বাংলাদেশের সিরিজ জয়!
19-07-2025
৪ শ্রাবণ , ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো দিনশেষে ভালো থাকাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ! আপনি যদি ভালো থাকেন তো সবকিছুই ভালো লাগবে। তো সে ভালো লাগার জায়গা থেকে আমি বলবো মাঝে মাঝে বিনোদনের প্রয়োজন রয়েছে। তো এজন্যই মাঝে মাঝে খেলা দেখে থাকি। ইতোমধ্যে আপনাদের সাথে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যকার দ্বিতীয় ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আজকে চলে আসলাম বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার তৃতীয় ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করার জন্য। তৃতীয় ম্যাচটা দুদলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ যে টিমই জিততে পারবে সে টিমই সিরিজ জয় লাভ করবে। বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজ হয়েছিল। সেদিক দিয়ে বাংলাদেশ টিমের জন্য একটা সুযোগ ছিল বলা যায়!
তৃতীয় ম্যাচটি জিততে পারলেই বাংলাদেশ সিরিজ জিতে যাবে। তো সেদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলংকা টিম! বাংলাদেশ টিমে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছিল মেহেদী হাসান মিরাজকে বসিয়ে শেখ মেহেদীকে নেয়া হয়েছিল টিমে। আমি মনে করি শেখ মেহেদী টি-টোয়েন্টিতে পারফেক্ট। কারণ তার বোলিং লাইনআপ যথেষ্ট ভালো হয় টি-টোয়েন্টিতে। একটা ভালো ইমপেক্ট তৈরি করতে পারে খেলায়! তো ব্যাটিং করতে নামে কুশল মেন্ডিস ও নিসাঙ্কা । দুজনেই বর্তমানে ফুল ফর্মে আছে। ওপেনিং জুটিকে যতো তাড়াতাড়ি ভেঙে ফেলা যাবে ততে তাড়াতাড়ি বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে। ইনিংসের শুরুটা দারুণভাবে করে শ্রীলংকা। প্রথম বলেই বাউন্ডারি! তবে ওভারের শেষ বলে শরীফুল কুশল মেন্ডিসকে আউট করে সাজঘরে পাঠায়! তারপর মাঠে আসে কুশল পেরেরা! লেফট হ্যান্ডেড এ ব্যাটারের হাতে যথেষ্ট হিট রয়েছে!
তবে ঘুরে দাড়ানোর আগেই সাজঘরে ফেরায় শেখ মেহেদী! স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। তারপর মাঠে আসে দিনেশ চান্দিমাল। চান্দিমালের ব্যাটিং অনেকদিন দেখিনি। ওয়ানডেতে ভালোই খেলতো! তবে টি-টোয়েন্টিতে কম বলে বেশি রান করতে হবে। শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি চান্দিমালের! মেহেদীর বলেই ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে সে। তারপরে মাঠে আসে আসালাঙ্কা! কিছু বুঝে উঠার আগেই মেহেদীর বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। শ্রীলংকার দলীয় সংগ্রহ যখন ৬৬ রান তখন নিসঙ্কাও আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়। তো ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে যায় শ্রীলংকা। তারপর শেষের দিকে এসে শানাকার ব্যক্তিগত ৩৫ রানের সুবাধে ২০ ওভারে শ্রীলংকা ১৩২ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়।
আগের ম্যাচে যেহেতু ভালো একটা টোটাল সংগ্রহ করতে পেরেছিল বাংলাদেশ সে হিসেবে আমি ধরে নিয়েছিলাম রান চেইস করা সহজ হবে। দেখার বিষয় ছিল পাওয়ার প্লেটা কিভাবে কাজে লাগায় বাংলাদেশ । পাওয়ার প্লেতে ৫০+ রান চলে আসলে ম্যাচটা জেতা সহজ হয়ে যায়! তো শুরুতে ওপেনিং এ বানে ইমন ও তানজিদ তামিম! কিন্তু শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ওভারের প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ শিকার হয় ইমন! শূন্য রান করে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। তারপর মাঠে আসে লিটন দাস। লিটন দাস মাঠে নামার পর তানজিদ তামিমকে নিয়ে দারুণ ছন্দে ব্যাটিং করতে থাকে। দুজনে মিলে ৭৪ রানের চমৎকার পার্টনারশিপ গড়েছিল। তবে লিটন কুমার দাস ব্যক্তিগত ৩২ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে । তারপর মাঠে আসে হৃদয়। হৃদয়কে নিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়ে তানজিদ তামিম। তামিম ব্যক্তিগত ৭৩ রান করে অপরাজিত ছিল। এরই মাধ্যমে বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় লাভ করেছিল।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাংলাদেশ যেভাবে শ্রীলংকার বিপক্ষে খেলছে সেটা কিন্তু আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।তারাও খুবই সুন্দর ভাবে বোলিং এবং বেটিং করছে।আমি মনে করি বাংলাদেশে এভাবে খেললে অনেক দূরে এগিয়ে যাবে।বাংলাদেশ টিমের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
আসলেই ভাই খেলাটা বেশ উপভোগ করেছিলাম।