অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে হসপিটালে কেটে গেল ১৩ টি দিন|| পর্ব :১
বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
আপনারা সকলেই হয়তো ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন আমার অসুস্থতার কথা।আলহামদুলিল্লাহ তিন চারদিন আগে বাসায় ফিরেছি কিন্তু এখনো শরীরটা পুরো ঠিক হয়ে ওঠেনি, অনেকটা দুর্বলতা এখনো কাজ করছে।একটানা ১৩টি দিন হসপিটালে থাকা চিন্তা করা যায়, কতটা কষ্ট সইতে হয়েছে? আসলে আমার অপারেশনটা ছিল গলব্লাডারের স্টোন অপসারণ। আর নরমালি সকলেই বলেছে এটা সাধারণ অপারেশন, আর আমিও জানতাম তাই। কিন্তু তারপরও মনের মধ্যে অনেকটা ভয় জমে গিয়েছিল। আত্মীয়-স্বজন সকলেই বলেছিল এটি সাধারণ একটি অপারেশন চিন্তার কোন কারণ নেই।আমার জানামতে আত্মীয়-স্বজন অনেকেরই এই অপারেশনটি হয়েছিল, আর সকলেরই কোন প্রবলেম হয়নি। মোটামুটি তারা সকলেই বেশ ভালো রয়েছে। কয়েক মাস আগে আমার আম্মারও এই অপারেশনটি করা হয়েছিল, আর আম্মা যথেষ্ট ভালো রয়েছে।কোন প্রব্লেম হয়নি। আর এদেশে তো প্রবলেম হওয়ার কথা ছিল না।কয়েক বছর আগে আমার বড় ভাসুরেরও এ অপারেশনটি হয়েছিল লন্ডন হসপিটালে, তার ক্ষেত্রেও কোন প্রবলেম হয়নি।কিন্তু প্রবলেমটি হয়ে গেল আমার।
হ্যাঁ বন্ধুরা আমার অপারেশনের দিন থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত যা যা আমার সাথে ঘটেছিল সবই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। আজকে আপনাদের সাথে এর প্রথম দিনের ঘটনাটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।আমার অপারেশনটি ছিল ঈদের পরের দিন শনিবার।আর ঈদের দিন ভাসুরের বাসায় খেয়েছিলাম,এরপর টানা ১৩ দিন কোন ভারি খাবার খাওয়া ছিল না।মোট কথা কোন কিছুই খেতে পারতাম না, খেলেই বমি হয়ে যেত।কখনো কল্পনাও করিনি একটানা ১৩-১৪ দিন হসপিটালে থাকতে হবে।ঈদের আগের দিন সব কিছু গোছগাছ করে রেখেছিলাম হসপিটালের জন্য যা যা লাগবে। এরপর পরের দিন সকাল ভোর ছয়টার সময় চলে গেলাম হসপিটালে। কারণ সাতটার সময় ছিল আমার অপারেশনের টাইম।সেখানে যাওয়ার পর অন্য একটি রুমে নিয়ে গেল।সেই রুমে দেখলাম আরো সাত আট জন রোগী রয়েছে যাদের সকলেরই অপারেশন হবে।এরপর ডাক এলো, সেখানে গিয়ে সব কিছু জিজ্ঞাসা করার পর পাঠালো আরও একজনের কাছে যিনি এনেস্থেসিয়া দিয়ে আমাকে ঘুম পাড়াবে। সে বিস্তারিত বর্ণনা করলো কিভাবে এই কাজটি করা হবে। বলল কোন রিস্ক নেই, আমি শান্তিতে ঘুমিয়ে থাকব কিছুই বুঝতে পারব না। তারপরও তো মনে ভয় জাগল যদি ঘুম না ভাঙ্গে?
এরপর অপারেশনের জন্য আমার ডাক এলো।একটি এপ্রোন পড়িয়ে দিল।অনেক ভয় লাগছিল তখন।এরপর সেই লোকটি এল যিনি এনেস্থেসিয়ার দায়িত্বে রয়েছিলেন।ওই সময় তো তাকে দেখে আরো ভয় লাগছিল।হাসিমুখে আমার কাছে এলো, এরপর আমাকে সান্ত্বনা দিল কোন কিছুই হবে না।তারপর ইনজেকশন দিয়ে দিল।ইনজেকশন দেওয়ার সাথে সাথেই আমার সারা শরীর গরম হয়ে ঘুম চলে এলো প্রচুর।অপারেশনের পর কেটে গেল চারটি ঘন্টা। এরপর হঠাৎ শুনি কেউ আমাকে ডাকছে তানজিরা "ইউর অপারেশন ইজ ডান, ওয়েক আপ!"চোখ খুলতে পারছিলাম না তখন ও চোখে প্রচুর ঘুম ছিল তারপর আস্তে আস্তে আমার পুরো জ্ঞান ফিরলো।তখন বেশ ভালোই ফিল করছিলাম।এরপর একটি রুমে আমাকে নিয়ে গেল অবজারভেশন এর জন্য।এরপর আমি বেশ ভালো। সকালবেলা অপারেশন হয়, আর সন্ধ্যার সময় তারা বলে আমি এখন বাসায় যেতে পারব।এরপর আমাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়।বাসায় আসার পর কয়েক ঘণ্টা আমি বেশ ভালোই ছিলাম।এরপর শুরু হয়ে গেল আমার লাইফের সবচেয়ে কষ্টের দিনগুলো।বন্ধুরা আজ তাহলে এতোটুকুই। আগামী পর্বে গুলোতে আপনাদের সাথে বাকি ঘটনা গুলো শেয়ার করব।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[

@tangera, this is a captivating and courageous post! I was immediately drawn in by your honest account of your recent surgery experience. Sharing such personal health journeys can be vulnerable, but incredibly impactful. Your detailed narrative, from the pre-operative jitters to the unexpected post-operative challenges, makes this a truly compelling read. The photo adds a personal touch that connects us even more.
I admire your strength in sharing this, and I'm sure many others can relate to the anxieties and uncertainties you described. Thank you for opening up and offering a glimpse into your experience. I eagerly await the next installment and wish you a continued and speedy recovery! What helped you stay positive during the difficult moments in the hospital? I encourage others to share their support and experiences in the comments below!