর্তা করলে অনেক বেশি মজাদার হয়।

IMG-20240516-WA0038.jpg

ধাপ-৬:

বেশ কিছুক্ষণ সময় পিঁয়াজ, রসুন, মরিচ গুলো তেলের মধ্যে ভাজি করার পর আমরা একটি পাতিলের মধ্যে ঢেলে নিলাম।

IMG-20240516-WA0021.jpg

ধাপ-৭:

এরপর আমরা আমাদের ভাজি করা পেঁয়াজ, রশুন, মরিচ ও তার সাথে মিষ্টি কুমড়ার বীজ গুলো ব্লেন্ডার মেশিনের মধ্যে ঢেলে নিলাম। এরপর আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় ব্লেন্ডার করে নিলাম।

IMG-20240516-WA0036.jpg

ধাপ-৮:

ব্লেন্ডার শেষ করে আমরা আমাদের ব্লেন্ডার করা ভর্তা গুলো তুলে একটি প্লেটের মধ্যে রাখলাম। এরপর অল্প একটু ভর্তা আমি খেয়ে দেখলাম। খাওয়ার পর বুঝতে পারলাম বেশ ভালোই হয়েছে।এটাই ছিল আজকের রেসিপি।

IMG-20240516-WA0023.jpg

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

DeviceRedmi 10C
Camera48 MP
CountyBangladesh
LocationRangpur, Bangladesh

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6HzJaoPE9n3kyXHpVFScAadwSCVJpY84M3wWWzLLzELtQK2rSJtUL9pTj98dwsm1MP47up86HvqkxNUfovt7kXVd7M4Hk9jft.jpeg

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZ6f4GKSwLn3BBFmPFifbbr21AhPTJ7XiTPJGbzxXNzpL3AeDnWebvp5DxFE241B8HGEVAqqCDY5m5Sn.png

Vote@bangla.witness as witness

54TLbcUcnRm3sWQK3HKkuAMedF1JSX7yKgEqYjnyTKPwrcNLMcZnLnFrW5PDaQKxbWWqwrRezSAe39S7RTiEk7NCzgzD1reVavwZGUMbjasjujy1CQqSedvtuVGKXod3vcdSqiXp2.png

Or

Set@rme as your proxy

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WEX4nZPQpSChVhr5YUqUeT6qhYr1L6PMHKqtRnepY2a8e1tqsDtWfr4V8KDGvJtydqvz4V68PMUyu9EWpez2.png


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

1699613681956.jpg

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।
Sort:  
 last year 

ভর্তা রেসিপি খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। তবে কখনো মিষ্টি কুমড়ার বীজের ভর্তা খাওয়া হয়নি। তাই রেসিপিটি আমার কাছে ভীষণ ইউনিক মনে হয়েছে। তবে ভর্তার কালার দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হবে। যাই হোক আপনার পোস্টের মাধ্যমে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এতো মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

মিষ্টি কুমড়ার বীজের ভর্তা রেসিপি আমি কখনো খাই নাই। আজকে আপনার রেসিপির মাধ্যমে জানতে পারলাম বেশ ইউনিক একটা রেসিপি ছিল। প্রত্যেকটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার উপস্থাপনা করার প্রক্রিয়া ভীষণ সুন্দর ছিল। শুভেচ্ছা রইল।

 last year 

আপনি আপনার বাড়িতে মিষ্টি কুমড়ার বীজের ভর্তা রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আসলে মিষ্টি কুমড়ার বীজের ভর্তা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।

 last year 

আসলে অঞ্চল ভেদে মানুষ বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খেতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে। মিষ্টি কুমড়ার বীজ যেটা ভাজি করে খেতে সবচেয়ে বেশি মজা লাগে আমার কাছে। অনেক খেয়েছি অনেকদিন হলো এই ধরনের ভাজি জাতীয় খাবারটি খাওয়া হয় না । আপনি দেখছি মিষ্টি কুমড়ার বীজের দারুন ভর্তা রেসিপি করে খেয়েছেন । এটা কেমন খেতে টেস্ট হবে একদিন ভর্তা রেসিপি তৈরি করে খেতে হবে।ভালো লাগলো আপনার রেসিপি তৈরি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

জী ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন আপনি, অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন রয়েছে।তার মধ্যে বেশ কিছু রেসিপির ও পরিবর্তন দেখা যায়।যেমন আমাদের গ্ৰামের মধ্যে মিষ্টি কুমড়ার বীজের ভর্তা রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয়। কিন্তু অন্য অঞ্চলের মধ্যে এমন টা করে না।

 last year 

মিষ্টি কুমড়ার বীজ আমরা সাধারণত শুকনো ভেজে খাই। তবে এভাবে কখনো ভর্তা করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটা দেখে বেশ ইউনিক লাগলো। আর খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। যেকোনো ধরনের ভর্তা গরম গরম ভাতের সাথে খেতে ভালই লাগে। সুস্বাদু একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

মিষ্টি কুমড়ার বীজের ভর্তা আমি মনে হয় একবার খেয়েছিলাম। তা ছাড়া মিষ্টি কুমড়ার বীজ দিয়ে তৈরি করা আর কোন রেসিপি আমার আগে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি তো দেখছি আজকে অনেক মজাদার ভাবে মিষ্টি কুমড়ার বীজ দিয়ে ভর্তা তৈরি করে নিয়েছেন। গরম গরম ভাতের সাথে কিন্তু এই ভর্তা খেতে অনেক বেশি ভালো লাগবে। বিশেষ করে যখন বৃষ্টি হয়, তখন থেকে বেশি ভালো লাগবে। কারণ বৃষ্টির সময় গরম গরম ভাত ভর্তা দিয়ে খাওয়ার মজাটাই আলাদা। এই দুপুর বেলায় এটা দেখিয়ে তো লোভ লাগিয়ে দিলেন।

 last year 

মিষ্টি কুমড়ার বীজের ভর্তা রেসিপি দেখেই খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এই ধরনের রেসিপি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে গরম ভাতের সাথে খেতে আরো বেশি মজা লাগে। আপনার ধাপগুলো দেখে শিখে নিলাম।

 last year 

মিষ্টি কুমড়া আমাদের শরীরের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর সবজি। মিষ্টি কুমড়ার বীজ এর মধ্যে অনেক পুষ্টি গুনাগুন বিদ্যমান। এই বিষয়টি অনেকেই খেয়ালই করেন না। আবার অনেকেই আছেন মিষ্টি কুমড়ার বীজ ফেলে দিয়ে থাকেন। কিন্তু আপনি আজকে মিষ্টি কুমড়ার বীজ এর ভর্তা রেসিপি তৈরি করে আমাদের দেখিয়ে দিলেন। সাথে মিষ্টি কুমড়ার বীজের ভর্তা রেসিপি বর্ণনা দিয়েছেন। ভর্তা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে অনেক বেশি টেস্টি হয়েছিল। যাইহোক ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

মিষ্টি কুমড়ার থেকে মিষ্টি কুমড়ার বীজের মধ্যে একটু বেশি পুষ্টি রয়েছে। আমরা অনেকেই মিষ্টি কুমড়ার বীজ গুলো বের করে ফেলে দেই।এটা আমাদের জন্য মোটেও কাম্য নয়।

 last year 

ভীষণ লোভনীয় হয়েছে ভাইয়া আপনার কুমড়া বীজের ভর্তা রেসিপিটি।দেখেই খেতে মন চাচ্ছে আপনার রেসিপিটি। ধাপে ধাপে ভর্তা তৈরি পদ্ধতি চমৎকার ভাবে আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি ভাগ করে নেয়ার জন্য।

 last year 

আমার অনেক পছন্দের ও মজার একটি রেসিপি আপনি শেয়ার করেছেন দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো। আমি বাসায় যখনই মিষ্টি কুমড়া রান্না করি তখন বীজগুলো আলাদা করে রেখে দিই। এবং আমার ছেলেও মিষ্টি কুমড়ার বীজ ভাজা খেতে পছন্দ করে। আর আমার ভর্তা অনেক টেস্টি লাগে। আপনার জন্য এই মিষ্টি কুমড়া ভর্তার রেসিপিটা আমার কাছে দারুন লেগেছে। রেসিপি তৈরি করার প্রক্রিয়াটি খুব সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।