বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি ) চাকরির মাঠ ২০২৪
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
শনিবার, ০৯ ই নভেম্বর ২০২৪ ইং
আপনারা হয়তো সকলেই অবগত আছেন যে বেশ কিছুদিন বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় সকল ধরনের ডিফেন্সের চাকরির প্রাথমিক মাঠ চলছে। আমরা বেশ কয়েকজন বন্ধু সহ এবছর প্রায় সব ধরনের ডিফেন্সের চাকরির অনলাইন আবেদন করেছিলাম। এখন চলছে প্রতিটি জেলায় ফিজিক্যালি প্রাথমিক মাঠ। তবে, আমরা বেশ কয়েক বছর ধরে এই ডিফেন্সের চাকরির জন্য চেষ্টা করছিলাম। তবু ও আমরা একজন বন্ধু ও সেসব চাকরির মধ্যে টিকতে পারিনি।এটা আসলে আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক একটি ব্যাপার।আর বর্তমান সময়ে একটি চাকরি মানে অনেক কিছু। বিশেষ করে সরকারি চাকরির চাহিদা অনেক বেশি হয়ে গিয়েছে।আর এই সব চাকরির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রতিযোগী হয়ে গিয়েছে।তাই চাকরি পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।
বেশ কিছুদিন আগে আমরা পুলিশের প্রাথমিক মাঠ করতে গিয়েছিলাম বেশ কয়েকজন বন্ধু সহ। কিন্তু আমরা সেদিন কেউ এই প্রাথমিক ধাপের মধ্যে কৃতকার্য হতে পারিনি। আবার সেদিন আমাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর প্রাথমিক মাঠ ছিল। আমরা পুলিশের মাঠ থেকে বের হয়ে চলে যাই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ক্যাম্পে। এটি ও রংপুর শহরের মধ্যেই।এটি রংপুর শহরের সিও বাজারে অবস্থিত। আমরা বেশ কিছু সময়ের মধ্যে চলে গেলাম বিজিবি ক্যাম্পে। আমাদের যেতে যেতেই সকাল দশটা বেজে গিয়েছিল।আর আমাদের মাঠের একটি নির্দিষ্ট সময় ছিল, সে সময় টি হলো সকাল সাতটা। আমরা কিছু টা সময় দেরি করে যাওয়ার কারণে প্রথমে তারা আমাদের কে মাঠের মধ্যে প্রবেশ করার অনুমতি দেয়নি।
কিন্তু পরবর্তীতে অনেক অনেক রিকোয়েস্ট করার পর তারা আমাদের কে প্রবেশ করার অনুমতি দিয়ে দেয়। অনুমতি পাওয়ার পর আমরা বেশ আনন্দের সাথে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ক্যাম্পে প্রবেশ করলাম। প্রবেশ করার পর একজন স্যার আমাদের কে একটি মাঠের মধ্যে নিয়ে যায়। আমরা মাঠের মধ্যে গিয়ে দেখলাম বেশ কিছু সংখ্যক মানুষের ফিজিক্যালি প্রাথমিক মাঠ চলছে। আসলে আমরা মূলত সর্বশেষ পর্যায়ে গিয়েছিলাম। যাইহোক, প্রথমে আমাদের কে মাঠের মধ্যে দৌড়াতে বলে। আমরা আমাদের মতো করে মাঠের এক মাথা থেকে অন্য মাথা পর্যন্ত দৌড়ে আসলাম। আসলে , আমি তেমন একটা দৌড়াতে পারিনা, সেদিন অনেক টা হাঁপিয়ে গিয়েছিলাম। যাইহোক, অবশেষে তারা আমাদের কে একজায়গায় বসতে বলেন। এরপর আমরা বসে পড়লাম।
বেশ কিছুক্ষণ সময় পরে তারা আমাদের কে অন্য আরেক জায়গায় নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পারলাম, সাধারণ মেডিকেল চলছে সেখানে। বেশ কিছু সময়ের মধ্যে আমার সিরিয়াল চলে আসে। আমিও চলে গেলাম মেডিকেল করার জন্য।আমাকে তারা বেশ কিছু সময়ের ধরে আমার সাধারণ মেডিকেল করলো। এরপর আমি আবার আমার জায়গা এসে বসে পড়লাম। তবে, অন্যান্য বাহিনীর মাঠের তুলনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মাঠ একটু ভিন্ন ছিল। কেননা, অন্যান্য বাহিনীর মাঠে অল্প কিছু সমস্যা থাকলে বের করে দেয়। কিন্তু বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মাঠ করার সময় যতই বড় ধরনের সমস্যা হোক না কেন , তারা বের করে দেয় না মাঠ থেকে।এটা আসলে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
আর তারা আমাদের কে মাঠের মধ্যে আমাদের ফলাফল গুলো প্রকাশ করেনি। তারা আমাদের সকল ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সকল কে এক সাথে মাঠ থেকে বের করে দেয়। যারা এই সকল ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যথাযথ ভাবে যোগ্য তাদের ফোনের মধ্যে তারা মেসেজ পাঠিয়ে দিবেন।আর যারা অযোগ্য তাদের ফোনের মধ্যে কোন ধরনের এস এম এস যাবে না। যাইহোক, আমি মাঠের মধ্যে থাকাই বুঝতে পারলাম যে, আমি টিকবো না।আর আমার ফোনের মধ্যে কোন ধরনের মেসেজ আসেনি আর।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাই। আপনি খুব তাড়াতাড়ি আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যান এবং জীবনে সাফল্য অর্জন করুন। বর্ডার গার্ড মাঠে আপনার অভিজ্ঞতার কথা খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করলেন। আপনি নিশ্চয়ই আপনার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাবেন ভাই।
আশির্বাদ করবেন দাদা।আর আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করবো ।
অনেক অনেক আশীর্বাদ ভাই৷ ভালোবাসা রইল৷ হাল ছাড়বেন না।
এভাবে চেষ্টা চালিয়ে যান ভাইয়া। চেষ্টা চালালে অবশ্যই কোন একদিন সফলতা আসবে। নিজেদের দিক থেকেও ফিট থাকার চেষ্টা করেন। আপনার জন্য দোয়া করি ভাইয়া। আল্লাহ যেন সুন্দর একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেন।
শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করবো, দেখি কিছু একটা করতে পারি কিনা!
সফলতা অর্জন করতে হলে অনেক পরিশ্রম করা লাগে। মহান সৃষ্টিকর্তা যদি চান অবশ্যই সাফল্যতা আসবে। তবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে যে কোন ডিফেন্স এর মাঠে নিজেকে ফিটফাট ভাবে উপস্থিত হওয়ার। দোয়া করি আপনার জন্য।
জীবনে যদি চেষ্টা থাকে তাহলে সবকিছু করা সম্ভব। দোয়া করি আপনি আপনার লক্ষ্যে তাড়াতাড়ি পৌঁছে যাবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।