জন্মদিন উপলক্ষে ঘুরাঘুরি করার মুহুর্ত।শেষ পর্ব।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
গত পর্বে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম ক্লাব গ্রিলারে গিয়ে সেখানে ঘুরাঘুরি করা এবং ফটোগ্রাফি গুলো। আসলে অনেকদিন পর সেখানে গেলাম আর বেশ খানিকটা সময় সেখানে ব্যয় করেছি। যেহেতু মানুষজন ছিল না সেই হিসেবে পুরো জায়গাটা একদম ক্লিয়ার ছিল। আমরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ফটোগ্রাফি করছিলাম। বিশেষত আমার ছেলেটা অনেক বেশি খুশি হয়েছিল সেখানে গিয়ে।
চারিদিকে সে ভীষণ লাফালাফি করছিল। সেখানে অনেকগুলো স্পেস ছিল ফটোগ্রাফি করার জন্য। এক সাইডে একটা দেয়ালে খুব সুন্দর একটা প্রজাপতি এঁকে রেখেছিল। সেখানে ফটোগ্রাফি করলে দারুন আসছিল। সন্ধ্যার আগ মুহূর্ত হওয়ার কারণে সেখানের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতেও ভীষণ সুন্দর লাগছিল। যদিও নিভৃতকে সেখানে দাঁড়িয়ে সুন্দর করে ছবি তুলতে চেয়েছিলাম কিন্তু সে সেখানে গিয়েও বেশ লাফালাফি করছিল। সুন্দর করে ওর কোন ফটোগ্রাফি করতে পারছিলাম না। যেটা পেরেছি সেটাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
আমরা আসার কিছুক্ষণ পরই খাবার অর্ডার দিয়েছিলাম মেনু কার্ড দেখে। খুব বেশি কিছু অর্ডার করিনি কারণ খাওয়া সম্ভব হবে না এত কিছু। এজন্য প্রথমে চিকেন বারবিকিউ উইংস আর নাগা উইংস দুটোই অর্ডার দিয়েছিলাম। তারপর একটা করে প্লেটার অর্ডার দিয়েছিলাম। যেখানে ফ্রাইড রাইস, মাসালা চিকেন আর চাইনিজ ভেজিটেবল ছিল। সাথে একটা করে ড্রিঙ্কস ছিল। এই প্লেটারটা চারজনের জন্য চারটা নিয়েছিলাম।
অনেক ঘোরাঘুরি করার পর খাবার এসেছিল। যেহেতু খাবার গুলো একদম টাটকা প্রিপেয়ার করছিল তাই অনেকটাই সময় লেগেছিল। তাই আমরা নিচে থেকে কিছু ঝাল মুড়ি নিয়ে এসেছিলাম। যদিও আমার জন্য অর্ডার করেনি, তাদের তিন জনের জন্যই অর্ডার করেছিল। সেখান থেকে আমি একটু করে খেয়েছিলাম। ক্ষুদা পেটে সেই ঝাল মুড়িটা খেতেও ভালো লেগেছিল। ঝাল মুড়ি খাওয়ার কিছুক্ষণ পর আমাদের জন্য নাগা উইংস এবং বারবিকিউ উইংস দুটোই নিয়ে এসেছিল। সেগুলো খেয়েছিলাম তার কিছুক্ষণ পর আমাদের মেইন প্লেটার টা চলে এসেছিল।
এদিকে আকাশটা অনেক মেঘলা হয়ে এসেছে। যেন বৃষ্টি তখনই নামবে। তবুও বৃষ্টি হয়নি। চারপাশের এই সুন্দর আবহাওয়ার মাঝে বাইরের খোলা পরিবেশে বসে খাবার খেতে খুব বেশি ভালো লেগেছিল। যদিও সম্পূর্ণ খাবারটা আমার দ্বারা শেষ করা সম্ভব হয়নি। কারণ অনেক বেশি পরিমাণে রাইস ছিল। যাইহোক খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিল মিটিয়ে আর একটু ঘুরাঘুরি করে আমরা চলে এসেছিলাম। তখন সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। সেদিনকার এই মুহূর্তটা আসলে খুব বেশিই ভালো লেগেছিল।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
🎉 Congratulations!
Your post has been manually upvoted by the SteemX Team! 🚀
SteemX is a modern, user-friendly and powerful platform built for the Steem ecosystem.
🔗 Visit us: www.steemx.org
✅ Support our work — Vote for our witness: bountyking5
কোথাও ঘুরতে গেলে বাচ্চারা অনেক বেশি খুশি হয়। আর তাদের আনন্দের মুহূর্তগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। আপু আপনার পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো।