সখের যত্নে বড় হওয়া সাদা মুরগির কিছু এলোমেলো ফটোগ্ৰাফি ।।

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

প্রিয় হিন্দু ভাই-বোনদের জন্য আদাব ও ভালোবাসা 💗🙏। আমার প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্নেহ। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি, মহান আল্লাহর রহমতে এবং একে অপরের ভালোবাসায় আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও বেশ ভালো আছি।আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য,এই প্ল্যাটফর্মের সাথে আমার যাত্রা প্রায় এক বছর ধরে। সত্যি বলতে, এখানে আসতে পেরে আমার মনে হচ্ছে ! যেন নিজের আর একটি নতুন পরিবার খুঁজে পেয়েছি। প্রতিটি লেখা, প্রতিটি মন্তব্য, প্রতিটি বন্ধুত্ব আমাকে দিয়েছে আনন্দ, ভালোবাসা এক নতুন অধ্যায়ের স্বাদ।আজকে আমি আপনাদের সাথে সখের যত্নে বড় হওয়া সাদা মুরগির কিছু এলোমেলো ফটোগ্ৰাফি শেয়ার করবো ।আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

প্রকৃতি আমাদের জীবনে কেবল উপাদান সরবরাহ করে না, বরং আমাদের সৌন্দর্যবোধ, সংবেদনশীলতা এবং মানবিকতা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমরা প্রায়শই বড় জীব বা রঙিন ফুল পাতা নিয়ে মুগ্ধ হই। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছি, কত সাধারণ কিছু প্রাণীও আমাদের চোখে কতখানি প্রশান্তি এনে দিতে পারে ? ঘরের উঠোনে বা গ্রামের বারান্দায় এমন একটি প্রাণী যখন হাঁটতে হাঁটতে তার সৌন্দর্য ছড়িয়ে দেয়।জীবনের ছোট ছোট জিনিস আমাদের হৃদয়ে গেঁথে থাকে বড় বড় অনুভূতির মতো। তেমনই একটি ভালোবাসার নাম ,আমার সখের মুরগি। ছোট মুরগির বাচ্চা থেকেই তাকে আমি বড় করেছি নিঃস্বার্থ যত্নে, ভালোবাসায়। কোনো দিন খেতে বসলে তাকে ডেকে নিয়েছি, কখনো একা সময় কাটালে তাকে কোলে তুলে নিয়ে গল্প করেছি। সে শুধু একটি পোষা প্রাণী নয়, বরং আমার জীবনের একটি অংশ হয়ে উঠেছে। আজ হঠাৎ তাকে কোলে নিয়ে কিছু এলোমেলো ছবি তুলতে ইচ্ছা হয় তাই কয়েকটি ছবি তুলে রাখলাম ।একটি অদৃশ্য স্মৃতির খাতায় স্থির করে রাখার চেষ্টায়।

এই সাদা মুরগিটি দেখলে প্রথমেই চোখে পড়ে তার নিখুঁতভাবে পরিচর্যিত দেহ। ঝকঝকে পালক আর একধরনের আত্মবিশ্বাসী চাহনি। তার গায়ের রঙ একেবারে নিস্পাপ সাদা , যা একদিকে সৌন্দর্যের প্রতীক, অন্যদিকে পরিচ্ছন্নতা ও শুদ্ধতার এক নিঃশব্দ বার্তা বহন করে। এই মুরগিকে দেখে বোঝা যায়, সে শুধুই একটি সাধারণ পোলট্রি পাখি নয়। বরং এক ঘরের সদস্য, একটি অনুভূতি যার প্রতি মমতা ও যত্ন অত্যন্ত প্রকট।মুরগিটির ঝুঁটি এবং থুতনির নিচের লাল লতি একে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। যেন সাদা ক্যানভাসে একটি প্রাকৃতিক তুলি দিয়ে আঁকা লাল রেখা। এই রঙের সংমিশ্রণ চোখে পড়ে স্বাভাবিকভাবে, এবং আলাদাভাবে সৌন্দর্যের বার্তা দেয়। তার চোখ দুটি উজ্জ্বল ও সজীব। এগুলোর মধ্যে কৌতূহল, সাহস আর সচেতনতা মিলেমিশে এক মায়াময় দৃষ্টি তৈরি করে যা সহজে মন কাড়ে।

এই মুরগিকে আমার হাতে ধরে থাকা যা একটি ঘরোয়া, সংস্কৃতি সমৃদ্ধ চিত্র তুলে ধরেছি। মুরগির সাথে মানুষের এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বোঝায় যে, এই প্রাণীটি কেবল খাবারের উৎস নয়, বরং পরিবারেরই এক অংশ। তার প্রতি এমন যত্ন, স্নেহ ও আত্মিক টান দেখা যায় যা আমাদের শেখায় প্রাণীদের প্রতিও ভালোবাসা প্রদর্শনের গুরুত্ব।ছবির প্রতিটি কোণে তার ভিন্ন ভঙ্গিমায় ধরা পড়া মুহূর্তগুলো একেকটি জীবন্ত ফ্রেমের মতো। কখনো সে কৌতূহলী হয়ে সামনে তাকিয়ে আছে। আবার কখনো একপাশে মাথা ঝুঁকিয়ে যেন কিছু বলতে চাইছে। এভাবে ক্যামেরাবন্দি হওয়া তার প্রতিটি আচরণ চোখে তুলে আনে জীবনের সরলতাকে, যা প্রকৃতপক্ষে একধরনের প্রশান্তি।

মুরগিটির প্রতি আমার যে আবেগ, সেটি ছবির চেয়েও বেশি গভীর। কারণ সে শুধু উপস্থিত থাকে না, বরং আমার দিনগুলোতে সঙ্গী হয়, আমার নির্জনতা ভাঙে, আর কখনো কখনো নিঃশব্দে আমার ভালোবাসার প্রতিদান দেয়।জীবনের পথে আমরা অনেক সম্পর্ক গড়ে তুলি।কিছু রক্তের, কিছু হৃদয়ের, আবার কিছু নিঃশব্দ ভালোবাসার। আমার এই সখের মুরগিটি যেন সেই শেষোক্তটির নিখুঁত উদাহরণ। তার সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত আমার জীবনের একেকটি মূল্যবান অধ্যায়। আজ এলোমেলো কিছু ছবি তুলে রাখলাম, ভবিষ্যতের কোনো একদিনের জন্য।যখন এই স্মৃতিগুলো খুলে দেখব আর মনে পড়বে, এমন একটি ছোট প্রাণীও আমার জীবনে কতখানি বড় স্থান দখল করে ছিল।ভবিষ্যতের সময় হয়তো পাল্টে যাবে, মানুষ বদলাবে, দিন রূপ নেবে অন্যরকম, কিন্তু এই সাদা মুরগির সঙ্গে গড়ে ওঠা ছোট ছোট মুহূর্তগুলো আমার মনের আকাশে অমলিন থেকে যাবে চিরকাল।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।