সিরিজের ১-০ তে এগিয়ে বাংলাদেশ!
03-10-25
১৮ আশ্বিন , ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই সবচেয়ে গুুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি সুস্থ্য থাকলে যেকোন কিছু করতে আপনার কাছে ভালো লাগবে। তো আপনারা যারা ক্রিকেটপ্রেমি মানুষ আছেন তারা নিশ্চয় জানেন বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান এর মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হয়েছে গতকাল প্রথম ম্যাচের মধ্যে দিয়ে। ত আজকে প্রথম ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করতে চলে এলাম। আসলে এশিয়া বাংলাদেশের ভরাডুবির পর ভেবেছিলাম আর খেলাই দেখবো না। নির্লজ্জের মতো ঠিকই পরে আবার খেলা দেখি। আসলে ক্রিকেট খেলা আমার পছন্দের খেলা। সেই ছোট্রবেলা থেকে আমি ক্রিকেট খেলা দেখে আসছি। । তো টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান! এশিয়া কাপে আফগানিস্তান ভালো খেলেছিল। এ দলটা যথেষ্ট ভারসাম্য পূর্ণ। বাংলাদেশের একাদশে লিটন দাস ইনজুরির কারণে বাদ ছিল, দলে নেয়া হয় সৌম্য সরকারকে।
শুরুতে ব্যাটিং এ নামে ইবরাহীম ও সেডিক। শুরুটা দুজনে ভালো করেই করে। তবে দলীয় সংগ্রহ যখন ২৫ রান তখন জাদরানের আউট হওয়ার মধ্যে দিয়ে তাদের পার্টনারশিপ ভাঙে। তারপর মাঠে আসে গুরবাজ। গুরবাজ নরমালি ওপেনিং করে। কিন্তু গতকাল তাকে ওয়ানডাউন নামানো হয়। তো গুরবাজ নামার পর রানের গতিটা কিছুটা বাড়ে। সেডিককে নিয়ে পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করে।সেডিক তানজিম সাকিবের বলে আউট হয়ে সাজঘরে চলে যায়। তারপর মাঠে আসে রাসুলি। সে শূন্য রান করে আউট হয়ে মাঠ ছাড়ে। আফগানিস্তান এর দলীয় সংগ্রহ যখন ৭৩ রান তখনই পাচঁ উইকেট হারিয়ে ফেলে। কিছুটা বিপর্যয় চলে আসে। তারপর নবী ও ওমরাজাই খেলাটাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। দুজনই বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করে দেয়। ওমরজাই ব্যক্তিগত ১৮ রান করে আউট হয়ে যায়।
শেষের দিকে নবী ব্যক্তিগত ২৫ বলে ৩৮ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলে। শেষ অবধি আফগানিস্তান নয় উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়। তো ১৫১ চেইস করা এ পিচে টাফ। পিচ দেখেই বুঝা যাচ্ছিল স্পিনাররা অনেক ভালো করবে। ত শুরুতেই ব্যাটিং করতে নামে ইমন ও তানজিদ তামিম। বাহাতি দু ব্যাটার নামার পর একের পর এক বাউন্ডারি মেরে আফগান বোলারদের চাপে রাখার চেষ্টা করে। তবে নবীর ওভারে ইমনে দুইটা ক্যাচ মিস করে বসে। নয়তো পার্টনারশিপ টা ভেঙে যেত। পাওয়ারপ্লেতে স্কোরকার্ডে ৫০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। তারপর দুজনের পার্টনারশিপ টা আরও বড় হয়। খেলাটা একদম সহজ হয়ে যায় বাংলাদেশের জন্য! কারণ ইমন ও তানজিদ দুজনই হাফ সেঞ্চুরি করে। তাদের পার্টনারশিপ ভাঙে দলীয় সংগ্রহ যখন ১০৯ রান! টি-টোয়েন্টি তে আফগানদের বিপক্ষে ওপেনিং এর এটা বেস্ট পার্টনারশিপ ।
ব্যক্তিগত ৫৪ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে আউট হয় পারভেজ ইমন। ১১.৪ ওভারে স্কোরকার্ডে তখন ১০৯ রান। তার মানে জেতার জন্য কম রানই দরকার ছিল। তবে সহজ ম্যাচ ও বাংলাদেশ হেরে যায়। ভরসা পাচ্ছিলাম না। আর ঠিক সেটাই হলো। দলীয় সংগ্রহ যখন ১১৮ রান তখন ০৬ উইকেট চলে যায়! মানে ৯ রানে ছয়টা উইকেট হাওয়া! এমন খেলা দেখে যে কারও লাগবে। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেটে এটাও সম্ভব। তবে শেষ রক্ষাটা করলো রিশাদ ও সোহান মিলে। ১৮.৪ ওভারেই বাংলাদেশ জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। প্লেয়ার অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয় পারভেজ হোসেন ইমন!
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share