খেলা রিভিউ: বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট ম্যাচ রিভিউ
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
রবিবার, ২১ ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং
গতকাল দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপ ২০২৫-এর সুপার ফোর পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। ম্যাচটি ছিল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনায় ভরা। টস জিতে শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সংগ্রহ করে ১৬৮ রান, যেখানে অধিনায়ক দাসুন শানাকা করেন ৩৭ বলে ৬৪ রানের অসাধারণ ইনিংস। তবে অন্য ব্যাটসম্যানরা বড় কোনো স্কোর গড়তে ব্যর্থ হন। বাংলাদেশের বোলাররা বিশেষ করে মুস্তাফিজুর রহমান ও মাহেদী হাসান দুর্দান্ত বল করে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখেন।মুস্তাফিজ চার ওভারে মাত্র ২০ রান খরচ করে তিনটি উইকেট তুলে নেন।
আর মাহেদী চার ওভারে ২৫ রান দিয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকার করেন। শ্রীলঙ্কার রান প্রতিযোগিতামূলক হলেও অপ্রতিরোধ্য ছিল না।বাংলাদেশ যখন ব্যাটিংয়ে নামে তখন শুরুটা ভালো হয়নি। দ্রুত একটি উইকেট পড়ে যায় এবং দর্শকদের মনে আবারও চাপ তৈরি হয়। কিন্তু এরপর দৃঢ়ভাবে দাঁড়ান সাইফ হাসান ও তোহিদ হৃদয়। তারা গড়ে তোলেন প্রায় শতরানের দারুণ জুটি, যা মূলত ম্যাচের গতিপথ ঘুরিয়ে দেয়। সাইফ হাসান করেন ৬১ রান আর তোহিদ হৃদয় খেলেন অনবদ্য ৫৮ রানের ইনিংস। তাদের ব্যাট থেকে আসা শটগুলোতে ছিল আত্মবিশ্বাস ও নিয়ন্ত্রিত আগ্রাসন।
শেষ দিকে কিছুটা উত্তেজনা থাকলেও বাংলাদেশ ঠাণ্ডা মাথায় চেজ সম্পন্ন করে ১৯.৫ ওভারে ৬ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে।স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকরা প্রতিটি বলের সঙ্গে নিশ্বাস আটকে রেখেছিলেন। যখন সাইফ ও হৃদয় একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাচ্ছিলেন, গ্যালারিতে তখন একসাথে উঠে আসছিল ঢাকের আওয়াজ আর পতাকা নাড়ার উন্মাদনা। শেষ ওভারে জয়ের মুহূর্তে পুরো গ্যালারি দাঁড়িয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ে, আর সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় আনন্দের ঢেউ।ম্যাচ শেষে অধিনায়ক শান্ত জানিয়েছেন, দলের এই জয় তরুণদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে এবং সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত করবে।
অপরদিকে কোচ হাথুরুসিংহে বলেছেন, দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্স তাঁকে সন্তুষ্ট করেছে, তবে ফিল্ডিংয়ে এখনো উন্নতির জায়গা রয়েছে। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক স্বীকার করেছেন শেষ দিকে ব্যাটিং ও ফিল্ডিংয়ের ব্যর্থতার কারণে তাদের ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছে।বাংলাদেশের এই জয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে দলটির মানসিক দৃঢ়তা ও নতুন প্রজন্মের দায়িত্ববোধ। তরুণ ব্যাটসম্যানরা যেভাবে চাপ সামলে জয়ের পথ তৈরি করেছে তা নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতের জন্য শুভসংকেত। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা ব্যাটিংয়ে শেষের দিকে গতি আনতে পারেনি, ফিল্ডিংয়ে করেছে একাধিক ভুল আর বলিংয়ে বিশেষ করে ডেথ ওভারে ছিল পরিকল্পনার ঘাটতি।
এই জয়ের ফলে সুপার ফোরে বাংলাদেশ শক্ত অবস্থানে উঠে এসেছে। সাইফ ও হৃদয় প্রমাণ করেছেন তারা দলের ভবিষ্যৎ ভরসা, আর মুস্তাফিজ আবারও দেখিয়েছেন তাঁর কাটার এখনো ভয়ঙ্কর অস্ত্র। দর্শকদের জন্য এটি ছিল এক অনবদ্য ক্রিকেটের আসর, যেখানে শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ। এটি কেবল একটি ম্যাচ জয় নয়, বরং পুরো দলের জন্য আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার গল্প।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকার এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচটি আমি কালকে দেখেছি।আসলে বাংলাদেশ কালকে আমাদের এত সুন্দর একটি উপহার দিয়েছে যা বলার বাইরে।তবে যেভাবে উইকেট ধরে ধরে খেলছিল এভাবে বাংলাদেশ খেললে ভালো কিছু করতে পারবে।ধন্যবাদ খুব সুন্দর ভাবে রিভিউটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করছেন।