শৈশবের স্মৃতিময় মাছ ধরার গল্প।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ০৫আগস্ট, মঙ্গলবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।
ক্রিয়েটিভিটির পাশাপাশি আরো অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে আমি অনেক পছন্দ করি। আজকে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের শৈশব হলো জীবনের সবথেকে রঙিন অধ্যায়। পার করে এসেছি বহু মধুময় সময়। মাঝে মাঝে মনে পড়লে ফিরে যায় শৈশবে। কথাগুলো ভাবতে খুব ভালো লাগে। আজ হঠাৎ শৈশবের মাছ ধরার গল্প মনে পড়ল। চলুন তাহলে গল্পটা শেয়ার করি।
মাছ ধরা আমাদের সবার শখের একটি বিষয়। মাছ খাওয়ার থেকে মাছ ধরতে বেশি পছন্দ করি। আবার আমরা অনেকে আছি মাছ খেতেও পছন্দ করি। হাজার হোক আমরা হলাম বাঙালি। বাঙালির প্রিয় হল। মাছে ভাতে বাঙালি। ছোটবেলা থেকেই আমার মাছ খুব একটা ভালো লাগে। তবে মাছ ধরতে খুব পছন্দ করি। যদিও একটু ভয় পাই এখনো তারপরেও বড়শি গেছে মাছ ধরতে বেশ ভালই লাগে। ছোটবেলায় কয়েকবার এভাবে মাছ ধরা হয়েছে। জাল দিও মাছ ধরা হয়েছে। কতই না মজার ছিল দিনগুলো।
তখন আমি প্রায় অনেকটাই ছোট ক্লাস থ্রি পড়ে পড়ি। আমরা এখন যে বাড়িতে থাকি সেখানে তেমন একটা পুকুর নেই। আমরা মাছ ধরতে পারতাম না। গ্রীষ্মের ছুটি কিংবা অন্যান্য ছুটিতে আমরা যখন আমাদের পুরনো বাড়িতে যাইতাম। সেখানে গিয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরতাম। আমাদের বাড়ির সামনে ছিল বড় একটা পুকুর। সেই পুকুরে আমরা ভাই বোনেরা মিলে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতাম। দিদা দাদু এই বছরখানেক হলো মারা গিয়েছে। তাদেরকে খুব মিস করি। তারা থাকতে আমরা সেখানে গিয়ে মাছ ধর কত স্মৃতি তৈরি করেছিলাম। দাদু আমাদের বাজার থেকে বরশি কিনে এনে দিতেন।
দিদার কাছে বায়না ধরে আটা নিয়ে সেগুলা জলে মেখে মাছের খাবার তৈরি করতাম। এক একটা টপ গেথে বসে পুকুরে ফেলতে বড়শিতে মাছ টোকা দিত। তবে খুব কম মাছ ধরেছি আমি। মাছ খাবার খেয়ে চলে যেত কিন্তু উঠাতে পারতাম না। একবার তো বসে ঝুলিয়ে আনার সময় একটা ছাগলের মুখের মধ্যে গেথে গিয়েছিল। সেটা নিয়েও কত কাহিনী হয়েছিল। আজ হঠাৎ সেগুলো মনে পড়ল। ওই পুকুর থেকে মাছ ধরা নিয়ে ভাইবোনেরা মিলে খুব মজা করতাম।
আবার যখন বর্ষাকাল হতো। তখন আমরা সেই পুরনো বাড়িতে যেতাম। সবাই না গেলেও আমি যেতাম দিদা দাদুর সাথে থাকতে। তখন আমাদের বাড়ির সামনের পুকুর এবং আমাদের নিজস্ব ওপর বর্ষার জলে ডুবে যেতো।বেশি সময় দুই পুকুরের মাঝ বরাবর বাগানের মধ্যে আমার দাদু জাল পেতে রাখতো। সেখানে ছোট বড় অনেক মাছ ধরতো। মাঝে মাঝে বৃষ্টির মধ্যে ছুটে চলে যেতাম মাছ দেখতে। সেখানে গিয়ে যখন মাছ দেখতাম খুশিতে তো আমি ফেটে পড়তাম।
হঠাৎ করেই অনেকদিন পর কথাগুলো খুব মনে পড়ল। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করছি আপনাদের প্রত্যেকের এরকম শৈশবের সুন্দর গল্প রয়েছে। গল্পটা পড়তে আপনাদের ভালো। কিছুটা সময় নিজেদের শৈশব শরণে আসবে। মাঝে মাঝে শৈশবে হারিয়ে যেতেও ভালো লাগে। সুন্দর স্মৃতি যতবার স্মৃতিচারণ করা যায় যতবার প্রশান্তি। ফিরে যেতে পারবো না তবে বারবার প্রশান্তি কুড়াতে পারবো।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


https://x.com/PurnimaBis34652/status/1953513791150600283?t=jBzubVtnn2OP5CJLk7Y4yg&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1953514043962273809?t=KEoM4YnYUKYV0Br0ZA7cyA&s=19
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 0/8) Get profit votes with @tipU :)
আপনার লেখায় যে সহজ-সরল অনুভব আর মমতা ফুটে উঠেছে, তা পাঠকের মনে এক অনন্য আবেশ তৈরি করে। মাছ ধরার প্রতিটি মুহূর্ত, বড়শিতে মাছের টোকা, ছাগলের কাণ্ড, কিংবা বৃষ্টিভেজা দিনে দাদুর পাতা জালে মাছ দেখা—সবই এত বাস্তব ও স্পর্শকাতরভাবে লেখা, যেন আমরা নিজেরাই সেই মুহূর্তে উপস্থিত ছিলাম।
শৈশবের কথা গুলো সব এখন আমাদের স্মৃতি হয়ে আছে।আসলে হুট করেই যখন শৈশব কালের কথা মনে পড়ে তখন নিজেকে কেমন যেনো লাগে।যাইহোক আপনার শৈশবকালের স্মৃতিময় পোস্ট টি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।এইরকম বর্ষাকালে আমিও ছোট বেলায় অনেক মাছ ধরতাম এবং মাছ দেখতে যেতাম।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।