হঠাৎ বাচ্চাদের বার্গার খাওয়ানো

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমরা আজকের পোস্ট।

20230615_132102_HDR.jpg

বরাবরের মতো আজ আমি আপনাদের মাঝে এসেছে একটি পোস্ট দিয়ে। পোস্টটি হলো হঠাৎ বাচ্চাদের বার্গার খাওয়ানো।আসলে কয়েক দিন আগে আমারা মা মেয়ে মিলে গিয়েছিলাম মার্কেটে। সকালে উঠে আমি তাড়াতাড়ি সকল কাজ গুছিয়ে নিয়েছি মার্কেটে যাবো বলে। কিন্তু বাচ্চাদের ঘুম থেকে টেনে উঠে নিয়ে চলে গিয়েছে। কোথায়ও যাওয়ার সময় বাচ্চারা তেমন খায় না কারণ ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যায়। আমি সবকিছু গুছিয়ে ওদের নিয়ে চলে যায়। আর ওরা বাইরে গেলে বাইরেই বেশিরভাগ খায়। তবে সেদিন আমি বার্গার খাওয়াতে চাইনি। আমি ভেবেছিলাম কিছু ভাড়ি খাবার দেব। কিন্তু ওরা বার্গারই খাবে তাই আর কি করা তারপর বার্গার খেতে চলে গেলাম।তো চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

20230615_131952.jpg

20230615_131934.jpg

আসলে গোল্ডেন স্ন্যাকস নামক একটি রেস্টুরেন্ট আছে অনেক জনপ্রিয়। রেস্টুরেন্টটা অনেক পুরানো অনেক জনপ্রিয় তবে অত উন্নত না। তাদের খাবারের মান অনেক ভালো। আমরা যতবার যাই এই রেস্টুরেন্ট থেকেই বেশিরভাগ সময় খেয়ে থাকি। তারপর যথাসময়ে গোল্ডেন স্ট্যাকস নামক রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসলাম। রেস্টুরেন্টে প্রায় অনেকেই পরিচিত কারণ মাঝেমধ্যে যায় তাই। তাই আমি গিয়ে দুটি বার্গার অর্ডার করলাম।

20230615_131903.jpg

20230615_131803.jpg

ওনাদের আরও অর্ডার ছিল বললো আপু আজকে একটু বসতে হবে। কি আর করা দুই মেয়ে নিয়ে একটু বসে রইলাম। কিছু ক্ষণ এর মধ্যে আমাদের ভিতরে ঢেকে নিল।আসলে রেস্টুরেন্ট অনেক ছোট তবে ভীর অনেক তাই একবারে বেশি লোক ভিতরে বসার জায়গা দিতে পারে না।তবে সেই দিন বাইরে থাকা অনেক কষ্টকর ছিল। যদি ও বাইরে ফ্যান ছিল তারপরেও লোকের অনেক চাপ। এত পরিমাণ গরম মনে হয়েছিল চলে আসি কিন্তু বাচ্চারা না খেয়ে আসবে না।

20230615_131838.jpg

20230615_131741.jpg

তারপর ভিতরে গিয়ে আমার দুই মেয়ে বসে রইল। তখন মনে হচ্ছিল এখন অনেক ভালো লেগেছে। তবে ভালো যতই লাগুক খাবার না পাওয়া পর্যন্ত বাচ্চারা অস্হির।তারপর বাচ্চাদের দেখে রেস্টুরেন্টে ওয়েটার বললো দাঁড়াও বাবু তোমাদের আগে দেব, শুধু রেডি করে নিই। আসলে আমরা যৎ তাড়াতাড়ি বলে না কেনো একটা জিনিস রেডি করতে সময় লাগে তো। পরে ওয়েটারদের বানানো দেখে অনেক খুশি।

20230615_132158.jpg

20230615_132102_HDR.jpg

প্রায় বিশ মিনিট পরে বাচ্চারা তাদের প্রিয় খাবার বর্গার পেল। আসলে সেই দিনের মিনিট মনে হচ্ছে ঘন্টা গরমের জন্য। যাইহোক অবশেষে বার্গার পেয়ে বাচ্চারা মনের আনন্দে খেতে লাগলো। সত্যি এই রেস্টুরেন্টের খাবারের মান অনেক ভালো। তবে বাচ্চারা মনের মতো করে খেয়েছে। আশাকরি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে।

প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসLGK30
লোকেসনফরিদ পুর

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkKeUxjpvDicJC19Ww3PsohAvFMrugrSu1pSg638699Yh7Ad6pYix9LvdLXvARH2hxGmJfzFWD97xUzBMCRy1Fz5WLidW545LKQ.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

hPb2XtKwBGiwRzkrzveR1sSPznD4Wv2miQhHXdT4AQFLAHkykY3jBdZmCxJjk6ztifZuRFBV7zoGPBbLN7Lkye6VFmom81baPfeUCEyY7AHbTLxQc1o85rEUTzNp98...YVvDBETk3mJPgn7FZvEHUXrxkZzx8XXwvxZ1XaAXaUKMY1J4Jnwp1qFNdww2VMXKd9tbLkXzNUZiDGZRtCm2dynbYGBzJduBamEPX9ALJK2XX9TDqYeaKh8Gtd.gif

Sort:  
 2 years ago 

বাচ্চারা দেখছি খুবই মজা করে বার্গার খেয়েছিল। বাহিরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে বাচ্চারা একটু বেশি পছন্দ করে। খাবার না পাওয়া পর্যন্ত তারা অনেক বেশি অস্থির হয়ে পড়েছিল। যার কারণে ওয়েটার বলেছিল তাদেরকে আগে দেবে। খাবার ২০ মিনিট পরে পেয়েছিল। আর অনেক মজা করে দুজনে খাওয়া-দাওয়া করেছিল যা ফটোগ্রাফিতে দেখে বুঝতে পারছি। অনেক বেশি ভালো লাগলো আমার কাছে বাচ্চাদের খাওয়া দাওয়া করার এত সুন্দর পোস্টটা পড়ে।

 2 years ago 

সত্যি আপু বাইরে খাওয়া বাচ্চারা একটু বেশি পছন্দ করে, ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

গোল্ডেন স্ন্যাকস রেস্টুরেন্টটিতে খাবারের মান ভালো। তাই এখানেই সব সময় বাচ্চাদের নিয়ে যান জেনে খুব ভালো লাগলো। বাচ্চারা আসলে রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসতে চায় না।খাবারের জন্য অস্থির হয়ে যায়। আমি বেশির ভাগ বাচ্চাদের মধ্যে এমনটা দেখেছি।যাক ওয়েটার ২০ মিনিটের মধ্যে বার্গার নিয়ে এলো।খুব আনন্দ করে খেয়েছে মেয়েরা।আপনার ফটোগ্রাফিগুলো ভালো লাগলো। আপনার অনুভূতি গুলো পড়েও খুব ভালো লাগলো আপু। অনেক ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আপু আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল, ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 2 years ago 

আসলে যেখানে ভালো মানের খাবার পাওয়া যায় ওখানে বারবার যাওয়া হয়। ছোট বাচ্চারা বাহিরের খাবার গুলোই বেশি পছন্দ করে খেতে। ফটোগ্রাফিতে দেখে বুঝতে পারছি তারা খুব হাসিখুশি ভাবে বার্গার খেয়েছে। আপনার বাচ্চাদের বার্গার খাওয়ার মুহূর্ত আমার কাছে পড়ে ভালই লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আপু আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল, ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

বার্গার খাওয়ানোর বিষয়টা অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনার বাচ্চারা তো দেখছি বার্গার খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আপনারা এই রেস্টুরেন্ট থেকে বেশিরভাগ সময় খাওয়া-দাওয়া করে থাকেন। যার জন্য ওখানে কার লোকজন আপনাদের চেনা। আপনার বাচ্চারা যখন খাবার না পেয়ে আত্মহারা হয়ে যাচ্ছিল তখন ওয়েটার ওদেরকে বলেছিল ওদেরকে খুব তাড়াতাড়ি দিয়ে দিবে। আর ওয়েটারদের তৈরি করা দেখে তাদের অনেক ভালো লাগছিল। অবশেষে তারা দুইজন বার্গার পেয়ে অনেক বেশি খুশি হয়েছিল এবং খুব মজা করে খেয়েছিল বুঝতে পারছি।

 2 years ago 

আসলে ভাইয়া বাচ্চারা খাবার দেওয়া দেরি হলে অস্হির হয়ে পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আপনারা এই রেস্টুরেন্ট থেকে মাঝেমধ্যে খাওয়া দাওয়া করেন এর জন্য আপনাদের খাবার একটু তাড়াতাড়ি দিয়েছে। বাচ্চারা তাদের পছন্দের খাবার বার্গার খেয়েছে। খেতে নিশ্চয়ই মজা ছিল। আমারও খুব পছন্দের একটা খাবার হলো বার্গার। মাঝে মাঝে বার্গার খাওয়া হয়।

 2 years ago 

জি ভাইয়া খেতে অনেক মজা হয়েছে, ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

স্নেহের সন্তানদের মুখে হাসি দেখতে পারলেন নিজের জানের শান্তি লাগে। খুব সুন্দর করে একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বাচ্চাদের সাথে বার্গার খাওয়া নিয়ে। তবে প্রথম ছবিটা ওভাবে দেওয়া ঠিক হয়নি। হাজার হলো আমার নিজের ভাগ্নেদের ফটোগ্রাফি। প্রথম ফটোটি একটু বেশ সুন্দর হওয়া প্রয়োজন ছিল।

 2 years ago 

বাচ্চারা ঠিক মতো ছবি তুলতে দেয় না, ধন্যবাদ আপনাকে।