ক্রিয়েটিভ রাইটিং || একজন কৃপণ ব্যক্তির গল্প (তৃতীয় পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একজন কৃপণ মানুষের গল্প (তৃতীয় পর্ব) আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। তবে গল্পটি কোনো কাল্পনিক ঘটনা নিয়ে লেখা নয়,বরং একেবারে বাস্তব। যাইহোক গত পর্বে আপনারা পড়েছিলেন, সুজন ভাই খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তার ওয়াইফ একটি ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছে। এই কথাটি সুজন ভাইয়ের কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছিল না। কারণ তিনি তার ওয়াইফকে প্রচন্ড বিশ্বাস করতেন। তাইতো সুজন ভাইয়ের সারাজীবনের সঞ্চয় তার ওয়াইফ এর একাউন্টে রেখে দিয়েছিলেন।
যাইহোক এই কথা জানার কয়েক দিন পর সুজন ভাই তার ওয়াইফকে জিজ্ঞেস করলেন ,সেই ছেলের সাথে কবে থেকে সম্পর্ক এবং কিভাবে পরিচয় হয়েছে। কিন্তু সুজন ভাইয়ের ওয়াইফ কিছুই স্বীকার করে না। সে বলে যে এগুলো সব মিথ্যা কথা। সুজন ভাই তার ওয়াইফ এর কথা বিশ্বাস করে না। এভাবে কয়েকদিন চলতে থাকলো। সুজন ভাই আগের মতো তার ওয়াইফকে ফোন দেয় না। তাদের মধ্যে অনেকটা দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়। হঠাৎ সুজন ভাই সিদ্ধান্ত নিলো যে, আবারো বাংলাদেশে ছুটিতে আসবে। ছুটিতে আসার প্রধান কারণ হচ্ছে, তার ওয়াইফ এর একাউন্ট থেকে সব টাকা সুজন ভাইয়ের একাউন্টে নিয়ে নিবে।
যাইহোক বাংলাদেশে আসার পর সুজন ভাই তার ওয়াইফকে বারবার জিজ্ঞেস করেছিল তার ওয়াইফ এর অবৈধ সম্পর্কের কথা। অবশেষে অনেক কষ্টে তার ওয়াইফ এর কাছ থেকে সত্যি ঘটনা জানতে পারলো। তার ওয়াইফ স্বীকার করে যে কয়েকমাস আগে একটি ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছে। কিভাবে কি হয়ে গিয়েছিল কিছুই নাকি বুঝতে পারেনি সুজন ভাইয়ের ওয়াইফ। সুজন ভাইয়ের কাছে আকুতি মিনতি করে ক্ষমা চেয়েছিল তার ওয়াইফ এবং বলেছিল যে আর কখনো এমন কিছু করবে না। অবশেষে সুজন ভাই তার ওয়াইফ এর কথা বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়। তবুও সুজন ভাই তার ওয়াইফকে বললো যে, সব টাকা সুজন ভাইয়ের একাউন্টে দিয়ে দিতে। সুজন ভাইয়ের ওয়াইফ তখন বলে যে, কখনোই সুজন ভাইয়ের বিশ্বাস নষ্ট করবে না এবং সুজন ভাইকে ঠকাবে না।
যাইহোক এই কথা শোনার পর সুজন ভাই তার ওয়াইফকে আবারো আগের মতো বিশ্বাস করতে শুরু করলো। সুজন ভাই অল্প কয়েক দিন থেকে আবারো সিঙ্গাপুর চলে যায়। সুজন ভাই যাওয়ার পর থেকে তার ওয়াইফ আবারো সেই ছেলের সাথে ফোনে কথা বলা শুরু করলো। দেখা সাক্ষাৎ করতো এবং অনেক জায়গায় ঘুরতেও যেতো। আসলে সুজন ভাই যেহেতু বাংলাদেশে ছিলো কয়েকদিন,সেজন্য সেই ছেলেকে ফোন দিতে নিষেধ করেছিল সুজন ভাইয়ের ওয়াইফ। এমনকি তারা তখন কোনো রকম দেখা সাক্ষাৎ পর্যন্ত করেনি। এরপর কি কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
---|---|
রাইটার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১.১০.২০২৩ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Twitter Link
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে যারা দেশের বাইরে থাকে তাদের বউয়ের ক্ষেত্রে এধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে।কেউ ধরা পরে কেউ পড়ে না।বউদের বিশ্বাস করে বাইরে যায় আর বউ গুলো এভাবে ঠকায়। সত্যি ভীষণ খারাপ লাগলো সুজন ভাইয়ের জন্য। দ্বিতীয় বার তার উচিত হয়নি বউকে বিশ্বাস করা । যাই হোক পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ ।
হ্যাঁ আপু এভাবেই অনেক মেয়ে হাসবেন্ডকে ঠকাচ্ছে। সুজন ভাইয়ের সবচেয়ে বড় ভুল ছিলো তার ওয়াইফকে দ্বিতীয় বার বিশ্বাস করা। পরের পর্ব খুব শীঘ্রই শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। যাইহোক পোস্ট পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।