স্মৃতির পাতায় স্কুল লাইফ।

in আমার বাংলা ব্লগ4 days ago

হ্যালো..!!

আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আমি @purnima14 বাংলাদেশী,

আজ- ১৩ ই আগষ্ট,বুধবার, ২০২৫ খ্রিঃ

কভার ফটো


1000059453.jpg

Source: Pixabay



আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।

আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে ভালো লাগে। কিছুদিন ধরে অনেক ব্যস্ততায় ছিলাম। এখন আপাতত ব্যস্ততা শেষ। পরীক্ষা শেষ হয়েছে। কালকে থেকে আবার নতুন নতুন পোস্ট আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। অনেকক্ষণ ধরে ভাবছিলাম কি নিয়ে লিখব আজ। লেখা মত কিছুই পাচ্ছিলাম না। তারপর হঠাৎ মনে পড়লো স্কুল লাইফের কথা। যখন একা একা নিরিবিলি সময় বসে থাকি।অনেক বেশি মনে পড়ে। মনে পড়ে হারানো বন্ধুগুলোর কথা। মনে পড়ে স্যারদের কথা। এত সময় তারা আমাদের কত প্রিয় ছিল আর আমরাই বা তাদের কত প্রিয় ছিলাম।



আমি ২০১০ কি ১১ সালে স্কুলে যাওয়া শুরু করি। যতদিন সম্ভব ২০১০ সালে যাওয়া শুরু করেছিলাম। তখন আমার বয়স পাঁচ বছর। আমি আমার এক ছোটবেলার বান্ধবীর কথা বলেছিলাম। তার সাথেই আমি প্রথম স্কুলে যাওয়া শুরু করি। আমার বান্ধবী ক্লাস ওয়ানে পড়তো। ওয়ান মানে আমরা যেটাকে ছোট ওয়ান বলি। যেটাকে ব্রাক বলে। ওর সাথে আমার প্রথম স্কুলে যাওয়া শুরু হয়।

মা বলে আমি নাকি স্কুলে গিয়ে প্রচুর কান্নাকাটি করতাম। স্কুলে থাকতে চাইতাম না। তারপর স্যার আমাকে বলেছিল পরের বছর থেকে স্কুলে পাঠাতে। তারপরেও মা আমার বান্ধবীর সাথে মাঝে মাঝে আমাকে পাঠাবেন। ওর সাথে গিয়ে কান্নাকাটি করে চলে আসতাম। এভাবেই চলে কিছুদিন। তারপর আস্তে আস্তে স্কুল ভালো লাগতে শুরু করে। সবার সাথে খুব মিশতে শুরু করে। অনেক বন্ধু বান্ধবী হয় আমার। আমার মা আবার আমার পড়াশোনার ব্যাপারে খুবই পসেসিভ ছিলেন। স্কুল থেকে যখন স্যার রা আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যেতেন প্রায় জিজ্ঞেস করত মেয়ে কি পড়াশোনা করছে? আমার মায়ের এই উৎসুক ব্যাপারটা ছাড়াও পছন্দ করতেন।আস্তে আস্তে আমি স্যারদের খুব প্রিয় হয়ে উঠি। কিছু কিছু স্যার আছে যাদেরকে আমি এখনো ভুলতে পারি না। এখনো সেসব স্যারের সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করে। কখনো কখনো স্যারদের সাথে দেখা হলে অনেক ভালো লাগে। স্যার আমাকে অনেক ভালবাসতেন। কিছু কিছু ম্যাম স্যার যাদের কথা প্রতিনিয়ত আমি ভাবি। তারা আমার জীবনের সবথেকে বেস্ট সারম্যান ছিলেন।

এখনো আমাদের ওই স্কুল একজন স্যার চাকরি করেন। কিছুদিন পরে হয়তো তার রিটায়ার্ড হয়ে যাবে। স্যারটা যে আমার কত প্রিয় ছিল সেটা বলে বোঝাতে পারবো না। আমি যখন ক্লাস থ্রি থেকে কুষ্টিয়াতে চলে আসলাম। তখন স্যারটা আমাকে বারবার নিষেধ করেছিল যেও না। স্যারের কথা কে শোনে আমি চলে আসলাম কুষ্টিয়াতে। সেবার আমার রেজাল্ট অনেক খারাপ হয়েছিল। স্যার বলেছিল ওর থেকে এরকম রেজাল্ট আশা করা যায় না। আমি বরাবর ভালো স্টুডেন্ট ছিলাম না, আবার একেবারে খারাপ স্টুডেন্ট ছিলাম। সব সময় মিডিয়াম স্টুডেন্ট ছিলাম। এখন যেমন আমার পড়াশোনা করতে ভালো লাগেনা। ছোটবেলায় ছিল তার উল্টোটা। আমি পড়াশোনা করতে খুব ভালবাসতাম। আমার যতদূর মনে পড়ে কিংবা আমার মা যতটুকু বলে আমাকে নাকি পড়তে বসার কথা বলা লাগত না। আর এখন পড়া এসে ঘাড়ের উপর জমে যায় তারপরেও পড়তে ইচ্ছা করে না। সময়ের সাথে সাথে ইচ্ছে কতটা বদলেছে সেটাই ভাবি। যদিও এখন জোর করে হলেও ছোটবেলা থেকে বেশি পড়াশোনা করতে হয়।

এবার আসি ছোটবেলার বন্ধুদের কথা। তাদের নিয়ে এর আগে একটি পোস্টে লিখেছে। তাদেরকে আমি কখনোই ভুলতে পারবো না। সেই প্রথম বন্ধুত্ব। প্রথম বেঞ্চে বসার জন্য কত মারামারি হইহুল্লোর।সময় গুলো খুব বেশি মনে পড়ে। স্কুলের কত স্মৃতি যে মনের খাতায় গেঁথে আছে। স্কুলের সামনের দোকানটা গিয়ে প্রতিদিন টিফিনে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করা। সেটাও ছিল এক অনন্য সুন্দর মুহূর্ত। স্কুল থেকে ফেরা, স্কুলে যাওয়া, ছুটির ঘন্টা, টিফিন টাইম সেসব জুরে আছে অসংখ্য স্মৃতি। স্মৃতিগুলো মাঝে মাঝে মনে পড়লে ভীষণ ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। এখন কলেজে পড়ি। এখনকার আনন্দ একরকম আর সেই সময় আনন্দ ছিল আরেক। আর কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো কলেজ লাইফ শেষ হয়ে যাবে। তখন এই কলেজ লাইফ টা কেউ ভীষণ মিস করবো।

স্কুল লাইফ নিয়ে যতই লিখি না কেন। তাই আর লিখছি না। চলে যাচ্ছি সময়, জমে যাচ্ছে অসংখ্য স্মৃতির পাহাড়। যতদিন যাবে আরও জমবে। অনেক কথায় আছে যেগুলো আমরা ভুলে যাই। কিন্তু ছোটবেলার কথা। স্কুল লাইফের কথা, কলেজ লাইফের কথা আরো অনেক কিছু যেগুলো আমরা ভুলতে চাইলেও ভুলতে পারিনা। স্কুল লাইফ আমাদের জীবনের সুন্দর এক রঙিন অধ্যায়। মিস করি প্রতিটি সময়। মিস করি প্রতিটি বন্ধু বান্ধবীকে।আরো মিস করি প্রত্যেকটি সারম্যান কে। মন থেকে চাই সবাই ভালো থাকুক। সবার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক। আবার যদি কখনো সেই বান্ধবীর সাথে দেখা হয় জড়িয়ে ধরে বলতে চাই আমি এখনো তোকে বড্ড মিস করি।



ছবির বিবরণ

ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:কুষ্টিয়া



প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।



আমি কে !

Screenshot_20231102_205038_Facebook-01.jpeg

আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@purnima14



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 4 days ago 

স্কুলের দিনগুলোর কথা এখনও অনেক মনে পড়ে। সময় গুলো হারিয়ে গেছে। তবে শৈশবের সময় গুলো দারুন ছিল। আপু আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।

 18 hours ago 

1000059912.png