স্মৃতিচারণ :(ঈদের ছুটিতে মামার বাড়ি যাওয়ার গল্প)

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

হ্যালো..!!

আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আমি @purnima14 বাংলাদেশী,

আজ- ০৭ জুন, শনিবার, ২০২৫ খ্রিঃ

কভার ফটো


1000052826.png

Source: Pixabay



আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে আমি অনেক পছন্দ করি। আজ এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের সকলেরই শৈশবে রঙিন কিছু স্মৃতি রয়েছে। শৈশবে স্মৃতিকে আমরা কখনোই ভুলতে পারিনা। বারবার শৈশব ফিরে আসে আমাদের মনে। কিন্তু জীবনে আর শৈশব ফিরে আসেনা। শৈশব হলো আমাদের হারিয়ে যাওয়া রঙিন স্মৃতির সমাহার। আজ শৈশবেরী একটি ঘটনা শেয়ার করব। শৈশবে আমরা সকলেই মামার বাড়ি যেতে পছন্দ করতাম। বিশেষ করে স্কুল ছুটি দিলেই মামার বাড়ি যাওয়ার বাহানা ধরতাম। ঈদের ছুটিতে মামার বাড়ি যাওয়ার মুহূর্ত গুলো আজ খুব মনে পড়ছে। সেটি শেয়ার করব আজকে পোস্টের মাধ্যমে।



মামার বাড়ি মধুর হাড়ি। মামার বাড়ি মানে আমাদের সবথেকে আপন এবং ভালোবাসার একটি জায়গা। মামার বাড়িতে গেলে আমরা সব থেকে বেশি আনন্দিত হই। শৈশবের স্মৃতিগুলোর মধ্যে অন্যতম আনন্দের স্মৃতিগুলো মামার বাড়ি। যেকোনো কিছু উপলক্ষে স্কুল ছুটি দিলেই হয়। ছুটি পেলেই মামার বাড়ি চলে যাওয়া হতো। কত আনন্দের ছিল দিনগুলো। এখন বড় হয়ে আর মামার বাড়ি যাওয়া হয় না। এখন শুধু সেই স্মৃতিচারণ করায় হয়। আজ ঈদ। ছোটবেলায় ঈদের দিনে মামার বাড়ি থাকতাম। মুসলিম ধর্মাবলম্বী সহপাঠীরা যখন ঈদ পালনে ব্যস্ত আমি তখন মামার বাড়ির আনন্দঘন মুহূর্ত ব্যস্ত থাকতাম।

আমাদের বাড়ি থেকে মামার বাড়ি কাছেই বলা চলে। ছোটবেলায় আমাদের বেড়ানোর অন্যতম প্রিয় জায়গা ছিল মামার বাড়ি। যখনই স্কুল ছুটি দিত তখনই মায়ের কাছে বায়না ধরতাম মামার বাড়ি যাওয়ার জন্য। মা দাদু কে ফোন দিয়ে বলতেন আমাদের দুই ভাই বোনকে অথবা শুধু আমাকে নিয়ে যেতে। দাদু আমাদেরকে খুব ভালবাসতেন। এমনিতেই মাঝে মাঝে আমাদের দেখতে আসতেন। দেখার সময় যা যা পছন্দ করি সবকিছু কিনে নিয়ে আসতেন। কি যে ভালো লাগছে তখন বলে বোঝাতে পারবো না। দাদু বিকেল বেলায় এসে সন্ধ্যা বেলায় আমাকে নিয়ে চলে যেতেন তাদের বাড়ি। আমার ভাই খুব একটা যেত না আমি বেশি যেতাম।

ঈদের ছুটি পেলে তালিকায় প্রথমে রাখতাম মামার বাড়িতে ঘুরতে যাওয়া। দাদুর সাথে মামা বাড়ি গিয়ে বেশ কয়েকটা দিন কাটাতাম। কিছু কিছু ঈদের ছুটি আবার গরমের ছুটির সাথে দেওয়া হতো। ঈদ এবং গরমের ছুটি একসাথে পেয়ে ভীষণ মজা করতাম। আমার মামার বাড়িতে ছিল প্রচুর আম। সেখানে গিয়ে সকাল বিকাল আম গাছে উঠে আম পারতাম। আবার ঝড় এলে আম কুড়াতাম। দিদার সাথে জুটি বেঁধে বসে থাকতাম। এই আনন্দঘন মুহূর্তগুলো মনের মাঝে সুর হয়ে বাজে।

আমার মামার বাড়ির পাশে ছিল বড় এক খাল। খাল বলতে এটা কোন এক নদীর শাখা হয়ে বয়ে গেছে। সেখানে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। দাদু মাঝে মাঝে। কি মজা করে যে মাছ ধরা দেখতাম। আর মাছগুলো নিয়ে যখন বাড়ির মধ্যে ঢুকতাম আনন্দের আর সীমা থাকতোনা।সন্ধ্যেবেলায় দাদুর সাথে হাঁটতে হাঁটতে মোড়ের ওপরে এসে বসতাম। মামা বাড়িতে মাসিরাও ছিলেন তাদের সাথে গল্প আড্ডায় মেতে উঠতাম। দিদার সাথে রান্নাঘরে বসে কি যে গল্প করতাম সেসব এখন স্মৃতি।

আমিও কত বড় হয়ে গেছি।মামারা বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়ায় চলে গেছে। দিদারা থাকলে এখনো হয়তো দু একদিন যাওয়া হতো। হয়তো আগের মত মজা করতে পারতাম না। কিন্তু সেখানে গিয়ে শৈশবে স্মৃতিচারণের পাশাপাশি কিছু অনুভব করতে পারতাম। মাঝে মাঝে দাদুদের জন্য খুব মন খারাপ। তাদেরকে সামনা সামনি অনেক দেখতে ইচ্ছে করে। কিন্তু ব্যাপারটা এখন এদেশ ওদেশ হয়ে গেছে। তবে শৈশব কি খুব মিস করি। শৈশবের সাথে সাথে দাদু, দিদা, মামা মাসিদের কথাও খুব মনে পড়ে। বারবার ইচ্ছে করে ফিরে যায় ওই পুরনো শৈশবে। যেখানে শুধু খুশির মেলা।

আজ এই পর্যন্তই।



ছবির বিবরণ

ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:কুষ্টিয়া



প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।



আমি কে !

Screenshot_20231102_205038_Facebook-01.jpeg

আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@purnima14



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 2 months ago 

শৈশবের সেই সুন্দর দিনগুলো আর কখনো ফিরে পাওয়া সম্ভব না। তুমিও আম গাছে উঠে আম পাড়তে গেলে বেশ মজা লাগলো। মামা বাড়ি গিয়ে দেখছি অনেক মজা করতে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।