জলবায়ু পরিবর্তন
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আমিও মোটামুটি ভালো আছি। আজ আমি কথা বলব আমাদের পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে। বিষয়টা অনেক কমন কিন্তু তারপরও এই বিষয়ে আমরা কেউ আলোকপাত করি না।
আমরা সকলেই মনে করি এই জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের হাতে নেই, আমাদের কন্ট্রোলে নেই। তাই এই বিরুদ্ধে তেমন কোন প্রতিকার কিংবা সচেতনতা মূলক কোনো কার্যকলাপ আমরা দেখাই না। যার কারণে এই পরিবেশ দূষণ দিন দিন আরো বেশি ভয়াবহ হয়ে উঠছে এবং সেই সাথে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। যার কারণে মরুভূমির মতো দেশেও বরফ পড়ছে। বর্তমানে যদি আমরা ঢাকার কথাই বলি, পৃথিবীতে যতগুলো দেশ রয়েছে যতগুলো শহর রয়েছে তার মধ্যে প্রথম সারিতে পড়ে আমাদের ঢাকা শহর, আমাদের এই শহরের দুষনের দিক থেকে।
পৃথিবীর প্রত্যেকটা অঞ্চলের বায়ু কতটা পরিশুদ্ধ কিংবা কতটা বিষাক্ত সেটা দেখার জন্য কিন্তু বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে। তবে বর্তমানে সেই ওয়েবসাইটের কথা মনে পড়ছে না, তাই এখানে সাবমিট করতে পারছি না। তবে সেখানে গেলেই দেখা যাবে আপনি যে এলাকায় বসবাস করছেন সেই এলাকার বায়ু কতটা শুদ্ধ কিংবা বিষাক্ত। আমরা সকলেই মনে করি এই বিষয়গুলো হয়তো আমাদের কন্ট্রোলে নেই, তবে আমরা যদি সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে সতর্কতা অবলম্বন করি বেশি করে গাছ লাগাই এবং পরিবেশ দূষণ কম করার জন্য চেষ্টা করি, তাহলে হয়তো অল্প অল্প পরিবর্তনে পরবর্তী প্রজন্ম হয়তো ভালো কিছু গ্রহণ করতে পারবে।
বর্তমানে যে পরিমাণে কলকারখানার সৃষ্টি হচ্ছে, যে পরিমাণে বায়ু দূষিত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি যানবাহনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, এতে করে অদূর ভবিষ্যতে এই পৃথিবীতে থাকাই আমাদের জন্য অনেকটা চ্যালেঞ্জিং বিষয় হয়ে যাবে। বর্তমানে ঢাকা শহরে নিঃশ্বাস নেওয়া মানেই বিষ গ্রহণ করার সামিল, এটা একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের বাংলাদেশ কিন্তু আগে মৌসুমী জলবায়ুর অন্তর্ভুক্ত ছিল। মৌসুমী জলবায়ুর বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য ছিল যেগুলো হয়তো বর্তমানে খুব একটা বেশি দেখতে পাওয়া যায় না। আগে আমরা পাঠ্যপুস্তকে পড়েছিলাম আমাদের দেশে ছয়টি ঋতু বিরাজ করে। কিন্তু বর্তমানে তিনটি ঋতু ছাড়া বাদ বাকি ঋতুর কোন আমরা অনুভব করতে পারি না। এসব কিছুর জন্য কিন্তু জলবায়ু দায়ী, যা প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে।
এখনই সময় আমরা জায়গা থেকে সতর্কতা অবলম্বন করি। আমাদের এই পরিবেশ যাতে দূষিত না হয় সেজন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে আমরা চেষ্টা করে যাই। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাগুলোই অনেক ভালো ফলাফল দিবে। ফাঁকা জায়গায় কিংবা বাসার যেসব ফাঁকা জায়গায় এখনো পড়ে আছে সেসব জায়গায় ছোটখাটো কিংবা মাঝারি ধরনের গাছ লাগাতে পারি। এছাড়াও বাসার ছাদে টপে করে কিন্তু আমরা বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগাতে পারি। ফুলের গাছ ফলের গাছ এতে করে আপনার পরিবেশ যেমন রক্ষা হবে ঠিক তেমনিভাবে আপনার মনও সতেজ থাকবে। কারণ আপনার বাসায় ফুলের গাছ রয়েছে ফলের গাছ রয়েছে।
আমি ব্যক্তিগতভাবেই গাছ লাগাতে অনেক পছন্দ করি। গাছ পরিচর্যা করতেও অনেক বেশি পছন্দ করি। আমার বাসায়ও ছোট্ট একটা বাগান রয়েছে। যদিও আমাদের বাসাটা খুব বেশি একটা বড় নয়, তারপরও যেসব ফাকা জায়গা রয়েছে, সে সব জায়গায় গাছে পরিপূর্ণ রয়েছে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে গাছ লাগানো রয়েছে। প্রত্যেকটি যদি আমরা এভাবে করে এই পরিবেশ রক্ষার্থে কন্ট্রোল করি তাহলে হয়তো কিছুটা হলেও আমাদের এই দূষন কমাতে পারবো।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: জলবায়ু পরিবর্তন
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
একেবারে যথার্থ বলেছেন ভাই,আমাদের সবার উচিত নিজ নিজ জায়গা থেকে এই ব্যাপারে সচেতন হওয়া। নয়তোবা পরবর্তী প্রজন্ম এই পৃথিবীতে মনে হয় না বসবাস করতে পারবে। তাছাড়া সামনেই বর্ষাকাল আসছে। আর বর্ষাকালে সবার উচিত বেশি বেশি গাছ লাগানো। আসলে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করলে যেকোনো অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়। সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।