বিকেলের নির্জনতায় বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজে কাটানো কিছু মুহূর্তের ফটোগ্রাফি ।।

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

প্রিয় হিন্দু ভাই-বোনদের জন্য আদাব ও ভালোবাসা 💗🙏। আমার প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্নেহ। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি, মহান আল্লাহর রহমতে এবং একে অপরের ভালোবাসায় আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও বেশ ভালো আছি।আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য,এই প্ল্যাটফর্মের সাথে আমার যাত্রা প্রায় এক বছর ধরে। সত্যি বলতে, এখানে আসতে পেরে আমার মনে হচ্ছে ! যেন নিজের আর একটি নতুন পরিবার খুঁজে পেয়েছি। প্রতিটি লেখা, প্রতিটি মন্তব্য, প্রতিটি বন্ধুত্ব আমাকে দিয়েছে আনন্দ, ভালোবাসা এক নতুন অধ্যায়ের স্বাদ।আজকে আমি আপনাদের সাথে বিকেলের নির্জনতায় বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজে কাটানো কিছু মুহূর্তের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো ।আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

আমাদের বাড়ির পাশেই অবস্থিত বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজ ।এত কাছে থাকলেও জীবনের ব্যস্ততার মধ্যে অনেক সময়ই এই কাছের জায়গাটাকেই খুব দূরের মতো মনে হয়। আজকের বিকেলটা ছিল অন্যরকম। হঠাৎ করেই ইচ্ছা হলো একটু নিজের সঙ্গে সময় কাটানোর, একটু নিরিবিলি পরিবেশে হাঁটার, আর সেই ভাবনা থেকেই ঢুকে পড়লাম বহু পরিচিত বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের ক্যাম্পাসে ,হঠাৎ করে পায়ে হেঁটে চলে গেলাম ।

প্রকৃতির কোলে গড়ে ওঠা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজ, রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত একটি অন্যতম নারী শিক্ষাকেন্দ্র। এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল নারী শিক্ষার প্রসার এবং সুযোগ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে। তখনকার সময়ে মেয়েদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ খুব সীমিত ছিল, আর এই কলেজটি সেই অভাব পূরণের লক্ষ্যেই যাত্রা শুরু করে।চারপাশটা যেন শান্তির আবেশে ডুবে ছিল। গাছপালার সবুজ, মেঘলা আকাশ আর কলেজের নীরব দালানগুলো মিলে এক অসাধারণ দৃশ্যের জন্ম দিয়েছে।প্রতি বছর অসংখ্য ছাত্রী এখান থেকে শিক্ষালাভ করে দেশের বিভিন্ন পেশায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করছে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা যথেষ্ট আন্তরিক এবং পাঠদানের মানও প্রশংসনীয়।

আজ বিকেলে যখন কলেজ চত্বরে পা রাখলাম, মনে হলো সময় যেন একটু ধীর হয়ে গেছে। চারপাশে সবুজ গাছপালা, পরিচ্ছন্ন খোলা মাঠ, পাখির ডাক, হালকা বাতাস সবকিছু মিলে এক অপার্থিব আবহ তৈরি করেছিল। কলেজ ভবনের পরিচ্ছন্নতা আর পরিপাটি সাজসজ্জা চোখে পড়ার মতো বিশেষভাবে নজর কেড়ে নিল শহীদ মিনার। এটি কলেজের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক চেতনার প্রতীক। ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত এই মিনারটি নিয়মিত পরিচর্যা করা হয়। নতুন রঙে সাজানো মিনারটি যেন প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের স্মরণ করিয়ে দেয় তাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও দায়িত্ববোধ।

যতক্ষণ কলেজ প্রাঙ্গণে ছিলাম, ততক্ষণ যেন স্মৃতির পাতাগুলো একে একে খুলে যাচ্ছিল। এখানেই কত ছাত্রী প্রতিদিন আসে, ক্লাসে যায়, নতুন কিছু শেখে, ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুনে। অনেকেই হয়তো প্রথমবার কলেজ জীবন শুরু করে এই চত্বরে পা রেখেই। কত আবেগ, কত অনুভূতি সবকিছু যেন জমে আছে প্রতিটি করিডরে, প্রতিটি বেঞ্চে, প্রতিটি গাছে।বসে ছিলাম এক কোণে, হাতে ছিল দুটো গোলাপি রঙের ফুল। এমনিতেই ফুল পছন্দ আমার, আর এই ফুলগুলো যেন প্রকৃতির একান্ত দান নিঃশব্দ ভালোবাসা। ক্যামেরায় কয়েকটি ছবি ধারণ করলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বলে ।

এই কলেজের প্রাঙ্গণ বহু স্মৃতির সাক্ষী। এখানে শিক্ষার্থীরা শুধু পড়াশোনাই করে না, গড়ে তোলে বন্ধুত্ব, অংশ নেয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে, আর জীবন গঠনের পথে হাঁটে এক এক করে।আজকের এই হঠাৎ দেখা যেন মনে করিয়ে দিল পরিচিত কোনো স্থানও কতটা নতুন মনে হতে পারে যদি মন থেকে দেখা যায়। নিজের শিকড়ের সঙ্গে মাঝে মাঝে একটু সংযোগ হলে, জীবনের আসল সৌন্দর্যটা আরও ভালোভাবে অনুভব করা যায়।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।