বিড়ালের সঙ্গে কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

প্রিয় হিন্দু ভাই-বোনদের জন্য আদাব ও ভালোবাসা 💗🙏। আমার প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্নেহ। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি, মহান আল্লাহর রহমতে এবং একে অপরের ভালোবাসায় আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও বেশ ভালো আছি।আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য,এই প্ল্যাটফর্মের সাথে আমার যাত্রা প্রায় এক বছর ধরে। সত্যি বলতে, এখানে আসতে পেরে আমার মনে হচ্ছে ! যেন নিজের আর একটি নতুন পরিবার খুঁজে পেয়েছি। প্রতিটি লেখা, প্রতিটি মন্তব্য, প্রতিটি বন্ধুত্ব আমাকে দিয়েছে আনন্দ, ভালোবাসা এক নতুন অধ্যায়ের স্বাদ।আজকে আমি আপনাদের সাথে বিড়ালের সঙ্গে কাটানো কিছু মুহূর্তের অনুভূতি শেয়ার করবো ।আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

বিড়ালের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো জীবনের এমন এক কোমল অধ্যায়, যা স্মৃতির ভাঁজে চিরদিনের জন্য জায়গা করে নেয়। তারা কেবল পোষা প্রাণী নয়, বরং ঘরের এক সদস্য, এক অবলম্বন, এক মায়াময় সঙ্গী। বিড়ালের উপস্থিতিতে ঘর যেন আরও জীবন্ত হয়ে ওঠে তাদের হাঁটাচলা, মিউ মিউ শব্দ, কিংবা চুপচাপ জানালার পাশে বসে থাকা ভঙ্গি সবই একধরনের সৌন্দর্যের ছোঁয়া এনে দেয়।সকালের আলো যখন জানালার ফাঁক দিয়ে ঘরে ঢোকে, তখন ছোট্ট বিড়ালটা উঠে এসে মুখের পাশে গিয়ে নরমভাবে ঘষে দেয় তার গাল।

মনে হয় যেন বলছে, উঠে পড়ো, নতুন দিনের শুরু হোক একসাথে।কখনো তারা খাবার চায়, আবার কখনো নিঃশব্দে কোলে উঠে বসে। এইসব সহজ মুহূর্তেই লুকিয়ে থাকে এক গভীর স্নেহ। কাজের ফাঁকে তারা এসে কীবোর্ডের উপর বসে পড়ে বা নোটবুকে লেজ ছুঁইয়ে দেয় এইসব আচরণে বিরক্ত হওয়া যায় না, বরং মনে হয় এরা যেন ছোট্ট শিশুর মতো মনোযোগ চায়।দুপুরবেলা রোদে বিড়ালটা যখন অলসভাবে শরীর মেলে শুয়ে থাকে, তখন তাকে দেখে মনে হয় শান্তি নামের শব্দটা যেন ওর ভেতরেই বাস করে।

সেই সময় পাশে বসে হাত বুলিয়ে দিলে তাদের গরগর শব্দে এক অদ্ভুত প্রশান্তি আসে। তারা চোখ আধবোজা করে যে তৃপ্তির অভিব্যক্তি দেয়, সেটাই হয়তো প্রকৃত সুখের প্রতিচ্ছবি।বৃষ্টির দিনে জানালার পাশে বসে যখন তারা বাইরে তাকিয়ে থাকে, হালকা বাতাসে লোমগুলো এলোমেলো হয়ে যায়, তখন তাদের নির্লিপ্ততা আর কৌতূহলের মিশ্র মুখভঙ্গি দেখলে মনে হয়, এরা যেন প্রকৃতির ভাষা বোঝে। বাইরে ঝরে পড়া বৃষ্টির সঙ্গে তাদের সেই নিরব দৃষ্টির যোগাযোগে এক শান্ত মেলবন্ধন তৈরি হয়।

রাতের দিকে যখন চারপাশ নিস্তব্ধ হয়ে যায়, তখন তারা চুপচাপ এসে পাশে শুয়ে পড়ে। হয়তো ঘুমন্ত অবস্থায়ও তারা বুঝে যায় আপনি ক্লান্ত বা মন খারাপ। তখন তাদের নরম শরীরের উষ্ণতা যেন এক শান্ত সান্ত্বনা হয়ে আসে। নিঃশব্দ সেই উপস্থিতিতে মনে হয়, এক অদ্ভুত ভালোবাসা ঘিরে আছে।বিড়ালের সঙ্গে থাকা মানে শুধু খেলাধুলা নয় এটা এক ধরনের আবেগের বন্ধন, যা প্রতিদিন আরও গভীর হয়। তারা আমাদের শেখায় যত্ন নিতে, ধৈর্য ধরতে, এবং নির্ভেজাল ভালোবাসা দিতে। তাদের চোখে আমরা দেখতে পাই বিশ্বস্ততা, কৃতজ্ঞতা আর এক নীরব ভালোবাসা, যা শব্দের সীমা ছাড়িয়ে যায়।

অনেক সময় মনে হয়, বিড়ালরা যেন বুঝতে পারে মানুষের মন। মন খারাপ থাকলে তারা এসে নরমভাবে গায়ে ঘষে, আর মন ভালো থাকলে লেজ নেড়ে আনন্দ প্রকাশ করে। এভাবেই তারা হয়ে ওঠে এক নিঃশব্দ সঙ্গী, যে হাসি-কান্না সব মুহূর্তে পাশে থাকে।এইসব ছোট ছোট মুহূর্ত খেলাধুলা, খাওয়ানো, ঘুম, কোলে নেওয়া, জানালার ধারে বসে থাকা সব মিলে তৈরি হয় এক বড় ভালোবাসার গল্প। বিড়ালের সঙ্গে কাটানো প্রতিটি দিন যেন আমাদের মনে করিয়ে দেয়, জীবনের সৌন্দর্য বড় কোনো ঘটনার মধ্যে নয়, বরং এই ছোট্ট ছোট্ট সুখের ভেতরেই লুকিয়ে থাকে।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।