অতীতের সোনালী শৈশব
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহতালার অশেষ রহমতে ভালো আছি তবে শারীরিক দিক থেকে একটু অসুস্থ রয়েছি। এদিকে আমার মায়ের অসুস্থতাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। অনেকগুলো ডাক্তার দেখানো হয়েছে অনেকগুলো টেস্ট করানো হয়েছে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত অবজারভেশনে রাখা হচ্ছে। তারপরও স্বাস্থ্যের উন্নতি করছে না জানি না আসল সমস্যাটা কোথায় ঘটছে।
এই সবকিছুর জন্য আমাকেই মোটামুটি ছুটোছুটি করতে হচ্ছে। বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে যাওয়া, বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করানো, সেগুলো আবার রিপোর্টগুলো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া। আম্মুর আবার অসুস্থতার মাঝে ঠিকভাবে হাঁটতেও পারছে না, ঠিকভাবে কোন কিছু খেতেও পারছে না। এর জন্য মাত্রা অতিরিক্ত টেনশন হচ্ছে আবার আমার ফাইনাল পরীক্ষা আর কিছুদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এতটা ব্যস্ততম সময় পার করছি যেটা আসলে বলা বাহুল্য। ঠিক এমন সময় কেন জানি অতীতের সেই শৈশবের সোনালী দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। যেই সময়গুলোতে ছিল না কোন টেনশন ছিল না কোন দায়িত্ববোধ কিংবা কর্তব্যবোধ।
সেই অতীতের সোনালী সময়গুলোতে ছিল শুধুমাত্র অফুরন্ত সময় বন্ধু-বান্ধবের সাথে খেলাধুলা করা এবং মনের মধ্যে আনন্দ এবং উল্লাস কিন্তু বর্তমানে সেই সময় গুলো আমরা চাইলেও আর পেতে পারি না। জীবনের মরীচিকায় এমনভাবে পা ফেলেছি যেখান থেকে বের হওয়ার আর কোনই রাস্তা নেই। যখন আমি ছোট ছিলাম তখন ভাবতাম তখন বড় হব কখন আর নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবো তখন হয়তো সবকিছু নিজের মতো করে কড়তে পারব। নিজের জীবনটা আরো সুন্দর হবে কিন্তু সে সব বিষয়গুলো কল্পনা করা আমার জন্য অনেকটা বোকা আমি ছিলাম, কারণ বড় হয়ে আজ বুঝতে পারছি সেই সোনালী দিনগুলো কতটা মূল্যবান ছিল, কতটা আনন্দ ঘন ছিল।
বর্তমানে এমন একটি সময় এসে দাঁড়িয়েছি যেখানে শুধুমাত্র একটার পর একটা বিপদ আসতেই রয়েছে। একটি বিপদ থেকে কোনভাবে উদ্ধার হলে আরো দুই তিনটি বিপদ দরজার সামনে এসে কড়া নাড়ে এবং আমাদেরকে এটা বারবার মনে করিয়ে দেয় আমরা বড় হয়ে গেছি। এখন আর তেমন উদযাপনের কোন কিছু নেই। শুধুমাত্র নিজের জীবনটাকে অতিবাহিত করতে হবে। আগেকার দিনগুলো মানাই ছিল আনন্দ বিনোদন যা মনটা ঈদ আসার বহুদিন আগে থেকেই একটা আনন্দ কাজ করতো। এছাড়াও বিভিন্ন উৎসব অনেক ধুমধাম করে পালন করা হতো। শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাওয়া, ফুল চুরি করা বন্ধু-বান্ধবের সাথে ফুটবল ক্রিকেট আরও নানান ধরনের খেলাধুলা করা এসব যেন এখন হওয়া অতীতের সোনালী স্মৃতি হয়ে রয়ে গেছে।
একবার যদি ফিরে যেতে পারতাম তাহলে অবশ্যই সে সোনালী শৈশবে ফিরে যেতে চাইতাম এবং সেই সময় গুলো আরো একবার উপভোগ করার চেষ্টা করতাম। যাইহোক এই ব্যস্ততম জীবনে একটু শান্তির খোঁজে মানুষ কত কিছুই না করে সেই শান্তিটা হয়তো অনেকেই খুঁজে পায় আবার কেউ খুঁজে পায় না। তারপরও মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি অন্যান্য পরিবারের তুলনায় সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে অনেক ভালোই রেখেছেন। যাই হোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: অতীতের সোনালী শৈশব
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
@alsarzilsiam, আপনার "অতীতের সোনালী শৈশব" পোস্টটি অসাধারণ! শৈশবের স্মৃতিচারণ সবসময়ই মন ছুঁয়ে যায়, আর আপনার লেখার আন্তরিকতা বিশেষভাবে মুগ্ধ করেছে। মায়ের অসুস্থতা এবং পরীক্ষার চাপ সত্ত্বেও, আপনি যেভাবে সোনালী দিনগুলোর কথা স্মরণ করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
childhood is very golden.
আপনার অনুভূতির গভীরতা এবং স্মৃতিগুলোর প্রতি ভালোবাসা প্রতিটি লাইনে স্পষ্ট। বিশেষ করে, বিপদ মোকাবেলা করে জীবন অতিবাহিত করার বাস্তবতা এবং শৈশবের আনন্দ-বিনোদনের অভাবের কথাগুলো খুব বাস্তবসম্মত।
এমন সুন্দর একটি পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। আপনার মায়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি এবং আপনার পরীক্ষাগুলোর জন্য শুভকামনা রইলো। আপনার লেখাগুলো আরও উৎসাহিত হোক, এই কামনা করি।
ভাইয়া আপনার আম্মুর অসুস্থতার কথা শুনে সত্যিই অনেক খারাপ লেগেছে। দোয়া করি উনি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। শৈশবের দিনগুলো ফিরে পেলে সত্যিই অনেক ভালো হতো ভাইয়া।
প্রথমেই আপনার মায়ের সুস্থতা কামনা করছি। আসলে শৈশবের দিনগুলো ছিলো আমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। কিন্তু সেটা আমরা তখন একেবারেই বুঝতে পারতাম না। তবে এটা এখন প্রতিনিয়ত উপলব্ধি করতে পারি। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।