রাতের আঁধারে ভুট্টা পুড়িয়ে খাওয়ার মুহূর্ত
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৮-০৪-২০২৫)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি রাতের আঁধারে ভুট্টা পুড়িয়ে খাওয়ার মুহূর্ত। আজকে সকাল বেলা থেকেই সারাদিন বেশ ব্যস্ততার মধ্যেই সময় অতিবাহিত করলাম। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে হালকা একটু নাস্তা খেয়ে তারপর এই বের হয়েছিলাম আমাদের পুকুরে মাছ ধরার জন্য। আজকে আমাদের পুকুরে বেশ কিছু সময় মাছ ধরার পরে বাড়িতে এসেছিলাম গোসল শেষ করে জুম্মার নামাজ আদায়ের জন্য গিয়েছিলাম। নামাজ শেষ করে এসে আমাকে একটু খাওয়া দাওয়া শেষ করার পরে দুপুরে মুসুলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। বৃষ্টি মুহূর্তে বিছানায় শুয়ে ছিলাম তখন ঠিক ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে বিকেল বেলায় বেশ কিছু সময় পাড়ার ছেলেদের সাথে বাইক নিয়ে একটু ঘুরতে বের হয়েছিলাম ঘোরাঘুরি শেষ করে আবারও সন্ধ্যাবেলায় বাসায় ফিরেছি। সন্ধ্যাবেলায় বাড়িতে ফেরার পরে ভাবলাম এখনো আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করা হয়নি তবে চলুন আজকের পোস্ট শেয়ার করা যাক........
আপনারা উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি খুবই চমৎকারভাবে আপনাদের মাঝে দুটি ছবি আমার মোবাইলে ক্যামেরা বন্দী করে শেয়ার করেছি। কয়েকদিন আগে আমি এবং আমাদের পাড়ার কয়েকজন ছেলেরা মিলে সন্ধ্যা রাতে আমাদের গ্রামের মাঠে ভুট্টা পুড়িয়ে খাওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। আসলে রাতের বেলায় গ্রামের ছেলেদের সাথে যে কোন কাজ করতে সত্যিই বেশ ভালো লাগে এবং যদি সেই জিনিসটা হয় চুরি করে খাওয়া তাহলে তো আরো বেশি মজা হয়। সন্ধ্যাবেলায় আমি বাড়ি থেকে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে যখন পাড়ার ছেলেদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য একটু বের হয়েছিলাম তখনই দেখি সবাই মিলে প্রস্তুতি নিচ্ছিল আজকে রাতে ভুট্টা খেতে যাবে বলে। তাই আমিও পাড়ার ছেলেদের সাথে ভুট্টা খেতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমাদের বাড়ি থেকে প্রায়ই ১০ থেকে ১৫ মিনিট পথ পায়ে হাঁটার পরে আমরা ভুট্টা জমির আশেপাশে গিয়ে পৌঁছেছিলাম আমরা বাড়ি থেকে ভুট্টা পোড়ানোর জন্য খড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম। ভুট্টা খেতে আমরা প্রায় পাঁচজন ছেলে গিয়েছিলাম আসলে রাতের আঁধারে ভুট্টা পুড়িয়ে খেতে সত্যি বেশ মজা লেগেছে।
আপনারা উপরে এবার লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও খুবই সুন্দর ভাবে দুইটি ছবি আমার মোবাইলে ক্যামেরা বন্দী করে আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। ভুট্টা জমিতে আমরা পৌঁছানোর পরেই আমাদের মধ্য থেকে তিনজন গিয়েছিল ভুট্টা নিয়ে আসার জন্য আসলে আমার সত্যি যে কোন জিনিস চুরি করে খেতে বেশ ভয় লাগে। আমি শুধুমাত্র তাদের সাথে গিয়েছিলাম সেখানে গিয়ে আমি বসে বসে মোবাইলে কাজ করছিলাম এবং তাদের সাথে দল ভারী করেছিলাম। তিনজন গিয়ে প্রায় পাঁচটি ভুট্টা ভেঙে নিয়ে এসেছিল তারপরে আমরা সবাই মিলে সেখানে আগুন জ্বালিয়ে ভুট্টা পোড়ানো শুরু করেছিলাম। যখন সকলে মিলে ভুট্টা পোড়ানো শুরু করেছিল তখন আমি খুবই সুন্দর ভাবে আমার মোবাইলের ক্যামেরায় ছবিগুলো ধারণ করে রেখেছিলাম ভেবেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। তাই আজকে চলে আসলাম আপনাদের মাঝে ভুট্টা পুড়িয়ে খাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
আপনারা এবার লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আরো সুন্দরভাবে আমি দুটি ছবি আমার মোবাইলে ক্যামেরা বন্দী করে আপনাদের মাঝে আবারো তুলে ধরেছি। আমরা প্রায় সকলে মিলে সাত থেকে দশ মিনিট আগুন জ্বালিয়ে ভুট্টা গুলো খুবই সুন্দরভাবে পুড়িয়েছিলাম সেই মুহূর্তগুলো আমি আমার মোবাইলের ক্যামেরা ধারণ করেছিলাম। ভুট্টো পুড়ানো যখন একেবারে শেষ পর্যায়ে চলে এসেছিলাম খাওয়ার আগ মুহূর্তে আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম সেই ছবিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। এভাবেই প্রায় আমরা সেখানে দুই থেকে তিন ঘন্টা আড্ডা দিয়েছিলাম এবং সকলে খুবই সুন্দরভাবে ভুট্টা পুড়িয়ে খাওয়া শেষ করে আবারও রাতে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম এভাবেই প্রায় সেই শৈশবের মুহূর্তগুলো আবারো ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছি । আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness

OR
x-promotion
তিনজন মিলে ভুট্টা চুরি করে খাওয়ার গল্পটা বেশ দারুন ছিল। ঠিক বলেছেন ভাইয়া কোন জিনিস চুরি করে খাওয়ার মধ্যে মজাটাই আলাদা। আপনি শুধুমাত্র দল ভারী করার জন্য গিয়েছিলেন তবে বসে থাকার থেকে তাদের সাথে চুরি করতে গেলে বেশি মজা পেতেন। ভুট্টা পুড়িয়ে অনেক আগে গিয়েছিলাম। আপনাদের খাওয়া দেখে আমারও খেতে ইচ্ছে করছে। বেশ চমৎকার একটি পোস্ট। পড়ে ভালো লাগলো ভাইয়া। গল্পটা দারুন ছিলো।
ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার চমৎকার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
https://x.com/kibreay001/status/1913147997820514368?t=E6WaMTOcuT1Ua7JI1-y-qA&s=19
https://x.com/kibreay001/status/1913180928341623210?t=E6WaMTOcuT1Ua7JI1-y-qA&s=19
https://x.com/kibreay001/status/1913245068028416369?t=E6WaMTOcuT1Ua7JI1-y-qA&s=19
https://x.com/kibreay001/status/1913245523341136006?t=E6WaMTOcuT1Ua7JI1-y-qA&s=19
https://x.com/kibreay001/status/1913246319864643814?t=E6WaMTOcuT1Ua7JI1-y-qA&s=19
পাড়ার ছেলেদের সাথে ভুট্টা চুরি করে এবং সেটা পুড়িয়ে খেয়ে বেশ দারুন সময় কাটিয়েছেন দেখছি। আসলে এই ছোট ছোট আনন্দ গুলো জীবনের অনেক বড় আনন্দ। এখানে যেমন দুষ্টুমি লুকিয়ে আছে তেমনি মজা ও রয়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর নরম একটি ব্লগ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেয়ার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু ছোটবেলার এই আনন্দ গুলোই জীবনে অনেক বড় আনন্দ।